বই ভালোবাসার দিন

6 - মিনিট |

একটা একদম বাঁধাধরা ৯ অগস্ট আর একটা নভেম্বরের প্রথম শনিবার।হয়তো শুনে মজাই লাগত। কারণ আমার, আমাদের প্রতিদিনই ছিল বই ভালবাসার দিন…

তৃষ্ণা বসাক

আমার বই-দগ্ধ জীবন

একটা সময় ছিল আমার সব অক্ষরের ওপরই সন্ধে নেমে আসত। ছাদে বসে চিলেকোঠার দেওয়ালে পিঠ ঠেকিয়ে বই পড়ছি আর একটা একটা করে তারা ফুটে উঠছে আকাশে –এমন তো কতবার হয়েছে। তখন সেই অন্ধকার রঙের আলোয় অন্ধের স্পর্শের মতো মুছে যাওয়া অক্ষরগুলোকে ছুঁতাম। একটা সময় ছিল যখন আমার সমস্ত পাঠ্যের ওপর বৃষ্টির দাগ থাকত। ছাদে শুয়ে বৃষ্টিতে ভিজতে ভিজতে পড়েছি কবিতার বই। তখন তো বৃষ্টি মানেই রূপোর কুচি, বৃষ্টি মানেই বন্ধুর আঙ্গুল। একটা সময় ছিল আমার পড়া সমস্ত বইয়ে মাছ বা মাংসের ঝোল কিংবা ডালের হলুদ দাগ লেগে থাকত। কেননা আমি  খেতে খেতে বই পড়তাম, তাই আলাদা করে খাদ্যের স্বাদ কী –আমি বলতে পারব না। আসলে অক্ষর তো শুধু সরস্বতীর নয়, লক্ষ্মীরও দানা। এই তো বেশি দিনের কথা নয়, আমার দিদিমাকে ইংরেজি শিখতে  দেওয়া হবে না বলে, কেড়ে নেওয়া হত বই, আর দিদিমা, তখন ছোট্ট এক বালিকা, বইগুলিকে লুকিয়ে রাখত চালের ড্রামের মধ্যে। তাই আমার কাছে অক্ষর শস্যদানা, যা না জুটলে সারাজন্ম উপবাস।

প্রচ্ছদ, মেরুদণ্ড আর অন্তর্কথন থাকলেই কি বই ?।  আমার কাছে  তো বই মানে সেই সন্ধে, বৃষ্টি আর ঝোলের হলুদ দাগ। বই মানে মলাটহীন, পাতা ছেঁড়া এক দ্বিতীয় আমি, যার কাছে আমাকে  বারবার ফিরতে হয়।

হয়তো এই বই- জীবনের প্রথমে বর্ণপরিচয়, সমস্ত অস্তিত্ব আচ্ছন্ন করে জল পড়া, পাতা নড়ার শুরু। ঐক্য বাক্য মাণিক্য জমাতে গিয়ে যাবত অখ্যাতির শুরু। তারপর সহজ পাঠ,   তার সরল লিনোকাট নিয়ে। ‘চুপ করে বসে বসে ঘুম পায়।’ শীতকে এমন নিবিড় করে  তো পাব বিমল করে, অনেক পরে। কিন্ত তখন তো জানতাম না বই ভালবাসার জন্য আছে বছরে দু-দুটো দিন। একটা একদম বাঁধাধরা ৯ অগস্ট আর একটা নভেম্বরের প্রথম শনিবার।হয়তো শুনে মজাই লাগত। কারণ আমার, আমাদের প্রতিদিনই ছিল বই ভালবাসার দিন। আলদা করে লোক দেখানো উদযাপনের প্রয়োজন হত না।  আমাদের মতো পরিবারে চাল-ডাল-তেল-নুনের বাইরে যা কেনা হত তা হল বই। বই-ই ছিল আমাদের প্রসাধনী, ডিস্কভারি চ্যানেল, কিংবা বাড়ির ডিজাইনার আইটেম।

