যে অংশটা দিয়ে নদী থেকে মহিষা বিলে জল ছাড়া হয়েছিল সেই অংশটাই ভেঙ্গে পড়ছে
শিলচর : মাত্র গতকালই বেতু কান্দি বাধের কাজ শেষ হয়েছে ।উদ্বোধন করেছিলেন বিধায়ক দীপায়ন চক্রবর্তী । ২৪ ঘন্টা যেতে না যেতেই ভেঙ্গে পড়ছে বাঁধ ও স্লুইস গেটের নিচের অংশ। রীতিমত স্ট্রেট ড্রাইভ দিয়ে বাঁধের উদ্বোধন করা হয়। এবং উদ্বোধন শেষ হওয়ার পর ফেসবুক পোস্টে প্রশংসায় ভরিয়ে দেওয়া হয়েছিল সাংসদ এবং বিধায়ক কে। কিন্তু মাত্র ২৪ ঘন্টা যেতে না যেতেই ভাঙ্গন ধরছে বাঁধে। যে অংশটা দিয়ে নদী থেকে মহিষা বিলে জল ছাড়া হয়েছিল সেই অংশটাই ভেঙ্গে পড়ছে।
যে বেতুকাঁন্দিত নিয়ে এত উৎপাত এত চর্চা এত বিতর্ক। গত বছর এই বাঁধ ভাঙ্গায় সারা শহর জলে ডুবে যায়। অনেক টানাপোড়নের পর শেষ পর্যন্ত বাঁধের কাজ শুরু হয়েছিল তাও বর্ষার ঠিক আগে। তবুও বলতে হবে অনেক সময় পেয়েছে প্রশাসন। মে জুন মাসের এই দিনগুলিতে বৃষ্টি হয়নি। কিন্তু তারপরও যে বাঁ ধ নির্মাণ করা হলো সেটার কাজের মান এতই নিম্নমানের যে ২৪ ঘন্টার মধ্যে ভেঙ্গে পড়ল। কতটুকু দায়িত্ব জ্ঞানহীনতার পরিচয় দিয়েছে জলসম্পদ বিভাগ এর প্রমাণ হল এই বাঁধ ভাঙ্গা।
এ নিয়ে অনেক যুক্তি হাজির করা হবে কিন্তু মানুষ এটা বুঝে নিয়েছেন যে কাজের মান অত্যন্ত নিম্নমানের হয়েছে। ৫৯ কোটি টাকা নির্মিত এই প্রকল্প যদি এভাবে জায়গায় জায়গায় ভেঙ্গে পড়ে তাহলে শিলচর ফের বন্যায় ঢুকবে এমন একটা আশঙ্কা কিন্তু থেকে গেল।