এবার অসমের এনআরসি নিয়ে সরব ডাব্লুএসএস

< 1 - মিনিট |

এনআরসির বিরুদ্ধে জনমত গড়ে তুলছে পশিমবঙ্গের শাসক দল। এবার অসমের এনআরসির বিরুদ্ধে নিয়ে সরব হলেন উইমেন এগেইনস্ট সেক্সুয়াল ভায়োলেন্স এন্ড স্টেট রিপ্রেসন (ডাব্লুএসএস)

কে আর সি টাইমস ডেস্ক

এনআরসির বিরুদ্ধে সরব দেশের বিরোধী রাজনৈতিক দলগুলি। নিরাপত্তার চাদরে মুড়ে ফেলা হয়েছে অসমকে। এনআরসির বিরুদ্ধে জনমত গড়ে তুলছে পশিমবঙ্গের শাসক দল। এবার অসমের এনআরসির বিরুদ্ধে নিয়ে সরব হলেন উইমেন এগেইনস্ট সেক্সুয়াল ভায়োলেন্স এন্ড স্টেট রিপ্রেসন (ডাব্লুএসএস)। মঙ্গলবার কলকাতা প্রেস ক্লাবে সাংবাদিক সন্মেলনে ডাব্লুএসএস-এর তরফে দাবি করা হয়  অসমে এনআরসিতে বাদ যাওয়াদের মধ্যে বেশির ভাগই মহিলা ও শিশু। 

অসমে নআরসি-র তালিকা প্রকাশের পর জানা যায় সেখান থেক বাদ যায় ১৯ লক্ষ ৬ হাজার ৬৫৭ জনের নাম। কিন্তু সেই সব মানুষদের দাবি তারা ভারতীয়। এনআরসি থেকে বাদ পড়া মানুষদের নিজেদের ভারতীয় নাগরিকত্ব প্রমাণ করার জন্য তাঁদের বিদেশি ট্রাইব্যুনালে আবেদন জানাতে হবে। কিন্তু সেই সব মানুষদের নেই সামর্থ্য|নিজেদের ভারতীয় প্রমান করতে গিয়ে জমি বাড়ি বেচেঁ দিতে হচ্ছে। অনেকে যে জমির জন্য লড়াই করছে তাঁদের ভারতীয় নাগরিক প্রমান করতে গিয়ে টাকার জন্য বেচে দিতে হচ্ছে সেই জমি। আর সেই কারণে ডাব্লুএসএস-র তরফে একটি টিম ৫ নভেম্বর থেকে ১০ নভেম্বর অসমের বিভিন্ন জায়গায় যায় এনআরসি থেকে বাদ পরা মানুষদের প্রতিক্রিয়া জানতে যায়। ডাব্লুএসএস-র তরফে জানানো হয় তাঁরা প্রতিক্রিয়া নিতে গিয়ে জানতে পারে এনআরসি থেকে বাদ পরা মানুষদের মধ্যে বেশিরভাগই মহিলা ও শিশু। কিন্তু সেটা কেন হবে।
মেয়েদের কেনও থাকবে না নিজেদের বাড়ি। বিয়ের আগে বলা হয় বাপের বাড়ি তাঁদের নিজেদের বাড়ি। আর বিয়ের পরে বলা হয় শ্বশুর বাড়ি তাঁদের নিজেদের বাড়ি। এখন তাদের বলা হচ্ছে তাঁরা ভারতীয় নাগরিকই নয়। তাহলে এখন তাঁরা কোথায় যাবে।
এই প্রসঙ্গে ডাব্লুএসএস-র সদস্য নিশা বিশ্বাস বলেন, ‘যদি আমাকে এখন বলা হয় আমি বিদেশী। আমি ভারতীয় নই তাহলে আমকে সরকার বলে দিক আমি কোথায় গিয়ে থাকবো। আমরা অসমে গিয়ে বুঝতে পেরেছি সেখনকার মহিলারা কতটা অসহায়|তাঁদের নিজেদের কোনও বাড়ি নেই। এনআরসি থেকে বাদ পরা মানুষদের মধ্যে বেশিরভাগ মহিলা। তাঁরা নিজেদের ভারতীয় প্রমান করতে বাপের বাড়ির কাছে সাহায্য চাইলে বাপের বাড়ির লোক হাত তুলে নিচ্ছে। তাহলে তাঁরা এখনও কোথায় যাবে। এই সমস্যার আমরা সমাধান দাবি করছি’।

Leave a comment

Your email address will not be published. Required fields are marked *

Related news