স্কুল- অপাঠ্য যে বইটি আমার হাতে প্রথম আসে, সেটি বোধহয় হ্যান্স অ্যান্ডারসনের রূপকথার বাংলা অনুবাদ ।  অনুবাদকের নাম  মনে নেই, তবে কখনো মনে হয়নি এটা বাংলায় লেখা নয়। সেই টোমোলিজ কিংবা বিশ্রী হাঁসের কাহিনী সারাজীবন সঙ্গী হয়ে রইল। উড়ুক্কু কার্পেট-র রান্নাঘরের কেটলি, চামচের গল্পের মেজাজ তো বারবার ফিরে ফিরে এসেছে আমার কবিতায়, গল্পে।  শুধু বই  নয়, ঠোঙ্গাও ছিল।  ভাগ্যিস শপিং মল ছিল না। তাই বাড়ির মাসকাবারি বাজারের সঙ্গে আমার মনের খাদ্যও অনেক আসত ঠোঙ্গাবাহিত হয়ে। আর পড়ার চেয়েও তো বেশি শোনা, বাবার মুখে একদিকে রামায়ণ মহাভারত, উপনিষদ, চণ্ডী, কথামৃত, অন্যদিকে মোপাসা, টলস্টয়, রবীন্দ্রনাথ।এইসময় সবাই যা পড়ে, উপেন্দ্রকিশোর, সুকুমার, লীলা মজুমদার, এঁরা তো আছেনই। ক্রমে প্রায় তছনছ করে দিলেন আর্থার কোনান ডয়েল। তাঁর শার্লক হোমস সমগ্র ঠিক এক সপ্তায় শেষ করেছি। কারো বাড়ি  বেড়াতে গিয়ে দু-এক ঘন্টায় যতটা পড়া যায়, সেইভাবে কত বইয়ের আধখানা বা সিকিভাগ পড়ে মন খারাপ নিয়ে বাড়ি ফিরেছি, কত বাড়ির তালা বন্ধ বইয়ের আলমারির দিকে তাকিয়ে থেকেছি সতৃষ্ণ চোখে। আমার বই জীবন সেই  অসমাপ্ত পাঠগুলো বাদ দিয়ে নয়।

পুঁথি, বই, ই-বই

কাঠখোদাই থেকে যাত্রা শুরু করে নানা বিবর্তনের মধ্যে দিয়ে মুদ্রণ প্রযুক্তি পৌঁছেছে কম্পিউটারের যুগে। এখন তার সামনে অনেক সুযোগ। মনে পড়ে যাচ্ছে রবীন্দ্রনাথের ‘খাতা’ গল্পের উমার কথা। সদ্য লিখতে শিখে কোথায় লেখেনি সে? আজ তেমনি ছাপার হরফ খুঁজে নিচ্ছে নতুন নতুন মাধ্যম। কাচ, প্লাস্টিক, কাঠ, ধাতু, কাপড়, সাবেক কাগজ তো আছেই। একটা সময় গেল গেল রব উঠেছিল ই-বুক এসে বই পড়া বন্ধ হয়ে যাবে আর গুগল সার্চ করে মানুষ আর খবরের কাগজ পড়বেই না। কোথায় কি, বই পড়া আদৌ বন্ধ হয়নি। সভ্যতার সবচেয়ে বড় আবিস্কার তিনটি –বারুদ, কম্পাস ও মুদ্রণ, বলেছিলেন ফ্র্যান্সিস বেকন।  মজার কথা হল, মুদ্রণের মধ্যে আছে বারুদের বিস্ফোরক শক্তি আর কম্পাসের দিকনির্দেশ ক্ষমতা।

