দীর্ঘ পাঁচ শতাব্দীর টানাপোড়েনের অবসান। শনিবার, ৯ নভেম্বর বিতর্কিত অযোধ্যা মামলার রায়দান করল সুপ্রিম কোর্টের সাংবিধানিক বেঞ্চ। প্রধান বিচারপতি রঞ্জন গগৈয়ের নেতৃত্বাধীন পাঁচ সদস্যের সাংবিধানিক বেঞ্চ জানিয়ে দিল, অযোধ্যার ২.৭৭ একর বিতর্কিত জমিতেই হবে রাম মন্দির
দীর্ঘ পাঁচ শতাব্দীর টানাপোড়েনের অবসান। শনিবার, ৯ নভেম্বর বিতর্কিত অযোধ্যা মামলার রায়দান করল সুপ্রিম কোর্টের সাংবিধানিক বেঞ্চ। প্রধান বিচারপতি রঞ্জন গগৈয়ের নেতৃত্বাধীন পাঁচ সদস্যের সাংবিধানিক বেঞ্চ জানিয়ে দিল, অযোধ্যার ২.৭৭ একর বিতর্কিত জমিতেই হবে রাম মন্দির। মুসলিমরা মসজিদ নির্মাণের জন্য অযোধ্যাতেই বিকল্প ৫ একর জমি পাবেন। বিতর্কিত জমিতে রাম মন্দির নির্মাণ করতে তিন থেকে চার মাসের মধ্যে ট্রাস্ট বানাতে হবে কেন্দ্রীয় সরকারকে। সুন্নি ওয়াকফ বোর্ডকে অন্যত্র ৫ একর বিকল্প জমি দেওয়া হবে| সুন্নি ওয়াকফ বোর্ডকে অযোধ্যার মধ্যেই বিকল্প ৫ একর জমি দিতে হবে কেন্দ্রকে।
এলাহাবাদ হাইকোর্টের রায়কে ‘ভুল’ আখ্যা দিয়ে সুপ্রিম কোর্ট জানিয়েছে, বিতর্কিত জমিকে তিন ভাগে ভাগ করে ভুল সিদ্ধান্ত নিয়েছিল এলাহাবাদ হাইকোর্ট। সর্বোচ্চ আদালতের সাংবিধানিক বেঞ্চ জানিয়েছে, ব্রিটিশরা আসার আগেও অযোধ্যার বিতর্কিত জমিতে যে হিন্দুরা পুজো করত, তার প্রমাণ পাওয়া গিয়েছে। সুপ্রিম কোর্ট জানিয়েছে, হিন্দুরা বিশ্বাস করেন অযোধ্যায় রাম জন্মভূমি রয়েছে। আবার মুসলিমরাও এখানে নমাজ পড়েন। জমির অধিকার কার, তা শুধুমাত্র আইন ঠিক করবে।’ আর্কিওলজিক্যাল সার্ভে অফ ইন্ডিয়ার রিপোর্টকেও মান্যতা দিয়েছে সুপ্রিম কোর্ট| খালি জমিতে মসজিদ তৈরি হয়নি। মসজিদের নীচে কাঠামো পাওয়া গিয়েছে। খননে যা পাওয়া গিয়েছে তা ইসলামিক চিহ্ন বহন করে না, মন্দিরের প্রমাণও পাওয়া যায়নি।
সুপ্রিম কোর্ট অযোধ্যা মামলার রায়দান করে জানিয়েছে, আইনি ভিত্তিতেই জমির মালিকানা স্থির করা উচিত। সুন্নি ওয়াকফ বোর্ড অধিকার দাবি করতে পারে না। শর্তসাপেক্ষে মূল বিতর্কিত জমি পাবে হিন্দুরা। ওই জমি পাবে ‘রাম জন্মভূমি ন্যাস’। কেন্দ্রকে তিন থেকে চার মাসের মধ্যে ট্রাস্ট গঠনের নির্দেশ দিয়েছে সুপ্রিম কোর্ট। বিতর্কিত জমি তুলে দেওয়া হবে বোর্ড অফ ট্রাস্টের হাতে। ট্রাস্টের তত্ত্বাবধানেই বিতর্কিত জমিতে রাম মন্দির নির্মাণ হবে। বিকল্প ৫ একর জমি পাবে সুন্নি ওয়াকফ বোর্ড।
সুপ্রিম রায়ের পরই নির্মোহী আখড়ার মুখপাত্র কার্তিক চোপড়া জানিয়েছেন, ‘দীর্ঘ ১৫০ বছর ধরে আমাদের লড়াইকে মান্যতা দিয়েছে সুপ্রিম কোর্ট এ জন্য নির্মোহী আখড়া কৃতজ্ঞ।’ অযোধ্যা মামলায় সুপ্রিম কোর্টের রায়ের প্রেক্ষিতে সর্বভারতীয় মুসলিম পার্সোনাল আইন বোর্ডের পক্ষ থেকে জাফারিয়াব জিলানি জানিয়েছেন, ‘সুপ্রিম কোর্টের রায়কে সম্মান জানাচ্ছি, কিন্তু রায়দান সন্তোষজনক নয়। কোথাও কোনও ধরনের প্রদর্শন করা উচিত নয়।’