ক্যাব : সোনাই থেক ২৫০ জন, শিলচর থেকে সাতজন এবং কাটিগড়া এলাকা থেকে ৩৩ জন পিকেটারকে গ্রেফতার
নাগরিকত্ব সংশোধনী বিল, ২০১৯ (ক্যাব)-এর বিরুদ্ধে ১১ ঘণ্টার অসম বনধ-এর মিশ্র প্রভাব পড়েছিল কাছাড় জেলায়। মঙ্গলবার সকাল থেকেই বিল-এর বিরুদ্ধে রাস্তা অবরোধ, কুশপুত্তলিকা দাহ এবং ক্ষণে-ক্ষণে স্লোগান দিয়েছেন প্রতিবাদকারীরা। তবে যথারীতি ট্রেন চলেছে এবং স্কুল, অফিসও খোলা ছিল।
কাছাড় জেলায় কিছু ব্যতিক্রম ছাড়া মোটামুটি বিল-এর সমর্থনেই রয়েছে বলে আভাস মিলেছে। প্রাপ্ত খবরে প্রকাশ, সোনাই থেক ২৫০ জন, শিলচর থেকে সাতজন এবং কাটিগড়া এলাকা থেকে ৩৩ জন পিকেটারকে গ্রেফতার করা হয়েছে। কয়েকটি জায়গায় বনধ সমর্থকরা টায়ার জ্বালিয়ে রাস্তা অবরোধ করার চেষ্টা করেছে। কিন্তু পুলিশ পৌঁছনোর সাথে সাথেই এরা কেটে পড়েন তাঁরা। তবে পুলিশের গাড়ি চলে যাওয়ার পর আবার জমায়েত হয়ে ক্যাব ও সরকার-বিরোধী স্লোগান দিয়েছেন প্রতিবাদীরা।
নাগরিকত্ব সংশোধনী বিল-এর বিরোধিতায় নর্থ-ইস্ট স্টুডেন্টস্ অর্গানাইজেশনের ডাকা ১১ ঘণ্টার অসম বনধ-এর প্রভাব পড়েছিল কাটিগড়া বিধানসভা এলাকার কালাইনে। কাঁকড়াকালের ৬ নম্বর জাতীয় সড়ক অবরোধ করে প্রতিবাদ জানান তাঁরা। সরকার ও বিজেপি-বিরোধী স্লোগান দিয়ে অবরোধস্থল উত্তাল করে তুলেন প্রতিবাদী জনগণ। যে-সব জনপ্রতিনিধি নাগরিকত্ব সংশোধনী বিল-এর সমর্থন জানিয়েছেন তাঁরা আগামীদিন তাঁদের ঘর থেকে বাইরে বের হতে পারবেন না বলে হুঁশিয়ারি দেন বনধ সমর্থনকরা। সকাল ৫-টা থেকে বিকেল ২-টা পর্যন্ত ৬ নম্বর জাতীয় সড়ক অবরোধ করে রাখা হয়। পুলিশ প্রশাসন বনধ-এর সমর্থনকারী প্রতিবাদী মহিলা-সহ ৩১ জনকে আটক করে কাটিগড়া থানায় নিয়ে যায়। ঘটনাস্থলের দুই পাশে গাড়ির দীর্ঘ লাইন লেগে যায়। বহু স্কুলের ছাত্রছাত্রী পায়ে হেঁটে তাঁদের বিদ্যালয়ে যান। এছাড়া জেলার মধুরামুখ, সোনাই রোড, উধারবন্দ, কাশীপুর, পুরাতন লক্ষ্মীপুর রোড, আরকাটিপুর, মধুরামুখ, সোনাই বাজার, চামড়া গোদাম, দয়াপুর এলাকায় টায়ার জ্বালিয়ে প্রতিবাদ সাব্যস্ত করেন পিকেটাররা।