হিমন্ত সরকারের দু বছর পূর্তি

2 - মিনিট |

সাফল্য আর ব্যর্থতার সংমিশ্রণ

কেআরসি টাইমস বারাক ভ্যালি ব্যুরো

মুখ্যমন্ত্রী হিমন্ত বিশ্ব শর্মার সরকার দুই বছর পূর্ণ করল। সরকার কতটুকু সফল কতটুকু ব্যর্থ এরকম যদি একটা বিশ্লেষণ করা যায় তাহলে দেখা যাবে সাফল্যের পাশাপাশি এমন কিছু ব্যবস্থা নেওয়া হয়েছে যার ফলে রাজ্যে সমস্যা দেখা দিয়েছে। রাজ্যে এইমস চালু হয়েছে, যদিও এটা কেন্দ্রীয় সরকারের প্রকল্প। একটি মেডিকেল কলেজ চালু হয়েছে। বিভিন্ন পদে নিযুক্তি হয়েছে। উনাদের প্রকল্পের মত একটি জনপ্রিয় প্রকল্প চালু হয়েছে। এইসব মিলিয়ে অন্তরের পক্ষে জনমহিনি কিছু কাজ করতে এই সরকার সফল হয়েছে।

কিন্তু যদি আমরা অন্যদিকে দেখি তাহলে কিছু সমস্যা চোখে পড়বে। কিছু কিছু সিদ্ধান্ত নেওয়া হয়েছে যেগুলি নিয়ে যথেষ্ট বিতর্ক দেখা দিয়েছে রাজ্য জুড়ে। বিশেষ করে সরকারের একটা সমালোচিত পদক্ষেপ হলো বুলডোজার নীতি। বিরোধীরা এবং মানবাধিকার বিভিন্ন সংগঠন এই পদ্ধতি বিরোধিতা করেছে এমনকি আদালত এর জন্য সরকারকে সমালোচনা করেছে।

গত দুই বছরে বিভিন্ন সরকারি বিভাগে যেভাবে উৎকোচ নেওয়ার প্রবণতাটা বৃদ্ধি পেয়েছে সেটা অত্যন্ত উদ্বেগ জনক। তবে রাজ্য সরকার রাস্তাঘাটের কাজ ভালো করেছে এটা মানতেই হবে। কিন্তু রাজ্যে সার্বিক বিকাশের জন্য যে কিছু নীতি নিতে হয় সেই নীতিটা নেওয়া হয়নি। নতুন কোনো শিল্প এই রাজ্যে স্থাপিত হয়নি। এরফলে বেকার সমস্যা বাড়ছে।

রাজধানী গুয়াহাটিতে নতুন নতুন ফ্লাইওভার হচ্ছে ।কিন্তু শিলচরের মতো শহরের কোন উন্নতি হচ্ছে না। উন্নয়নকে গুয়াহাটি কেন্দ্রিক রাখা হয়েছে। রাজ্যের সার্বিক বিকাশ অনেক ক্ষেত্রে ব্যহত হয়েছে।হিমন্ত বিশ্ব শর্মা তার সরকারের দু বছর পূর্তি উপলক্ষে দেওয়া ভাষণে বলেছেন যে তিনি চান আসামকে সারা দেশের মধ্যে দুই বা তিন নম্বর রাজ্য করতে।

এবং তার সরকার সেই লক্ষ্যে কাজ করা যাবে এই কথাও তিনি বলেছেন। এখনো হাতে সময় আছে মাত্র দু বছর গিয়েছে হয়তো এই লক্ষ্যে অর্জন করা সম্ভব হবে। আসামের মানুষ সবসময় চাইবেন যাতে রাজ্য সরকার আগামী যে তিন বছর হাতে আছে এর মধ্যে রাজ্য হিসেবে পরিগণিত করতে পারবে।

Leave a comment

Your email address will not be published. Required fields are marked *