‘কঠিন পরিস্থিতিতে সাহসিকতার পরিচয় দেখিয়েছে কূলভূষণ যাদবের পরিবার| কূলভূষণ যাদবের নিরাপত্তা, সুস্থতা এবং তাঁকে ভারতে ফিরিয়ে আনার জন্য সরকার সমস্ত ধরনের প্রচেষ্টা চালিয়ে যাবে, আমি তা নিশ্চিত করে বলছি’
পাকিস্তানে ভারতের হয়ে চরবৃত্তিতে অভিযুক্ত কুলভূষণ যাদবের মামলায় বড় জয় পেয়েছে ভারত| পাক সামরিক আদালতের দেওয়া মৃত্যুদণ্ডের আদেশ পুনর্বিবেচনা করতে পাকিস্তানকে নির্দেশ দিয়েছে দ্য হেগের আন্তর্জাতিক ন্যায় আদালত| তবে, পাকিস্তানের মতে আন্তর্জাতিক ন্যায় আদালতে তাঁরাই নাকি জয় পেয়েছে| আন্তর্জাতিক ন্যায় আদালতে কূলভূষণ যাদব মামলার প্রেক্ষিতে বৃহস্পতিবার সংসদের উচ্চকক্ষ রাজ্যসভায় বক্তব্য রাখেন কেন্দ্রীয় বিদেশমন্ত্রী এস জয়শঙ্কর| এদিন রাজ্যসভায় বিদেশমন্ত্রী বলেছেন, ‘আন্তর্জাতিক ন্যায় আদালতে ১৫ জন সদস্যের ভোট ভারতের বক্তব্যকেই সমর্থন করেছে| এটাও বুঝিয়ে দিয়েছে বিভিন্নভাবে ভিয়েনা সম্মেলনকে লঙ্ঘন করেছে পাকিস্তান| কুলভূষণ যাদবকে মুক্তি ও ফিরিয়ে দেওয়ার জন্য পাকিস্তানের কাছে ফের আহ্বাণ জানাচ্ছি|’
কঠিন সময়ে সাহসিকতার পরিচয় দেওয়ার জন্য কূলভূষণের পরিবারেরও প্রশংসা করেছেন বিদেশমন্ত্রী এস জয়শঙ্কর| বিদেশমন্ত্রী রাজ্যসভায় বলেছেন, ‘কঠিন পরিস্থিতিতে সাহসিকতার পরিচয় দেখিয়েছে কূলভূষণ যাদবের পরিবার| কূলভূষণ যাদবের নিরাপত্তা, সুস্থতা এবং তাঁকে ভারতে ফিরিয়ে আনার জন্য সরকার সমস্ত ধরনের প্রচেষ্টা চালিয়ে যাবে, আমি তা নিশ্চিত করে বলছি|’ বিদেশমন্ত্রীর বক্তব্য শেষে রাজ্যসভার চেয়ারম্যান এম বেঙ্কাইয়া নাইডু বলেছেন, ‘আন্তর্জাতিক ন্যায় আদালতের রায়কে স্বাগত জানানোর জন্য রাজ্যসভার প্রতিটি সদস্যই একত্রিত, এ জন্য আমি ভীষণ খুশি| কূলভূষণ যাদব মুক্তি না পাওয়া পর্যন্ত আমরা চাপ বজায় রাখব, এমনই আশা করছি|’
২০১৬ সালের মার্চ মাসে ভারতীয় নৌসেনার প্রাক্তন অফিসার কুলভূষণকে গ্রেফতার করে পাক বাহিনী| পাকিস্তান দাবি করে, বালুচিস্তানে জঙ্গি কার্যকলাপে মদত দেওয়ার সময়ে কূলভূষণ গ্রেফতার হয়েছে| পাক সামরিক আদালত তাঁকে মৃত্যুদণ্ড দেয়| ভারত পাল্ট দাবি করে, ইরানে কূলভূষণের ব্যবসা আছে| তাঁকে সেখান থেকে অপহরণ করে পাকিস্তানে নিয়ে যাওয়া হয়েছে| কূলভূষণের মুক্তি নিয়ে ২০১৭ সালে ৮ মে দ্য হেগের আন্তর্জাতিক ন্যায় আদালতের দ্বারস্থ হয় ভারত| বুধবার আন্তর্জাতিক ন্যায় আদালতের প্রেসিডেন্ট সোমালিয়ার বিচারপতি আব্দুল ওয়াকি আহমেদ ইউসুফের নেতৃত্বাধীন বেঞ্চ সংখ্যাগরিষ্ঠ রায়ে জানায়, ভারতের আর্জি গ্রহণযোগ্য| ভারতীয় কূটনীতিকদের কূলভূষণের সঙ্গে দেখা করতে দিতে হবে| তাঁর আইনি প্রতিনিধিত্বের ব্যবস্থাও করতে হবে| পুনর্বিবেচনা করতে হবে তাঁর মৃত্যুদণ্ডের আদেশ|