অরুণাচলের আকাশে নিখোঁজ বিমানের সন্ধানদাতাকে পাঁচ লক্ষ টাকার পুরস্কার, ঘোষণা কর্তৃপক্ষের

< 1 - মিনিট |

ররৈয়া বিমানবন্দর থেকে যাত্রা করার পর এদিন বেলা একটা (১৩:০০) পর্যন্ত বিমানের সঙ্গে শেষবারের মতো গ্ৰাউন্ড এজেন্সির সঙ্গে যোগাযোগ ছিল। কিন্তু এর পর থেকে তার সঙ্গে যোগযোগ বিচ্ছিন্ন হয়ে যায় বিমানবন্দরের ভূতল সংস্থার সঙ্গে

কে আর সি টাইমস ডেস্ক

অরুণাচল প্রদেশের আকাশে ভারতীয় বায়ুসেনার নিখোঁজ এএন-৩২ এয়ারক্র্যাফ্টের সন্ধানদাতাকে পাঁচ লক্ষ টাকার পুরস্কার ঘোষণা করেছে কর্তৃপক্ষ। 

গত ৩ জুন অসমের যোরহাট থেকে অরুণাচল প্ৰদেশের মেচুকার উদ্দেশে যাত্রাকারী বায়ুসেনা পণ্যবাহী বিমানটি আকাশমাৰ্গ থেকে নিখোঁজ হওয়ার সাতদিন অতিক্রান্ত হয়ে গেছে। আজ পর্যন্ত তার সন্ধান পায়নি উদ্ধার অভিযানকারী ভারতীয় নৌ-বাহিনীর লং রেঞ্জ সামুদ্রিক তদন্তকারী বিমান পি-৮-আই, ভারতীয় স্পেস রিসার্চ অর্গানাইজেশন (ইসরো)-এর স্যাটেলাইট, সুখয় ৩০, এমআই-১৭ হেলিকপ্টার এবং হারকিউলিস সি-১৩০ বিমান। ফলে অসহায় ভারতীয় বায়ুসেনা কর্তৃপক্ষ নিখোঁজ বিমানের সন্ধানদাতাকে নগদ টাকা দেওষ়া হবে বলে ঘোষণা করেছেন। 

যদি কোনও ব্যক্তি বিমানটির সন্ধান পান তা-হলে ০৩৭৮-৩২২২১৬৪, ৯৪৩৬৪৯৯৪৭৭, ৯৪০২০৭৭২৬৭ এবং ৯৪০২১৩২৪৭৭ নম্বরে যোগাযোগ করে জানাতে অনুরোধ করা হয়েছে। এয়ার মার্শাল ডি মাথুর কর্তৃক ঘোষিত বিবৃতিতে আরও বলা হয়েছে, যে বা যাঁরা বিমানের সন্ধান দেবেন, তাঁদের প্রত্যেককে পৃথক পৃথক ভাবে নগদ পাঁচ লক্ষ টাকা করে পুরস্কার দেওয়া হবে।

উল্লেখ্য, গত সোমবার ৩ জুন পণ্যবাহী ১৩০ জে নম্বরের এএন-৩২ ডাবল ইঞ্জিনের বায়ুসেনার বিমানটি রেশন সামগ্রী নিয়ে উজান অসমের যোরহাটে অবস্থিত ররৈয়া বিমানবন্দর থেকে বেলা প্রায় ১২.২৫ মিনিট নাগাদ অরুণাচল প্রদেশের উদ্দেশে উড়েছিল। বিমানে আটজন বায়ুসেনা এবং পাঁচজন স্থলসেনা-সহ মোট ১৩ জন যাত্রী ছিলেন। বিমানটি পণ্য সামগ্রী নিয়ে অরুণাচল প্রদেশের চীন সীমান্তবর্তী মেচুকা অ্যাডভান্স ল্যান্ডিং গ্ৰাউন্ডে অবতরণ করার কথা ছিল। 

ররৈয়া বিমানবন্দর থেকে যাত্রা করার পর এদিন বেলা একটা (১৩:০০) পর্যন্ত বিমানের সঙ্গে শেষবারের মতো গ্ৰাউন্ড এজেন্সির সঙ্গে যোগাযোগ ছিল। কিন্তু এর পর থেকে তার সঙ্গে যোগযোগ বিচ্ছিন্ন হয়ে যায় বিমানবন্দরের ভূতল সংস্থার সঙ্গে। পরবর্তীতে খবর নিয়ে গন্তব্যস্থলে বিমানটি গিয়ে পৌঁছেনি বলে নিশ্চিত হলে শুরু হয় দৌড়ঝাঁপ। সন্ধানহীন বিমানের সঙ্গে সংযোগ স্থাপন করতে ব্যবহার করা হয় সবধরনের অত্যাধুনিক প্ৰযুক্তি। নিয়োগ করা হয় ভারতীয় নৌ-বাহিনীর লং রেঞ্জ সামুদ্রিক তদন্তকারী বিমান পি-৮-আই, ভারতীয় স্পেস রিসার্চ অর্গানাইজেশন (ইসরো)-এর স্যাটেলাইট, সুখয় ৩০, এমআই-১৭ হেলিকপ্টার এবং হারকিউলিস সি-১৩০ বিমান। কিন্তু কেউ তার উদ্ধারে সক্ষম হচ্ছে না।

Leave a comment

Your email address will not be published. Required fields are marked *

Related news