তিরিশ বছর আগে মানুষ গুহার দেওয়ালে ছবি এঁকেছিল। সেই তার মনের ভাবকে কোন সংকেতে প্রকাশ করার প্রথম চেষ্টা। ছবির সাহায্যে ভাব বিনিময়ের এক পদ্ধতি গড়ে উঠেছিল একসময়, তার নাম পিক্টোগ্রাফ। তাতে জটিল কোন বিষয়, কোন বিমূর্ত ভাবনা বোঝানো যেত না। তাই এল ইডিওগ্রাফ। এরপর কোন বাস্তব বিষয় মানে গরু, ছাগল বা ভাবনা নয়, সংকেতবদ্ধ করার চেষ্টা করা হল শব্দকে। ৯০০ খ্রিস্ট পূর্বাব্দে ফোনেশিয়ায় শুরু এই কাজকে বলা হয় ফোনেটিক সিম্বল সিস্টেম। এর প্রায় ৫০০ বছর পরে গ্রিকরা গ্রহণ করল এই পদ্ধতি, জন্ম নিল বর্ণমালা বা  albhabet.  এই alphabet শব্দটির উৎপত্তি বেশ মজার। পিক্টোগ্রাফের যুগে ফোনেশিয়ার লোকেরা ষাঁড়কে বলত আলেফ আর বাড়িকে বেথ। ইডিওগ্রাফে আলেফ মানে বোঝাত খাদ্য আর বেথ মানে আশ্রয়। গ্রিকরা যখন ফোনেটিক সিস্টেম গ্রহণ করল, তারা এর সঙ্গে ৫ টা স্বরবর্ণ যোগ করল। Aleph হয়ে গেল  alpha আর beth হয়ে গেল beta। দুয়ে মিলে হল আজকের alphabet.

মুখের ভাষা যখন লিখিত রূপ পেল, তখন মানুষ বুঝতে পারল এর শক্তি। কোন জায়গায় মানুষ পৌঁছতে না পারলেও তার লেখা পৌঁছে যায়, মৃত্যুর পরেও বেঁচে থাকে  পাথর, তালপাতা বা কাগজে লেখা তার অক্ষর। লেখ্য ভাষার এই সর্বত্রগামিতা আর চিরজীবিতার শক্তি উপলব্ধি করেই জন্ম হল একটি নতুন পেশার, ক্যালিগ্রাফি বা হস্তলিপিকরণ। হাতে লেখা বই নির্মাণ হতে লাগল। আর সে বই লেখা হত ভূর্জপত্র (যা আসলে ভোজপাতা গাছের ছাল), তালপাতা ও কাগজে।  কবি রাজশেখর সব কবিদের উদ্দেশ্যে জানিয়েছিলেন হাতের কাছে তালপাতা বা ভূর্জপত্র মজুত রাখতে। কাগজ এসেছে অনেক পরে। আস্তে আস্তে অবশ্য কাগজ হয়ে ওঠে প্রথম পছন্দ, বিশেষত উত্তর ভারতে। মোগল আমলে হাতে তৈরি কাগজ চরম উৎকর্ষ  লাভ করে। ‘আফশানি’ কাগজে মেশানো হত সোনার গুঁড়ো ও সোনার সরু পাত। আওরঙ্গাবাদ ও দৌলতাবাদে তৈরি হত ‘বাহাদুরখানি’ ‘মাধাগরি’  নানারকম কাগজ। ষোড়শ শতকে বাংলায় যে কাগজ তৈরি হত তার প্রমাণ মুকুন্দরামের পঙক্তি – ‘ কাগজ কাটিয়া নাম ধরিল কাগতী’। কাগজ  তৈরি ও ব্যবসা যারা করত তাদের বলা হত কাগজী।

