মে-তীব্র ঘূর্ণিঝড় ‘রেমাল’-এ কেন্দ্র ও রাজ্য সংস্থাগুলির সঙ্গে ভারতীয় উপকূলরক্ষী বাহিনীর দৃষ্টান্তমূলক সমন্বয় পশ্চিমবঙ্গের সমুদ্র উপকূলে জীবনহানি রোধ করতে পেরেছে
তীব্র ঘূর্ণিঝড় ‘রেমাল’-এ কেন্দ্র ও রাজ্য সংস্থাগুলির সঙ্গে ভারতীয় উপকূলরক্ষী বাহিনীর দৃষ্টান্তমূলক সমন্বয় পশ্চিমবঙ্গের সমুদ্র উপকূলে জীবনহানি রোধ করতে পেরেছে। গত ২২ মে নিম্নচাপ থেকে সৃষ্ট এই ঘূর্ণিঝড় ক্রমেই তীব্র ঘূর্ণিঝড়ের চেহারা নেয়, যা পশ্চিমবঙ্গ ও বাংলাদেশ উপকূলে ২৬-২৭ মে মধ্যরাতে তা আছড়ে পড়ে।
উত্তর-পূর্বাঞ্চলের উপকূলরক্ষী বাহিনীর সদর কার্যালয় থেকে অগ্রিম ব্যবস্থা হিসেবে কেন্দ্র ও রাজ্য সংস্থাগুলির সঙ্গে সুসমন্বয় গড়ে তোলা হয়। এর ফলে তা একদিকে উদ্ভূত পরিস্থিতি মোকাবিলায় সহায়ক হয়, এর পাশাপাশি জীবন ও সম্পত্তির ক্ষয়ক্ষতি রোধ করাও সম্ভব হয়েছে। ঘূর্ণিঝড় যে পথে ধরে এগোতে পারে সেখানে ভারতীয় উপকূলরক্ষী বাহিনী উদ্ধারকারী জাহাজ, বিমান মোতায়েন সহ অন্য নজরদারি ব্যবস্থা নেয়। এছাড়াও, কৌশলগত ব্যবস্থা হিসেবে হলদিয়া এবং পারাদীপে ভারতীয় উপকূলরক্ষী বাহিনীর দূর নিয়ন্ত্রিত কেন্দ্র থেকে নিয়মিত সতর্কতামূলক সম্প্রচারের মাধ্যমে মাছ ধরার নৌকাগুলিকে সমুদ্রে যেতে নিষেধ করা হয় ও বাণিজ্যিক জাহাজগুলিকে বিকল্প পথে ঘুরিয়ে দেওয়া হয়।
তীব্র ঘূর্ণিঝড় ‘রেমাল’ আছড়ে পড়ার পর ভারতীয় উপকূলরক্ষী বাহিনীর জাহাজ ‘ভারাদ’ ঘূর্ণিঝড় পরবর্তী অবস্থা খতিয়ে দেখতে দ্রুত পারাদীপ থেকে রওনা দেয়। এর পাশাপাশি, ভারতীয় উপকূলরক্ষী বাহিনীর দুটি ডর্নিয়ার বিমান ভুবনেশ্বর থেকে আকাশে ওড়ে এবং উত্তর বঙ্গোপসাগরে সর্বাত্মক নজরদারি চালায়।
Promotional| KRC Foundation