ভারতের নাগরিকত্ব সংশোধনী আইন নিয়ে উত্তপ্ত পরিস্থিতি উত্তর-পূর্ব রাজ্য। তার জেরেই এবার ভুটানের সামদ্রুপ জোংখার সীমান্ত ফটক সাময়িক স্থগিত রাখার সিদ্ধান্ত নিল ভুটান।
ভুটানের সামদ্রুপজোংখা জেলার লাগোয়া উত্তর পূর্বাঞ্চল ভারতের অসমের কোকরঝাড়, চিরাং, বাকসা ও উদালগুড়ি জেলা। আর অরুণাচল প্রদেশের তাওয়াং এবং পশ্চিম কেমাং জেলা। ভারতের নাগরিকত্ব সংশোধনী আইন নিয়ে উত্তপ্ত পরিস্থিতি উত্তর-পূর্ব রাজ্য। তার জেরেই এবার ভুটানের সামদ্রুপ জোংখার সীমান্ত ফটক সাময়িক স্থগিত রাখার সিদ্ধান্ত নিল। নেহরু জমানায় নয়াদিল্লি ও থিম্পুর মধ্যে বন্ধুত্বের চুক্তি (১৯৪৯)-এর কারণে ভারতীয় ও ভুটানিদের যাতাযাতে তেমন কড়াকড়ি ছিল না। তবে সম্প্রতি সেই নিয়মে কড়াকড়ি করা হয়েছে। তবে রোজই বহু সংখ্যক ভুটানি শুধু অসম বা অরুণাচল প্রদেশ নয়, উত্তর পূর্বের অন্যান্য রাজ্যগুলিতেও যাতায়াত করেন। কিন্তু গত ৭২ ঘণ্টা ধরে অসম রক্তাক্ত। এই অবস্থায় থিম্পু থেকে ভুটানের স্বরাষ্ট্রমন্ত্রকের বার্তা- সাময়িক বন্ধ করা হল সামদ্রুপ জোংখারের ভুটান ফটক। কোনও অবস্থাতেই কোনও ভুটানি নাগরিক ভারতের দিকে যাবেন না। যারা ইতিমধ্যেই ভারতের ভুটানিদের যোগাযোগ করতে বলা হয়েছে ভুটান দূতাবাসের সঙ্গে। নাগরিকত্ব সংশোধনী বিলে সই করেছেন রাষ্ট্রপতি। এটি এখন আইন। তবে এই আইনটি বিল হিসেবে লোকসভা ও রাজ্যসভায় পাস করানো ঘিরে অশান্ত হয়ে ওঠে অসম সহ উত্তর পূর্ব ভারত। স্থানীয় উপজাতি জনগোষ্ঠীগুলির দাবি, নাগরিকত্ব সংশোধনীতে যেভাবে প্রতিবেশী মুসলিম প্রধান দেশগুলি থেকে অ-মুসলিমদের সরাসরি ভারতের নাগরিক করার কথা বলা হয়েছে তাতে বিপন্ন হবে উত্তর পূর্বের নিজস্ব জনভিত্তি। ভুটানের সীমান্তের দিকে থমথমে পরিস্থিতি। সামদ্রুপজোংখারের দিকে স্থানীয় বাস স্ট্যান্ডে তেনা পরিচিত ভিড় নেই। থিম্পু-গেলেফু-পারো-ফুন্টশোলিং-পুনাখা যাওয়ার সারিসারি বাস দাঁড়িয়ে। শুনসান স্থানীয় পেট্রোল পাম্প। সীমান্ত ফটকের সামনে বিশেষ পাহারা দিচ্ছেন রয়্যাল ভুটান আর্মির সদস্যরা। সতর্ক রয়েছে রাজকীয় ভুটানি পুলিশ বাহিনী। সীমান্তের কাছে থাকা সবার পরিচয় পত্র খুঁটিয়ে দেখা হচ্ছে।