বুধবার জন্মদিনে যোধপুর পার্কের বাড়িয়ে এসে কিংবদন্তির হাতে তাঁরই নামাঙ্কিত ডাকটিকিট তুলে দিলেন ডাকবিভাগের আধিকারিকেরা।
দেশের দ্বিতীয় পুরুষ ক্রীড়াবিদ হিসেবে কিংবদন্তি চুনী গোস্বামীর নামে প্রকাশ হল ডাকটিকিট। আজ ৮২তম জন্মদিনে মুকুটে যোগ হল নয়া পালক। বুধবার জন্মদিনে যোধপুর পার্কের বাড়িয়ে এসে কিংবদন্তির হাতে তাঁরই নামাঙ্কিত ডাকটিকিট তুলে দিলেন ডাকবিভাগের আধিকারিকেরা। স্বভাবতই গোটা ঘটনায় আপ্লুত বর্ষীয়ান ক্রীড়াবিদ। অনুষ্ঠানে উপস্থিত ছিলেন সুব্রত ভট্টাচার্য সহ আরও অনেকে।ভারতীয় ক্রিকেটের মহীরুহ সচিন তেন্ডুলকরের পর ভারতবর্ষের দ্বিতীয় পুরুষ ক্রীড়াবিদ হিসেবে এক বিরল কৃতিত্বের অধিকারী করেন বর্ষীয়ান এই ক্রীড়াবিদ। মহিলা ক্রীড়াবিদ হিসেবে ক্রিকেটার ঝুলন গোস্বামীর রয়েছে এই অনন্য সম্মান। বাংলার জার্সিতে ৪৬টি প্রথম শ্রেণি ম্যাচ পাশাপাশি ফুটবলার হিসেবে ৫০টি আন্তর্জাতিক ম্যাচে দেশের জার্সি গায়ে প্রতিনিধিত্ব করেছেন চুনী। ক্রীড়াবিদ হিসেবে এমন বর্ণময় জীবন দেশের খেলাধূলার জগতে বিরল। যে কারণে বরাবরই ব্যতিক্রম তিনি। স্বাভাবিকভাবেই দেশের তৃতীয় ক্রীড়াবিদ হিসেবে সুবিমল ওরফে চুনী গোস্বামীর মুকুটে যোগ হওয়া নয়া এই পালক বোধহয় প্রত্যাশিতই ছিল। অবশেষে ৮২তম জন্মদিনে এই সম্মান আলাদা মাত্রা যোগ করল ১৯৬২ এশিয়াডে সোনাজয়ী ভারতীয় দলের অধিনায়কের জীবনে। স্বীকৃতিস্বরূপ ১৯৬৩ অর্জুন পুরস্কার, ১৯৮৩ পদ্মশ্রী, ২০০৫ মোহনবাগান রত্ন ধরা দিয়েছে তাঁর অ্যাচিভমেন্টের ক্যাবিনেটে।ডাকটিকিট প্রকাশের ঘটনায় যেন পূর্ণ হল ষোলোআনা।