বিহার ও উত্তর প্রদেশ সরকারকে হলফনামা দেওয়ার নির্দেশ সুপ্রিম কোর্টের
বিহারের মুজফফরপুরে অ্যাকিউট এনসেফেলাইটিস সিনড্রোম (এইএস)-এ আক্রান্ত হয়ে মৃত্যু মিছিল অব্যাহত। মৃতের সংখ্যা বেড়ে দাঁড়িয়েছে ১৫২-এ। বিগত এক মাস ধরে প্রতিদিনই এনসেফেলাইটিস রোগে আক্রান্ত হয়ে মৃত্যু হচ্ছে শিশুর। এমতাবস্থায় সোমবার জনস্বাস্থ্য, পুষ্টি ও স্যানিটেশন সম্পর্কিত সুবিধার বিশদ বিবরণ প্রদান করে ৭ দিনের মধ্যে বিহার ও উত্তর প্রদেশ সরকারকে হলফনামা দেওয়ার নির্দেশ দিল সুপ্রিম কোর্ট। মুজফ্ফরপুরে অ্যাকিউট এনসেফেলাইটিস সিনড্রোম (এইএস)-এ আক্রান্ত হয়ে শিশু মৃত্যুর প্রেক্ষিতে গাফিলতির অভিযোগে মামলা দায়ের হয় কেন্দ্রীয় স্বাস্থ্যমন্ত্রী ড. হর্ষ বর্ধন এবং বিহারের স্বাস্থ্য মন্ত্রী মঙ্গল পাণ্ডের বিরুদ্ধে। গাফিলতির অভিযোগে দায়ের হওয়া মামলায় এদিন কেন্দ্রীয় স্বাস্থ্যমন্ত্রী এবং বিহারের স্বাস্থ্যমন্ত্রীর বিরুদ্ধে তদন্তের নির্দেশ দিলেন মুজফফরপুরের মুখ্য বিচারবিভাগীয় ম্যাজিস্ট্রেট সূর্যকান্ত তিওয়ারি। বিহারের মুজফ্ফরপুরে এইএস-এর প্রাদুর্ভাবে শয়ে শয়ে রোগীমৃত্যুর প্রেক্ষিতে দেশের সর্বোচ্চ আদালতে জনস্বার্থ মামলা (পিআইএল) করেন দুই আইনজীবী দায়ের। এদিন সুপ্রিম কোর্টে এই মামলার শুনানিতে, মুজফফরপুরের অ্যাকিউট এনসেফেলাইটিস সিনড্রোমে (এইএস) আক্রান্ত রোগীদের চিকিৎসার জন্য জনস্বাস্থ্য, পুষ্টি ও স্যানিটেশন সম্পর্কিত সুবিধার বিশদ বিবরণ প্রদান করে বিহার ও উত্তর প্রদেশ সরকারকে সাত দিনের মধ্যে হলফনামা পেশ করার নোটিশ দিয়েছে সুপ্রিম কোর্ট। এনসেফেলাইটিস নিয়ন্ত্রণে রাজ্য সরকারের তরফে কী কী ব্যবস্থা নেওয়া হয়েছে, আক্রান্ত শিশুদের পর্যাপ্ত চিকিৎসা হচ্ছে কিনা, তারা প্রয়োজন মতো ওষুধপত্র পাচ্ছে কিনা, হাসপাতালগুলিতে উপযুক্ত পরিকাঠামো রয়েছ কিনা— সেসব বিষয়ে সাত দিনের মধ্যে হলফনামা দিয়ে জানাতে হবে। ১০ দিন পর ফের মামলার শুনানি। অন্যদিকে, অ্যাকিউট এনসেফেলাইটিস সিনড্রোমে রোগীমৃত্যুর প্রভাব এসে পড়ল পশ্চিমবঙ্গেও। এইএস-এ আক্রান্ত হয়ে শতাধিক রোগীমৃত্যুর প্রতিবাদে এদিন কলকাতার রাজভবনের সামনে বিক্ষোভ দেখায় এসইউসিআই।