উন্নত দেশগুলোর মত কলকাতায় ফুটপাথের পাশে ‘সাইকেল পথ’ তৈরির দাবি উঠল। প্রয়োজনে হকারদের পুনর্বাসন দিয়ে রাস্তা ও ফুটপাথের মাঝে এই পথ তৈরি হোক বলে দাবি
উন্নত দেশগুলোর মত কলকাতায় ফুটপাথের পাশে ‘সাইকেল পথ’ তৈরির দাবি উঠল। প্রয়োজনে হকারদের পুনর্বাসন দিয়ে রাস্তা ও ফুটপাথের মাঝে এই পথ তৈরি হোক বলে দাবি। সোমবার দ্বিতীয় ‘বিশ্ব সাইকেল দিবস’। তার প্রাক্কালে, রবিবার শহরে হয়ে গেল এক সাইকেল-মিছিল। ‘কলকাতা সাইকেল সমাজ’ নামে একটি সংগঠন আয়োজিত ওই মিছিলে শহরের রাস্তায় সাইকেল চালানোর উপর থেকে নিষেধাজ্ঞা তুলে নেওয়া, সাইকেল চলার পৃথক লেন তৈরির মতো দাবি তুলে ধরা হয়।
সাইকেলের বহুবিধ সুবিধার কথা মাথায় রেখে ২০১৮ সালে ৩ জুন দিনটিকে ‘বিশ্ব সাইকেল দিবস’ হিসেবে ঘোষণা করা হয় রাষ্ট্রপুঞ্জের তরফে। রাষ্ট্রপুঞ্জের ওয়েবসাইটে সাইকেল সম্পর্কে লেখা রয়েছে এই যানের ব্যবহার বাড়লে কমানো যাবে পরিবেশ দূষণ, আর তার ফলে কমবে বহু রোগের প্রকোপ। সামান্য খরচে গন্তব্যে পৌঁছনো যায়, তেমন সুস্থ রাখা যায় নিজেকেও।
ইউরোপের বিভিন্ন দেশ এবং চিন, জাপানের মতো এশিয়ার অনেক দেশে বিপুল সংখ্যক মানুষ সাইকেল ব্যবহার করেন। সাইকেলে চেপে রাষ্ট্রনেতা বা মন্ত্রীরা কাজে যাচ্ছেন, এমন দৃশ্য সেখানে দুর্লভ নয়। ভারতেও চণ্ডীগড়, পুণে, বেঙ্গালুরুর মতো শহরে সাইকেল আরোহীদের জন্য বিবিধ সুবিধা রয়েছে।
সারা বিশ্ব জুড়েই পরিবেশবান্ধব যান হিসেবে সাইকেলের গুরুত্ব বাড়ছে। অথচ, ধীর গতির যান হিসেবে ২০০৮ সালে কলকাতা শহরের ৬২টি রাস্তায় সাইকেল চালানো নিষিদ্ধ করা হয়েছে ।
সাইকেলপ্রেমীদের বক্তব্য, ‘‘এ শহরে সাইকেল চড়লে জরিমানা দিতে হয়। অথচ, আর্থিক ভাবে পিছিয়ে থাকা বহু মানুষের ভরসা সাইকেল। যত নতুন রাস্তা ও উড়ালপুল তৈরি হচ্ছে, সেগুলি সবই গাড়ি চলার কথা ভেবে। কিন্তু রাস্তায় একটি গাড়ির থেকে অনেক কম জায়গা নেয় সাইকেল, ফলে যানজট হওয়ার আশঙ্কাও কমে। আমাদের বিশ্বাস রাস্তায় সাইকেল চালানোর উপযুক্ত পরিকাঠামো থাকলে আরও অনেকে নিয়মিত সাইকেলে যাতায়াত করতেন।’’