আইনি নির্দেশ কে উপেক্ষা করে গঙ্গার দূষণ প্রতিরোধে পশ্চিমবঙ্গ সরকার যথেষ্ঠ উদ্যোগী নয়, অভিযোগ

2 - মিনিট |

আদালতের নির্দেশ সত্ত্বেও গঙ্গার দূষণ প্রতিরোধে পশ্চিমবঙ্গ সরকার যথেষ্ঠ উদ্যোগী হয়নি বলে অভিযোগ

কে আর সি টাইমস ডেস্ক

আদালতের নির্দেশ সত্ত্বেও গঙ্গার দূষণ প্রতিরোধে পশ্চিমবঙ্গ সরকার যথেষ্ঠ উদ্যোগী হয়নি বলে অভিযোগ| এ রকম গা-ছাড়া মনোভাবে জাতীয় পরিবেশ আদালতে তীব্রভাবে ভর্ৎসিত হয়েছে এ রাজ্যের সরকার। মামলার শুনানি হবে ৭ আগস্ট।

পরিবেশবিদ এসএম ঘোষ ‘হিন্দুস্থান সমাচার’-কে বলেন, “ভৌগলিক দিক থেকে একটা বড় ভূখন্ডের শেষে অবস্থিত বলে গঙ্গায় এমনিতেই অনেক বর্জ্য জমার প্রবণতা দেখা যায় । তার ওপর বিভিন্ন যান্ত্রিক জলযানের বিষাক্ত তরল ও ধূলিকণা, তীরবর্তী নানা কারখানা থেকে বর্জ্য এসে মিশছে গঙ্গায়। যে সদিচ্ছা এবং দৃঢ়তার সঙ্গে এগুলো রোখার চেষ্টা করা উচিত, পশ্চিমবঙ্গ সরকারের তা নেই। ওদিকে, সমুদ্রতল উঠে যাওয়ায় গঙ্গায় লবনাক্ত জলের যোগান বাড়ছে। দ্রবীভূত অক্সিজেন কমে যাচ্ছে। গাঙ্গেয় শুশুক এখন প্রায় নিশ্চিহ্ণ। মাছ বা অন্যান্য জলজ প্রাণীর অস্তিত্বও বিপন্ন হয়ে পড়ছে গঙ্গায়।”

প্রায় ৩৪ বছর ধরে চলছে ‘এম সি মেহতা বনাম কেন্দ্রীয় সরকার’ মামলা| এর সাম্প্রতিক শুনানিতে পশ্চিমবঙ্গ, বিহার ও ঝাড়খণ্ড- এই তিন রাজ্য জাতীয় পরিবেশ আদালতের তীব্র সমালোচনার সম্মুখীন হয়। অভিযোগ, বছরের পর বছর এই তিন রাজ্যে দূষণ প্রতিরোধী প্রকল্প সঠিকভাবে কার্যকর হয়নি। এমনকী সাম্প্রতিক শুনানিতে পশ্চিমবঙ্গের কোনও প্রতিনিধি আদালতেও যাননি।

জাতীয় জীবনের ক্ষেত্রে এমন গুরুত্বপূর্ণ একটি বিষয়ে এই তিন রাজ্যের মনোভাবের তীব্র সমালোচনা করে আদালত বলে, এই রাজ্য সরকারগুলিকে ২৫ লক্ষ টাকা করে অন্তর্বর্তী ক্ষতিপূরণ দিতে হবে। এই অর্থ পরিবেশ সংরক্ষণের কাজে লাগানো যেতে পারে। অভিযোগ, গঙ্গার দূষণ আটকাতে ২০১৫ সালের ১০ ডিসেম্বর, ২০১৭ সালের ১৩ জুলাই এবং শেষে ২০১৯ সালের ১৪ মে এই আদালত যেসব নির্দেশ দিয়েছিল, এই রাজ্যগুলি তাতে গুরুত্বই দেয়নি। এমনই অভিমত দিয়েছে আদালত।

পরিবেশ আইনকে গুরুত্ব না দেওয়ার ব্যাপারে সংশ্লিষ্ট কর্তৃপক্ষের এমন প্রবণতা পরিবেশ এবং জনস্বাস্থ্যের ক্ষেত্রে ভয়ঙ্কর চেহারা নিতে পারে। রায়ে এ কথা উল্লেখ করে আদালত বলেছে, রাজ্যগুলিকে যে সময়সীমা দেওয়া হয়েছিল, তা পেরিয়ে গিয়েছে। যারা দূষণ ঘটাচ্ছে, তাদের চিহ্নিত করা হচ্ছে না। ফলে তাদের বিরুদ্ধে ব্যবস্থাও নেওয়া হচ্ছে না। যে অফিসারদের এই প্রসঙ্গে ধারাবাহিক নজরদারি, দখলদারি আটকানো, আইনভঙ্গকারীদের বিরুদ্ধে ব্যবস্থা নেওয়ার কথা, তাঁরা তা করছেন না। ফলে আদালতের নির্দেশ কার্যকর হচ্ছে না। 

Leave a comment

Your email address will not be published. Required fields are marked *