পাকা ধানে হাতির তাণ্ডব, মাথায় হাত চাষিদের
প্রতি বছরের এবারও শুকনো মরশুমে বুনো হতির দল পাকা ধানের গন্ধে মাতোয়ারা হয়ে হানা দিচ্ছে করিমগঞ্জ জেলার অন্তর্গত পাথারকান্দির লোয়াইরপোয়া উন্নয়ন খণ্ডের অধীন হাতিখিরা চা বাগানে। দলবদ্ধভাবে বুনো হাতিররা এলাকার কৃষকদের পাকা ধান খেয়ে তছনছ করে দিচ্ছে।
গত কয়ে কদিন ধরে হাতির একটি দল হাতিখিরা চা বাগানে অবস্থান করে সবেমাত্র পেকে আসা ধান সাবাড় করছে। তবে কোনও গৃহস্থের বসতবাড়িতে হানা দেওয়ার খবর নেই। অবশ্য হাতির আনাগোনায় ভয়ে তটস্ত এলাকার মানুষ। ইতিপূর্বে হাতির দলটি চা বাগানের ভিতরে অবস্থান করলেও তারা গত দু তিন দিন ধরে বাজারিছড়া থানাধীন অসম-ত্রিপুরা ৮ নম্বর জাতীয় সড়ক সংলগ্ন ডেঙ্গারবন্দ গ্রাম পঞ্চায়েত (জিপি) সংলগ্ন হাতিখরা জিপি-র সাত, আট, পাঁচ নম্বর চৈলতাগুল এবং ৫৮ নম্বর প্রভৃতি স্থানের বিভিন্ন চাষিদের পাঁকা ধানের মাঠে হানা দিয়ে মাড়িয়ে একাকার করে দিয়েছে।
গত কয়েলকদিনে এলাকার প্রায় ত্রিশ বিঘা খেতের পাকা ধান বুনো হাতির দল তাণ্ডব চালিয়ে গরিব চাষিদের দুশ্চিন্তায় ফেলে দিয়েছে। বুনো হাতির ভয়ে নিজেদের জানমাল রক্ষা করতে টিন বাজিয়ে, আগুন জ্বালিয়ে ও বাজি পুড়িয়ে রাত জেগে প্রহরা দিচ্ছেন এলাকার সমস্যাগ্রস্তরা। এ ব্যাপারে হাতিখিরা চা বাগানের শ্রমিক পরিবারের যুবক চন্দন কুর্মি জানান, একদিকে গত দেড়মাস ধরে বাগানে লক আউট চলছে, তার উপর বুনো হাতির তাণ্ডব। সব মিলিয়ে জনসাধারণ অতিষ্ঠ হয়ে পড়েছেন। তিনি জানান, গত কয়োক দিনে পাঁচটি হাতিতির দলটি সন্ধা ঘনিয়ে আসতেই চাষিদের পাকা ধান খেতে নেমে তছনছ করে দিচ্ছে চালাচ্ছে। তাঁদের আশঙ্কা, বিগত দিনগুলির মতো এবারও হাতির দল লোকালয়ে প্রবেশ করে জনগণের বসতবাড়ি গুড়িয়ে দিতে পারে। এলাকার সমস্যাগ্রস্তরা জেলার বন দফতরের ওপর ভরসা হারিয়ে অবশেষ হাতি রোধে রাজ্যের বনমন্ত্রী পরিমল শুক্লবৈদ্যের হস্তক্ষেপ দাবি করেছেন।