পুলিশ সাত জন পিকেটারকে গ্রেফতার করলেও বিকেল চারটায় মুচলেকা নিয়ে তাঁদের মুক্ত করে দেয়।
নাগরিকত্ব সংশোধনী বিল (ক্যাব) বাতিলের দাবিতে সমগ্র রাজ্যের সঙ্গে মঙ্গলবার করিমগঞ্জ জেলার পাথারকান্দি, কানাইবাজার ও আসিমগঞ্জ এলাকায়ও বনধ পালিত হয়েছে। গোটা পাথারকান্দিতে বনধ-এর মিশ্র প্রভাব পড়েছে।
এদিন সকাল থেকে স্থানীয় বিভিন্ন রাজনৈতিক ও অরাজনৈতিক সংগঠনের উদ্যেগে পিকেটাররা আসিমগঞ্জ, কানাইবাজার এবং পাথারকান্দি এলাকার পৃথক পৃথক স্থানে জাতীয় সড়ক ও রেলপথে অবরোধ গড়ে তুলের জনজীবন অচল করে দেন। স্থানে স্থানে পিকেটাররা সড়কে টায়ারও পুড়িয়েছে। বনধ-এর জেরে পাথারকান্দি শহরের একাংশ দোকানপাট, অফিস, স্কুল-কলেজ, হাটবাজার ছিল আংশিক বন্ধ।
জেলা প্রশাসনের তরফ থেকে জেলাজুড়ে গতকাল থেকে ১৪৪ ধারা জারি করায় দু-একটি অবরোধস্থলে আন্দোলনকারীদের সঙ্গে পুলিশের কিছুটা খণ্ডযুদ্ধও হয়েছে। দুপুরের দিকে পাথারকান্দি পুলিশ বেশ কয়েকজন বনধ সমর্থককে গ্রেফতার করা হয়েছে। তবে সার্বিকভাবে বনধ-এর তেমন প্রভাব পড়েনি। সড়কে দূরপাল্লার যানবাহন চলাচল করেনি। তবে ব্যক্তিগত হালকা যানবাহন চলাচল করেছে যথারীতি।
এদিকে ক্যাব বিরোধী আন্দোলন চলাকালে আজ দুপুরে আসিমগঞ্জে জনৈক স্কুটি আরোহীকে পিকেটাররা বেধড়ক পিটিয়েছে বলে জানা গেছে। আন্দোলনকারীদের মধ্য থেকে স্বঘোষিত জনৈক ছাত্রনেতার হাতে ওই যুবকটি প্রহৃত হওয়ায় এলাকা জুড়ে ঘটনার পরিপ্রেক্ষিতে মিশ্র প্রতিক্রিয়া দেখা দেয়। পরে এই স্কুটি চালক সংখ্যালঘু ছাত্রনেতার বিরুদ্ধে পাথারকান্দি থানায় এক এফআইআর দায়ের করেছেন বলে জানা গেছে। তবে পুলিশ এ ধরনের ঘটনা সম্পর্কে এই খবর লেখা পর্যন্ত অবগত নয় বলে জানিয়েছেন পাথারকান্দির ওসি ঘনকান্ত ভুইয়াঁ।
এদিনের ক্যাব বিরোধী আন্দোলনে অন্যান্যদের মধ্যে শামিল ছিলেন প্রাক্তন মন্ত্রী কংগ্রেস নেতা সিদ্দেক আহমেদ, আব্দুল বারি, নাসির উদ্দিন, শামিম আহমেদ, জয়নুল করিম, আলহাজ উদ্দিন, বদরুল ইসলাম, জুবের আহমেদ, শহিদ আহমেদ প্রমুখ।
পুলিশ আজ মোট সাত পিকেটারকে গ্রেফতার করলেও বিকেল চারটায় মুচলেকা নিয়ে তাঁদের মুক্ত করে দেয়। বনধ-কে কেন্দ্র করে কোনও অপ্রীতিকর পরিস্থিতি যাতে সংগঠিত না হয় সে জন্য স্পর্শকাতর এলাকায় ঘুরে বেরিয়েছেন সার্কল অফিসার তথা প্রশাসনিক ম্যাজিস্ট্রেট এল খিনতে, ডিএসপি সদর সুধন্য শুক্লবৈদ্য, ওসি ঘনকান্ত ভুইয়াঁ প্রমুখ পুলিশ ও সাধারণ প্রশাসনের কর্তারা।