দীপক কুমারকে বদলি ছাড়াও রাজ্য সরকারের গৃহ দফতর গুয়াহাটিতে নিয়োজিত চারজন ডিসিপি-কে বদলি করেছে। তাঁদের মধ্যে তিনজন হলেন রঞ্জন ভূঞা (ডিসিপি, পূর্ব গুয়াহাটি), রিপুল দাস (ডিসিপি, মধ্য গুয়াহাটি) এবং খনীন কুমার চৌধুরী (ডিসিপি, পশ্চিম গুয়াহাটি)। অন্যজনের নাম এখনও জানা যায়নি।
নাগরিকত্ব (সংশোধনী) বিল-এর বিরুদ্ধে উত্তাল আন্দোলন প্রতিহত করতে ব্যর্থতার দায়ে বদলি করা হয়েছে গুয়াহাটির পুলিশ কমিশনার দীপক কুমারকে। তাঁর স্থলাভিষিক্ত করা হয়েছে দুঁদে আইপিএস আধিকারিক মুন্না প্রসাদ গুপ্তাকে। এছাড়া অগ্নিগর্ভ অসমকে কড়া হাতে নিয়ন্ত্রণ করতে নিয়ে আসা হয়েছে জিপি সিংকে। এদিকে আরও চার ডিসিপি-কেও বদলি করেছে রাজ্য প্রশাসন।
নাগরিকত্ব (সংশোধনী) বিল (ক্যাব)-এর বিরুদ্ধে উন্মত্ত আন্দোলন দমন করতে কঠোর আইপিএস আধিকারিক জিপি সিংকে গুয়াহাটিতে নিয়ে আসার সিদ্ধান্ত নেয় রাজ্য সরকার। রাজ্যের প্রস্তাবে তড়িঘড়ি তাঁকে পাঠিয়েছে কেন্দ্র। আজ বৃহস্পতিবার সকালেই তিনি গুয়াহাটি এসে পৌঁছেছেন। কথিত আছে, ৯১-৯২ সালে কড়া হাতে আলফা দমন করেছিলেন এই দুঁদে পুলিশ অফসার। সে সময় তিনি অসম পুলশের এডিজিপি ছিলেন। জিপি সিং গুয়াহাটি আসার খবরে আন্দোলনকারীরা মনে করছেন, তাঁকে দিয়ে এবার ক্যাব-বিরোধী ঐক্যবদ্ধ সংগ্রামকে কেবল কড়া হাতে নয়, নিৰ্মমভাবে প্রতিহত করার চেষ্টা করবেন সিং।
এদিকে রাজ্য সরকার গুয়াহাটি মহানগরের পুলিশ কমিশনার দীপক কুমারকে বদলি করে তাঁর স্থলাভিষিক্ত করেছে মুন্না প্রসাদ গুপ্তাকে। গুপ্তা ১৯৯৫ ব্যাচের অসম-মেঘালয় ক্যাডারের আইপিএস আধিকারিক। তিনি এসপিজি-র মহাপরিদৰ্শক হিসেবে নিয়োজিত ছিলেন। মুন্না গুপ্তার বাড়ি অসমের গোলাঘাট জেলায়। গুয়াহাটির কটন কলেজের ছাত্র ছিলেন তিনি। দীপক কুমারকে বদলি ছাড়াও রাজ্য সরকারের গৃহ দফতর গুয়াহাটিতে নিয়োজিত চারজন ডিসিপি-কে বদলি করেছে। তাঁদের মধ্যে তিনজন হলেন রঞ্জন ভূঞা (ডিসিপি, পূর্ব গুয়াহাটি), রিপুল দাস (ডিসিপি, মধ্য গুয়াহাটি) এবং খনীন কুমার চৌধুরী (ডিসিপি, পশ্চিম গুয়াহাটি)। অন্যজনের নাম এখনও জানা যায়নি।