সবজি বিক্রি নিয়ে কালোবাজারি রুখতে কড়া নির্দেশ মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের
মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের নির্দেশ মতো সবজি বাজারে হানা এনফোর্সমেন্ট ব্রাঞ্চের কর্তাদের। ঘূর্ণিঝড় ‘বুলবুল’-এর দাপটে অগ্নিমূল্য সবজির দাম। তাই শুক্রবার সকাল থেকেই কলকাতার বিভিন্ন বাজারে কালোবাজারি রোখার অভিযানে নেমেছেন এনফোর্সমেন্ট ব্রাঞ্চের আধিকারিকরা।
বৃহস্পতিবার নবান্নে টাস্ক ফোর্সের বৈঠকে সবজি বিক্রি নিয়ে কালোবাজারি রুখতে কড়া নির্দেশ দিয়েছেন মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়। আর সই নির্দেশ মতোই বাজারে হানা দিচ্ছে এনফোর্সমেন্ট ব্রাঞ্চের আধিকারিকরা। সবজি বোঝাই ট্রাকেও কড়া নজরদারি চালাচ্ছে পুলিশ। কলকাতা পুলিশের এনফোর্সমেন্ট ব্রাঞ্চের শাখার অফিসাররা গড়িয়াহাট, লেক মার্কেট, কাঁকুড়গাছি-সহ ছ’টি বাজারে হানা দেন। এখন প্রতিদিনই এভাবে অভিযানে চলবে। সোমবার থেকে অভিযান আরও বাড়ানো হবে বলেই খবর। নবান্ন যে দামে বিক্রির নির্দেশিকা দিয়েছে, সেই দামেই সবজি বিক্রি করতে হবে, বিক্রেতাদের স্পষ্ট নির্দেশ এনফোর্সমেন্ট ব্রাঞ্চের আধিকারিকদের।
নবান্ন সূত্রে খবর, জ্যোতি আলুর দাম কেজি প্রতি ১৫-১৬ টাকায় খুচরো বাজারে মিলবে, এমন প্রতিশ্রুতি দিয়েছেন ব্যবসায়ী সংগঠনের কর্তারা। পিঁয়াজের দাম যেন ৫৯-৬০ টাকার উপর না বাড়ে, তাও বলা হয়েছে। সুফল বাংলা স্টলে পিঁয়াজ ৫৯ টাকা করেই দিয়ে যাচ্ছে সরকার। প্রয়োজনে এমন স্টলের সংখ্যা বাড়ানো হবে। স্টলগুলিতে সবজির জোগানও বাড়ানো হবে। উল্লেখ্য,বাঁধাকপি প্রতি কেজিতে চল্লিশ টাকার নিচে মিলছে না। ফুলকপি মাঝারি সাইজের ক্ষেত্রেও খুচরো বাজারে ৩০ টাকা দাম নিচ্ছেন বিক্রেতারা। বেগুন ৩২ টাকা প্রতি কেজি। গাজরের দাম শীতের শুরুতেও ৯০ টাকার কম হওয়ার সম্ভাবনা নেই। আদা ১১৫-১২০ টাকা প্রতি কেজি। টমেটো ৪০ টাকা। ধনে পাতা ১৪০ টাকা। পালং শাক ৫০ টাকা। ফুলকপি বাজারে ২৫-৩০ টাকার নিচে নেই। জ্যোতি আলু ২০-২১ টাকার নিচে সাধারণত কলকাতা ও লাগোয়া বাজারে মিলছে না।