দিল্লির কাশ্মীরি গেট এলাকায় পাঞ্জা শরিফ দরগায় নমাজ পাঠ করেন কেন্দ্রীয় মন্ত্রী মুক্তার আব্বাস নকভি
ইদ ঘিরে আনন্দে মেতে উঠল দেশের প্রতিটি রাজ্যের মুসলিম সম্প্রদায়ের মানুষ। আনন্দে মাতল দিল্লি থেকে বিহার, উত্তরপ্রদেশ থেকে পশ্চিমবঙ্গ, ঝাড়খণ্ড থেকে মধ্যপ্রদেশ প্রভৃতি রাজ্যের আট থেকে আশি। সোমবার সকাল থেকেই উৎসবের আমেজে মেতে ওঠেন মুসলিম সম্প্রদায়ের মানুষজন। সকালবেলা প্রথমেই মসজিদে বা ইদগাতে গিয়ে নমাজ পড়া। তারপর নতুন পোশাক পরে ঘুরে বেড়ানো। সঙ্গে রয়েছে পায়েস, সিমাই, লাচ্ছা কত রকমারি খাবারের আয়োজন।
ইদুজ্জোহা যা বকরি ইদ বলেই বেশি পরিচিত। এর নেপথ্যে রয়েছে এক ধর্মীয় ভাবাবেগ। মুসলিম সম্প্রদায়ের বিশ্বাস, আল্লাহ বা ঈশ্বরের নির্দেশেই এই উৎসব পালিত হয়ে আসছে। ঈশ্বরের নির্দেশ আসে তাঁর প্রিয় শিষ্য ইব্রাহিমের কাছে। ইব্রাহিমকে তাঁর প্রিয় জিনিস কুরবানি দিতে হবে। কিন্তু কি সেই প্রিয় জিনিস? পোষা গোরু, ছাগল? না, কোনোটাই সব থেকে প্রিয় হচ্ছে না। কারণ, একমাত্র প্রিয় তো নিজের সন্তান। তাই সন্তান ইসমাইলকে তিনি ঈশ্বরের উদ্দেশে বলি দিতে চান। কিন্তু কীভাবে নিজের চোখের সামনে প্রিয় সন্তানকে বলি দেবেন? তাই চোখ বেঁধে তিনি সন্তানকে বলি দিতে যান। বলি শেষে দেখেন, তাঁর প্রিয় পুত্র পাশেই দাঁড়িয়ে রয়েছে। বলি হয়ে পড়ে রয়েছে দুম্বা। অর্থাৎ নরহত্যা নয়, এ উৎসবের মূল বলি হল চারপেয়ে পশু। সেই থেকেই গোরু, ছাগল, উটের মতো চারপেয়ে বলি দেওয়ার রেওয়াজ চালু হয়।
সোমবার সকাল থেকেই ঈদুজ্জোহায় মেতে ওঠে দিল্লি, বিহার, উত্তরপ্রদেশ, পশ্চিমবঙ্গ, জম্মু, মধ্যপ্রদেশ, ঝাড়খণ্ড, মহারাষ্ট্র-সহ দেশের বিভিন্ন রাজ্য। দিল্লির জামা মসজিদ, মুম্বইয়ের হামিদিয়া মসজিদ, ভোপালের ইদগাহ মসজিদ, উত্তর প্রদেশের আলিগড়ের শাহ জামাল মসজিদ সর্বত্রই নমাজ পাঠ করেন মুসলিম ধর্মাবলম্বীরা। দিল্লির কাশ্মীরি গেট এলাকায় পাঞ্জা শরিফ দরগায় নমাজ পাঠ করেন কেন্দ্রীয় মন্ত্রী মুক্তার আব্বাস নকভি। এই উৎসবকে ঘিরে যাতে কোনোরকম অপ্রীতিকর ঘটনা না ঘটে সেজন্য কড়া নিরাপত্তার ব্যবস্থা করা হয়েছে।