পুঁথিতে শুধু লেখা নয়, নানা চিত্রও থাকত।  চিত্রিত পুঁথিগুলি অত্যন্ত নয়নলোভন। তবে পুঁথি সীমাবদ্ধ ছিল ধনী, অভিজাত সমাজের গণ্ডিতে, সাধারণ মানুষের নাগালের বাইরে। ধীরে ধীরে হাতে লেখা পুঁথির অসুবিধের দিকগুলো সামনে এল। একজন যতই পুঁথি নকল করুক, সবার কাছে পৌঁছনোর পক্ষে তা যথেষ্ট নয়।  একেক জনের হাতের অক্ষরও একেক রকম। পড়তেও অনেকসময় অসুবিধে হয়।   তাই অক্ষরগুলি একরকম হবে আর একসঙ্গে অনেক বই পাওয়া যাবে- এমন কিছু করার চেষ্টা থেকেই পাথরের ছাঁচ আর কাঠখোদাইয়ের আবিষ্কার হল।  কাঠের জায়গায় ক্রমে এল ধাতুর ব্লক। বেশ চলছিল। কিন্ত কোথাও কোন অক্ষর ভুল হলে গোটা ব্লকটাই পাল্টাতে হয়। সময় নষ্ট তো বটেই, খরচও ঢের। যদি এক একটা অক্ষর আলাদা আলাদা ভাবে ঢালাই করা যায়, তবে তো ভুল শুধরে নেওয়া যায় অনেক কম সময়ে ও কম খরচে। এই ভাবনা থেকেই আবিষ্কার মুভেবল টাইপ বা চলনক্ষম অক্ষরের। যার কৃতিত্বের এতদিন দাবীদার ছিলেন জার্মানির মেইনজ শহরের একজন স্বর্ণকার- জোহান্স গুটেনবার্গ, সালটা ১৪৫০। মুদ্রণের জনক বলতে এতদিন এঁকেই আমরা জানতাম। যদিও এখন জানা যাচ্ছে এর প্রায় বছর পঞ্চাশ আগে চিনের পি শেং বলে এক ব্যক্তি মুভেবল টাইপ আবিষ্কার করে ফেলেছিলেন। তবে তাঁর বানানো হরফ ছিল পোড়ামাটির তৈরি। এর দু বছরের মাথায় কোরিয়ায় ব্রোঞ্জের হরফ তৈরি হল। স্বীকার করা ভালো অন্য সব আবিষ্কারের মতো মুদ্রণের উদ্ভাবনটিও কোন একটি দেশের একটিমাত্র মানুষের একার চেষ্টায় হয়নি। তা বহু দেশের, বহু মানুষের নিরন্তর পরিশ্রমের ফসল। তবে প্রথম পেশাদারভাবে প্রেস চালানো এবং চলনক্ষম হরফে পৃথিবীর প্রথম মুদ্রিত বই বাইবেল ছাপার কৃতিত্ব কিন্তু গুটেনবার্গের। সেকথা স্মরণ করেছেন স্বয়ং বিল গেটস –

‘ Gutenberg’s invention of the Printing Press brought about the first real shift in distribution friction. It allowed information on any subject to be distributed quickly and relatively cheaply. The printing press created a mass medium because it offered low friction distribution. The proliferation of books motivated the general public to read and write… Books gave literacy critical mass, so you can almost say that the printing press taught us to read.’ আর সারা বিশ্বে যে বই সবচেয়ে বেশি চুরি হায়, তার নাম বাইবেল!

তোমায় হৃদ মাঝারে রাখব

হরপ্রসাদ শাস্ত্রী এক বাড়ির গোয়ালঘর থেকে চর্যাপদের পুঁথি আবিস্কার করেন, যা বাংলা সাহিত্যের ইতিহাসটাই বদলে দেয়। শ্রী কৃষ্ণদাস কবিরাজের শ্রীকৃষ্ণ চ রিতামৃত পুঁথিটি নিরাপদ স্থানে নিয়ে যাবার অভিযান রীতিমত একটা থ্রিলার।বৌদ্ধ পুঁথি রক্ষা করার জন্যেও কত শ্রমণ জীবন বিপন্ন করেছেন। কতখানি বইয়ের প্রতি মমতা থাকলে তা সম্ভব আন্দাজ করতে পারেন? এর জন্য কিন্ত কোন দিন নির্দিষ্ট করা ছিল না সেসময়! 

