বন্যায় ক্ষতিগ্রস্ত হয়েছে ১৭টি জেলার ৮০টি তালুক, ২০২৮টি গ্রাম, ঘরবাড়ি ক্ষয়ক্ষতির সংখ্যা ২৮৩২৫।
ক্রমাগত বৃষ্টির পরিমাণ কিছুটা কমলেও, দক্ষিণ ভারতের রাজ্য কর্ণাটকে বন্যা পরিস্থিতি উন্নতির কোনও লক্ষণ নেই। কর্নাটকের বিভিন্ন জেলায় বন্যা ও বৃষ্টিজনিত কারণে এখনও পর্যন্ত মৃত্যু হয়েছে ৭২ জনের। খোঁজ নেই আরও ১৪ জনের। বন্যায় ক্ষতিগ্রস্ত হয়েছে ২০২৮টি গ্রাম। কর্ণাটক সরকারের পক্ষ থেকে জানানো হয়েছে, বন্যা ও বৃষ্টিজনিত কারণে সোমবার সকাল পর্যন্ত মৃত্যু হয়েছে ৭২ জনের। নিখোঁজ আরও ১৪ জন। উদ্ধার করা হয়েছে ৫৮১৭০২ জন মানুষকে। রাজ্যের বিভিন্ন প্রান্তে ১১৬৮টি ত্রাণ শিবির খোলা হয়েছে। ওই সমস্ত ত্রাণ শিবিরে আশ্রয় নিয়েছেন ৩২৭৩৫৪ জন বন্যা দুর্গত।
বি এস ইয়েদুরাপ্পা সরকারের পক্ষ থেকে আরও জানানো হয়েছে, বন্যায় ক্ষতিগ্রস্ত হয়েছে ১৭টি জেলার ৮০টি তালুক। ক্ষতিগ্রস্ত হয়েছে ২০২৮টি গ্রাম, ঘরবাড়ি ক্ষয়ক্ষতির সংখ্যা ২৮৩২৫। এছাড়াও ৪.২০ লক্ষ হেক্টর কৃষি জমি ক্ষতিগ্রস্ত হয়েছে। কর্নাটকের বন্যা পরিস্থিতি যথেষ্ট উদ্বেগজনক। সবচেয়ে বেশি ক্ষতিগ্রস্ত হয়েছে বেলাগাভি। সেনাবাহিনীর হেলিকপ্টারে চেপে ইতিমধ্যেই সেখানকার পরিস্থিতি পরিদর্শন করেছেন কেন্দ্রীয় স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী অমিত শাহ। সঙ্গে ছিলেন রাজ্যের মুখ্যমন্ত্রী বিএস ইয়েদুরাপ্পা এবং কেন্দ্রীয় মন্ত্রী প্রহ্লাদ জোশিও। রাজ্য সরকারকে সবরকম সাহায্যের প্রতিশ্রুতি দিয়েছেন কেন্দ্রীয় স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী অমিত শাহ।