বর্তমানে আগরতলা বিমানবন্দরকে আধুনিকীকরণ করতে চলছে আন্তর্জাতিক মানের টার্মিনাল ভবনের কাজ । আগামী জানুয়ারিতেই চালু করার লক্ষ্যমাত্রা
আগরতলা বিমানবন্দরের রানওয়েকে আরও প্রসারিত করতে মুখ্যমন্ত্রী বিপ্লব কুমার দেব ভারত সরকারের মধ্যস্থতায় বাংলাদেশের ভেতরে জমি চেয়েছেন, জানালেন নিজেই । তিনি বলেন, আগরতলা বিমানবন্দর বাংলাদেশ সীমান্তের একেবারে কাছে। বড় বড় আন্তর্জাতিক উড়োজাহাজ উঠা নামার জন্য আগরতলা বিমানবন্দরের রানওয়ের আরও লম্বা হওয়া প্রয়োজন।
বর্তমানে বিমানবন্দরের যে রানওয়ে রয়েছে এতে বিমান উঠা-নামা করছে স্বাভাবিকভাবে, তবে বড় আকারের এয়ারবাস নামার জন্য আরও বড় রানওয়ের প্রয়োজন। তাই ভারত সরকারের কাছে প্রস্তাব পাঠিয়েছেন, রানওয়েকে আরও প্রসারিত করতে যাতে বাংলাদেশের ভূখণ্ডের দিক থেকে প্রয়োজনীয় জমি পাওয়া যায় তার ব্যবস্থা করার আর্জি জানিয়ে।
মুখ্যমন্ত্রী বলেন, এতে উভয়দেশ লাভবান হবে। বাংলাদেশের একটি বড় অংশের যাত্রী আগরতলা বিমানবন্দর ব্যবহার করে ভারতের বিভিন্ন জায়গা-সহ বিদেশে যাতায়াত করেন, তাই তাদেরও সুবিধা হবে। বাংলাদেশ শুধু জমি দিলে তারা একটি তৈরি এয়ারপোর্ট পাবে। এর জন্য তাঁদের কোনও অর্থ খরচ করতে হবে না। আগরতলা বিমানবন্দরের মতো একটি বিমানবন্দর তৈরি করতে কমপক্ষে বাংলাদেশের ২ হাজার কোটি টাকা খরচ হবে।
তিনি আরও বলেন, বিশ্বের কাছে ভারত-বাংলাদেশের এই মৈত্রী-সম্পর্ক উদাহরণ হয়ে থাকবে যে একটি বিমানবন্দর দুই দেশ মিলে চালাচ্ছে। এজন্য তিনি প্রস্তাব পাঠিয়েছেন ভারত সরকারের কাছে। এখন ভারত ও বাংলাদেশ সরকার মিলে এ-বিষয়ে সিদ্ধান্ত নেবে।
এর আগে তিনি প্রস্তাব দিয়েছেন, যেহেতু বাংলাদেশের বিপুল সংখ্যক যাত্রী আগরতলা বিমানবন্দর দিয়ে যাতায়াত করেন, তাই তাঁদেরকে অনেক ঘুরে আখাউড়া সীমান্ত দিয়ে আগরতলায় আসতে হয়। তাই বাংলাদেশের দিকে একটি টার্মিনাল ভবন হলে তাঁরা সরাসরি নিজের দেশে গাড়ি করে বিমানবন্দরের টার্মিনাল ভবনের কাছে আসতে পারবেন। টার্মিনাল ভবনেই ইমিগ্রেশন শেষ করে বোর্ডিং পাস নিয়ে বিমানে চড়তে পারবেন তাঁরা। এতে বাংলাদেশবাসীর সুবিধা হবে। এখন যদি তারা বিমানবন্দরের রানওয়ে বাড়ানোর জন্য জমি দেয় তবে বাংলাদেশও বিমান পরিষেবার সুযোগ নিতে পারবে।
বর্তমানে আগরতলা বিমানবন্দরকে আধুনিকীকরণ করতে চলছে আন্তর্জাতিক মানের টার্মিনাল ভবনের কাজ । আগামী জানুয়ারিতেই চালু করার লক্ষ্যমাত্রা। এ প্রসঙ্গে উল্লেখ্য যে, আগরতলা বিমানবন্দরের সীমানা দেওয়াল থেকে মাত্র ৫০ মিটারের মধ্যে ভারত-বাংলাদেশ সীমান্তে কাঁটাতারের বেড়া। এখন দেখার বিষয় বাংলাদেশ ভারত সরকারের প্রস্তাবে রাজি হয় কি না।