বাবা ও মায়ের নাম জাতীয় নাগরিকপঞ্জিতে অন্তর্ভুক্ত হওয়ার পরও ৬০টি শিশুর নাম এনআরসিতে সন্নিবিষ্ট হয়নি বলে সর্বোচ্চ আদালতে দাখিলকৃত এক আবেদনের ওপর শুনানি গ্ৰহণ করে উচ্চতম আদালতের প্রধান বিচারপতি শরদ অরবিন্দ বোবদে গঠিত তিনজনের ডিভিশন বেঞ্চ এই নিৰ্দেশ দিয়েছে। এছাড়া এ সম্পৰ্কে অসম সরকারের কাছ থেকে চার সপ্তাহের মধ্যে জবাব চেয়েছে সর্বোচ্চ আদালত।
জাতীয় নাগরিকপঞ্জি (এনআরসি)-তে নাম না থাকলেও কোনও শিশুকে ডিটেনশন ক্যাম্পে পাঠানো যাবে না। এনআরসি সম্পর্কে সোমবার দেশের সর্বোচ্চ আদালতে অনুষ্ঠিত এক শুনানি শেষে বিচারপতি এই রায় দিয়েছেন। রায়ে বলা হয়েছে, যে সকল শিশুর এনআরসিতে নাম অন্তর্ভুক্ত হয়নি, অথচ তার বাবা বা মায়ের নাম উঠেছে, সেই সব মা বাবার শিশুসন্তানদের কোনও অবস্থায় ডিটেনশন ক্যাম্পে পাঠানোর নির্দেশ দিতে পারবে না সংশ্লিষ্টরা।
সর্বোচ্চ আদালতের এই রায় শোনার পর কেন্দ্ৰ এবং রাজ্য সরকারের কৌঁসুলি অ্যাটর্নি জেনারেল কেকে বেণুগোপাল ও সলিসিটর জেনারেল তুষার মেহতা আদলতকে জানান, বাবা ও মায়ের নাম এনআরসিতে অন্তর্ভুক্ত হলেও তাঁদের শিশুসন্তানদের তাদের পরিবারের কাছ থেকে বিচ্ছিন্ন করে ডিটেনশন ক্যাম্পে পাঠানো হয় না।
প্রসঙ্গত, বাবা ও মায়ের নাম জাতীয় নাগরিকপঞ্জিতে অন্তর্ভুক্ত হওয়ার পরও ৬০টি শিশুর নাম এনআরসিতে সন্নিবিষ্ট হয়নি বলে সর্বোচ্চ আদালতে দাখিলকৃত এক আবেদনের ওপর শুনানি গ্ৰহণ করে উচ্চতম আদালতের প্রধান বিচারপতি শরদ অরবিন্দ বোবদে গঠিত তিনজনের ডিভিশন বেঞ্চ এই নিৰ্দেশ দিয়েছে। এছাড়া এ সম্পৰ্কে অসম সরকারের কাছ থেকে চার সপ্তাহের মধ্যে জবাব চেয়েছে সর্বোচ্চ আদালত।