এক বার্তায় শিলচর মেডিক্যাল কলেজের ভাইস প্রিন্সিপাল ডঃভাস্কর গুপ্ত জানান যে- শিলচর মেডিক্যাল কলেজে জনৈক ব্ল্যাক ফাঙ্গাস রোগী চিহ্নিত করা হয়েছে।
এক বার্তায় শিলচর মেডিক্যাল কলেজের ভাইস প্রিন্সিপাল ডঃভাস্কর গুপ্ত জানান যে- শিলচর মেডিক্যাল কলেজে জনৈক ব্ল্যাক ফাঙ্গাস রোগী চিহ্নিত করা হয়েছে। তিনি জানান, গত ৫ই মে সেই ব্যক্তির কভিড রিপোর্ট পজিটিভ আসে এবং ১৫ই মে পর্য্যন্ত নিগেটিভ হয়ে যায়। এরপর ১৬ তারিখে অন্যান্য কিছু উপসর্গ নিয়ে শিলচরের একটি বেসরকারি নার্সিংহোমে ভর্তি হন। ২৫ মে অবধি তিনি দুটি নার্সিং হোমে চিকিৎসাধীন থাকার পর ২৬ তারিখে শিলচর মেডিক্যাল কলেজে ভর্তি হন। ততক্ষণে উনার ডান চোখের দৃষ্টিশক্তি চলে গিয়েছিলো, এবং ডান চোখ ফোলা ছিলো। প্রাথমিক পরীক্ষা নিরিক্ষার পর উনার নাকের ভীতর ব্ল্যাক ফাঙ্গাসের উপস্থিতি ধরা পড়ে।
ডঃগুপ্ত জানান যে রোগীর অবস্থা বর্তমানে স্থিতিশীল রয়েছে। ব্লাড সুগার ও অনেকটা নিয়ন্ত্রণে চলে এসেছে। তবে যেহেতু টেষ্ট এ দেখা গেছে যে রোগীর চোখের সাথে সাথে ব্রেইন এরও অনেকটা জায়গা ফাঙ্গাস দ্বারা প্রভাবিত হয়েছে তাই হয়ত ব্রেইনেরও কিছুটা অংশ বাদ দিতে হতে পারে।
উন্নত নিউরো চিকিৎসার জন্য আধুনিক নিউরো প্রযুক্তি সম্পন্ন কোনো হাসপাতালে রেফার করার কথা চিন্তা ভাবনা করা হচ্ছে বলে জানান তিনি।
ব্ল্যাক ফাঙ্গাসঃ কারা আছেন “রিস্ক জোনে”ঃ-
সাধারণত এই রোগ পোষ্ট কভিড স্টেজেই দেখা যায়। কভিড চিকিৎসা চলাকালীন সময়ে যেসব রোগীকে স্টেরোয়েড দেওয়া হয়েছে, বা অক্সিজেন ও ভ্যান্টিলেটর সাপোর্টে থাকা রোগী যাদের ইমিউনিটি স্তর অনেক নিচে নেমে গেছে, যাদের মধ্যে হার্ট-কিডনি-লিভার-ব্লাড সুগারের সমস্যা রয়েছে তাদের সতর্ক থাকা উচিত।
সতর্কতাঃ-
কভিড প্রটোকল সঠিকভাবে মেনে চলা। পুষ্টিকর খাদ্য গ্রহন। পরিষ্কার পরিচ্ছন্ন থাকা। আশেপাশে স্যাঁতস্যাঁতে ভাব হতে না দেওয়া। নিয়মিত শুষ্ক ও পরিচ্ছন্ন মাস্ক ব্যবহার করা।