সারা দেশে এনআরসি চালুর ঘোষণাকে সাধুবাদ জানিয়েছে ত্রিপুরার জনজাতিভিত্তিক দুই আঞ্চলিক দল আইপিএফটি এবং আইএনপিটি। তবে সিপিএম এই ঘোষণার তীব্র বিরোধিতা করেছে। একই পথে হেঁটেছে প্রদেশ কংগ্রেসও। ফলে, এনআরসি নিয়ে শাসক-বিরোধী উভয় শিবিরেই তীব্র মতানৈক্যের সৃষ্টি হয়েছে।
রাজ্যসভায় দাঁড়িয়ে কেন্দ্রীয় স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী অমিত শাহের সারা দেশে এনআরসি চালুর ঘোষণাকে সাধুবাদ জানিয়েছে ত্রিপুরার জনজাতিভিত্তিক দুই আঞ্চলিক দল আইপিএফটি এবং আইএনপিটি। তবে সিপিএম এই ঘোষণার তীব্র বিরোধিতা করেছে। একই পথে হেঁটেছে প্রদেশ কংগ্রেসও। ফলে, এনআরসি নিয়ে শাসক-বিরোধী উভয় শিবিরেই তীব্র মতানৈক্যের সৃষ্টি হয়েছে।
কেন্দ্রীয় স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী অমিত শাহের এনআরসি সংক্রান্ত ঘোষণাকে ঘিরে ত্রিপুরায় শাসক জোট জনজাতিভিত্তিক আঞ্চলিক দল আইপিএফটি সাধুবাদ দিয়েছে। দলের সভাপতি তথা ত্রিপুরা সরকারের রাজস্ব দফতরের মন্ত্রী এনসি দেববর্মার সাফ কথা, জনজাতি এবং উত্তর-পূর্বাঞ্চলের স্থায়ী বাসিন্দারা ক্ষতিগ্রস্ত না হলে এনআরসি-তে আপত্তি নেই। তাঁর বক্তব্য, আইনিভাবে যাঁরা এনআরসি-তে যুক্ত হওয়ার যোগ্য তাঁরা থাকবেন। অন্যরা বেরিয়ে যাবেন। এতে আপত্তি থাকার কোনও কারণ নেই।
প্রায় একই সুর ত্রিপুরার জনজাতিভিত্তিক আঞ্চলিক বিরোধী দল আইএনপিটির। দলের সাধারণ সম্পাদক জগদীশ দেববর্মা বলেন, ভারতীয় সংবিধানকে যাঁরা মান্যতা দেবেন তাঁরা এনআরসি-কে অস্বীকার করতে পারবেন না। তাঁর দাবি, ত্রিপুরায় দীর্ঘ সময় ধরে এনআরসি চালু করার জন্য আন্দোলন করছে আইএনপিটি। তাই দলের তরফে ত্রিপুরায় এনআরসি দাবিতে সুপ্রিমকোর্টে আবেদন জানানো হয়েছে। তাঁর কথায়, প্রকৃত ভারতীয় যাঁরা তাঁরা এনআরসি-তে অন্তর্ভুক্ত হবেন। অন্যদের নাম ভারতীয় নাগরিকত্বের তালিকা থেকে বাদ পড়বেন। তাঁর সাফ কথা, এনআরসি-কে স্বাগত জানাই। প্রয়োজনে সুপ্রিমকোর্টের রায় ঘোষণার আগেই সারা দেশে এনআরসি চালু করুক কেন্দ্রীয় সরকার।
তবে সারা দেশে এনআরসি-র বিরোধিতা করেছে সিপিএম। সিপিএম-এর পলিটব্যুরো আজ এক বিবৃতিতে অসমের উদহারণ দিয়ে বলেছে, এনআরসি-র জন্য অসমে বহু নাগরিক হয়রানির শিকার হয়েছেন। অথচ অসমে পুনরায় এনআরসি করতে চাইছে কেন্দ্রীয় সরকার। সিপিএমের দাবি, আধার এবং ভোটার কার্ড থাকার পর এনআরসি-র প্রয়োজনীয়তা নেই। এতে অসমের মতো অযথা প্রচুর অর্থ ব্যয় হবে। সাথে সিপিএম যোগ করেছে, সারা দেশে এনআরসি হলে অসমের মতোই গোটা দেশবাসী হয়রানির শিকার হবেন। এদিকে, ত্রিপুরা প্রদেশ কংগ্রেস কমিটির কনভেনার পীযূষকান্তি বিশ্বাস বলেন, রাজনৈতিক উদ্দেশ্যে অসমে এনআরসি চালু হয়েছিল। বিজেপি ধর্মের ভিত্তিতে নাগরিকদের চিহ্নিত করতে চেয়েছিল। উল্টে বুমেরাং হয়ে গেছে। কারণ, অসমে হিন্দুদের উপরেই আঘাত এসেছে। তিনি সুর চড়িয়ে বলেন, অসমে এনআরসি-র জন্য লক্ষ লক্ষ মানুষ হয়রানির শিকার হয়েছেন। অনেকের মৃত্যুও হয়েছে। এর জবাব দিক বিজেপি, তার পর নতুন করে এনআরসি নিয়ে ভাবা উচিত কেন্দ্রের, কটাক্ষ করে বলেন তিনি।