কড়া নিরাপত্তা বেষ্টনীর মধ্যে যাত্রা করলেন ৪৪১৭ তীর্থযাত্রী
অমরনাথ যাত্রার দ্বিতীয় দিনে কড়া নিরাপত্তা বেষ্টনীর মধ্যে অমরনাথের উদ্দেশ্যে রওনা দিলেন ৪৪১৭ জন তীর্থযাত্রী। জম্মুর ভগবতীনগর বেসক্যাম্পে প্রচলিত পুজো সেরে বালতাল এবং পহেলগামের বেসক্যাম্পের উদ্দেশ্যে রওনা দিয়েছেন তাঁরা। ঐতিহ্যবাহী তীর্থযাত্রার দ্বিতীয় দলে বালতালের উদ্দেশ্যে রওনা হয়েছেন ১১৭৪ জন পুরুষ, ৩৭৯ জন মহিলা, ১৫ জন শিশু, ৪৯ জন সাধু এবং সাধ্বী। অন্যদিকে, পহেলগামের উদ্দেশ্যে রওনা দিয়েছেন ২৮০০ জন তীর্থযাত্রী, ২৩২১ জন পুরুষ, ৪৬৩ জন মহিলা এবং ১৬ জন শিশুও রয়েছেন। বাইক সহ পুলিশ ও নিরাপত্তা বাহিনীর কনভযে বাস ও গাড়িতে রওনা দিয়েছে এই দ্বিতীয় দলটি। দক্ষিণ কাশ্মীর হিমালয়ের ৩৮৮০ মিটার উঁচুতে অমরনাথ গুহা। প্রতিবছরই হাজার হাজার পূণ্যার্থী এই অমরনাথ যাত্রা করেন। মূলত দুটি প্রধান পথে বালতাল এবং পহেলগামের রাস্তা ধরেই এই তীর্থের যাত্রাপথ। এই পথে জঙ্গিদের নাশকতার ঝুঁকি এড়াতে যাত্রাপথে টহল দিচ্ছে সিআরপিএফ। এদিন কর্তৃপক্ষের তরফে ‘বারকোড-সক্ষম’ স্লিপ দিতে শুরু করেছে যার মাধ্যমে প্রকৃত কত সংখ্যক মানুষ গুহায় প্রবেশ করছেন এবং গুহা মন্দির থেকে বেরিয়ে আসছেন তা নজরে রাখা যাবে। এ প্রসঙ্গে বালতাল বেস ক্যাম্পের ডিরেক্টর কৃষান লাল এদিন জানিয়েছেন, “অমরনাথ শ্রাইন বোর্ড এটি শুরু করেছে এবং সিআরপিএফকে দায়িত্ব দেওয়া হয়েছে। এটি একটি দুর্দান্ত উদ্যোগ এবং অমরনাথ যাত্রার ব্যবস্থাপনায় আমাদের সাহায্য করবে। তবে আবহাওয়ার কথা এখনই বলা যাচ্ছে না, তা অত্যন্ত অনিশ্চিত।” আগামী ১৫ অগাস্ট রাখী বন্ধন উত্সবের সঙ্গে শেষ হবে ৪৬ দিনের এই বার্ষিক পবিত্র তীর্থযাত্রা। যাত্রীদের নিরাপত্তা সুনিশ্চিত করতে ৪০,০০০ নিরাপত্তারক্ষী মোতায়েন করা হয়েছে। এর মধ্যে সেনাবাহিনী, সিআরপিএফ, জম্মু ও কাশ্মীর রাজ্য পুলিশও রয়েছে।