নানা ধর্মীয় কার্যসূচির মাধ্যমে বরমবাবার মন্দিরে চলে পূজার্চনা
প্রতি বছরের মতো এবারও রাস পূর্ণিমার পুণ্যলগ্নে মঙ্গলবার করিমগঞ্জ জেলার অন্তর্গত পাথারকান্দি থানা এলাকার হাতিখিরা চা বাগানের ২০ নম্বর লাইনে অবস্থিত বরমবাবার মন্দিরে অনুষ্ঠিত হল পূজা। এ উপলক্ষে এদিন মন্দির প্রাঙ্গণে মেলাও বসে। আজ মন্দিরে বরমবাবার (তিন মস্তকবিশিষ্ট শিব) পুজোর্চনা করে সকলের মঙ্গল কামনা করেছেন পাথারকান্দির বিধায়ক কৃষ্ণেন্দু পাল ও করিমগঞ্জ জেলা পরিষদের নবনির্বাচিত সভাধিপতি আশিস নাথ।
এদিন কাকভোর থেকে হাজার হাজার ভক্তপ্রাণ আবালবৃদ্ধবনিতা মন্দিরের প্রবেশদ্বারে সারিবদ্ধভাবে দাঁড়িয়ে বরমবাবার শ্রীবিগ্রহে পুষ্পজল অর্পণ করে নিজের ও পরিবারবর্গের সঙ্গে জগতের মঙ্গল কামনা করেন। পুজো কমিটির তত্বাবধানে বাজারিছড়া প্রশাসন শুরু থেকে সক্রিয় থাকায় কোনও অপ্রীতিকর ঘটনা ঘটেনি। মেলা উপলক্ষ্যে দূার-দূরান্ত থেকে পসরা নিয়ে এসেছিলেন নানা সামগ্রীর দোকানিরা। প্রতিবেশী ত্রিপুরা, অসমের শিলচর, করিমগঞ্জ থেকেও বরমবাবার মেলায় দোকান সাজিয়েছিলেন ক্ষুদ্র ব্যবসায়ীরা। তবে স্থানীয় হাতিখিরা চা বাগান এখনও লকআউট থাকায় বেচাকেনা তেমন করতে পারেননি।
দিনব্যাপী নানা ধর্মীয় কার্যসূচির মাধ্যমে বরমবাবার মন্দিরে পূজার্চনা চলে। ভক্তদের মধ্যে মহাপ্রসাদও বিতরণ করা হয়েছে আজ। এদিকে বরমবাবার মন্দিরে পাথারকান্দির বিধায়ক কৃষ্ণেন্দু পাল ও জেলা পরিষদের নবনির্বাচিত সভাধিপতি আশিস নাথ এসেছিলেন। তাঁরা বরমবাবার মন্দিরে পুজোও দিয়েছেন। পুজো দিয়ে উভয়ে বলেছেন, সর্বসাধারণ মানুষের কল্যাণ ও মঙ্গল কামনা করে সকলের সুখ ও সমৃদ্ধি কামনা করেছেন বরমবাবার কাছে। এছাড়া বিধায়ক বলেন, পুজো মানে পরস্পরের সঙ্গে পবিত্র মনের মিলন ও শুভেচ্ছা বিনিময়ের মাধ্যম।