পুঁথির  যুগে একটি পুঁথি পাঠ করতে পারা বড় সহজ ছিল না। কত ক্রোশ ক্রোশ পথ হেঁটে বহু কষ্টে একটি পুঁথি পড়তে পেতেন কেউ কেউ। কোন প্রিয় বইয়ের কাছে পৌঁছন এত সহজ ছিল না এই একশ বছর আগেও। জীবনস্মৃতিতে আছে দীনবন্ধু মিত্রর জামাইবারিক পড়ার জন্য বালক রবি আত্মীয়ার আঁচল থেকে কত সাবধানে চাবি খুলে নিয়েছিলেন। বিশেষ করে অন্তপুরে বই পাওয়া ত এক অসম্ভব ব্যাপার। আমরা জানি কী এক অলীক মুহূর্তে রাসসুন্দরীর কাছে উড়ে এসে পড়েছিল শ্রীকৃষ্ণচরিতামৃতের ছেঁড়া পাতা আর তাঁর ইচ্ছে হয়েছিল গোটা পুঁথিটি পড়ার। সেই তীব্র ইচ্ছের ওপর ভর করে রান্নাঘরের  মেঝেতে কাঠকয়লা দিয়ে অক্ষর এঁকে এঁকে তিনি একার চেষ্টায় লিখতে পড়তে শিখলেন আর ক্রমে লিখলেন বাংলার  প্রথম আত্মজীবনী। বই ভালবাসার এর থেকে বড় উদাহরণ আর কী-ই বা হতে পারে? মনে পড়ে ‘সুবর্ণলতা’য় দেওয়ালের ফোকর দিয়ে এক অন্দর থেকে অন্য অন্দরে বই চালাচালির দৃশ্য। এইভাবেই ত বিপ্লবের জন্ম হয়। আর শুধু বিপ্লব নয়, বই তো জীবনের  অন্য নাম, মৃত্যুকে চ্যালেঞ্জ ছোঁড়ে বই। সমীক্ষায় দেখা গেছে নিয়মিত বই পাঠ করলে অ্যালাজাইমার এড়ানো যায়, আর কে ভুলতে পারে ঝুম্পা লাহিড়ীর ‘নেমসেক’ উপন্যাসে শুধু বই পড়ছিল বলেই ট্রেন দুর্ঘটনায় অন্ধকার মাঠে ছিটকে পড়া অশোক রেস্কিউ পার্টির নজরে পড়েছিল,তার প্রাণ বাঁচিয়েছিল তার পাশে পড়ে থাকা গোগোলের গল্পগ্রন্থটি!

আজ যখন চারদিকে কেউ বই পড়ছে না  বলে রব উঠেছে, তখন বছরকার বইমেলা বা  দুটো বইদিবস  যথেষ্ট না। বাঁচিয়ে তুলতে হবে পাড়ার মৃতপ্রায় লাইব্রেরিগুলো, ছোট ছোট পাঠচক্র করতে হবে, আবাসনে, অফিসে, ইস্কুলে। আমেরিকার এক ছোট শহরে প্রতি সপ্তায় একটি বই নির্দিষ্ট করে দেওয়া হয়। সেই সপ্তায় সবাই  ওই বইটি পড়বেন,  বাসে ট্রেনে আলোচনা করবেন। এরকম ছোট ছোট উদ্ভাবনী পদক্ষেপ করে তুলবে প্রতিটি দিন বই ভালবাসার দিন। একটা সময় ঝাঁকায় করে গ্রামে গ্রামে বই ফেরি করা হত, তেমনটা ফিরে এলে মন্দ হয় না।

  তবে জীবনের মতো বইজীবনেও খেদ একটাই – ‘এত ছোট কেনে?’ তাই পড়ে ফেলতে হবে আলো থাকতে থাকতে।

বিকেল। মেঘ রঙের। আর কিছু না। একটাই ভয়।

লাইব্রেরি এখুনি বন্ধ হয়ে যাবে। তাই পড়ে ফেলো।

ওরা অনেক কিছু বলছে। শুনো না। পড়ে ফেলো।

আলো ক্রমে নিভে আসছে। পড়ে ফেলো।

ওরা হাওয়া বিষয়ক কোন বই রাখতে দেয়নি।

তবু পড়ে ফেলো। যা আছে, এখনো যতটুকু আছে।

Leave a comment

Your email address will not be published. Required fields are marked *

Related news