জাপান-আমেরিকা-ভারত মানেই “জয়”, ওসাকায় ত্রিপক্ষীয় বৈঠকে বার্তা মোদীর

< 1 - মিনিট |

জি-২০ গোষ্ঠীভুক্ত দেশগুলির বৈঠকের ফাঁকে ত্রিপক্ষীয় বৈঠক হল ভারত, আমেরিকা ও জাপানের মধ্যে। এছাড়াও মার্কিন প্রেসিডেন্ট ডোনাল্ড ট্রাম্পের সঙ্গে দ্বিপাক্ষিক বৈঠকও করেছেন প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদী

কে আর সি টাইমস ডেস্ক

জাপানের ওসাকায় শুক্রবার থেকে শুরু হল জি-২০ গোষ্ঠীভুক্ত দেশগুলির বৈঠক। জি-২০ গোষ্ঠীভুক্ত দেশগুলির বৈঠকের ফাঁকে ত্রিপক্ষীয় বৈঠক হল ভারত, আমেরিকা ও জাপানের মধ্যে। এছাড়াও মার্কিন প্রেসিডেন্ট ডোনাল্ড ট্রাম্পের সঙ্গে দ্বিপাক্ষিক বৈঠকও করেছেন প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদী। ভারত, আমেরিকা ও জাপানের মধ্যে ত্রিপক্ষীয় বৈঠক চলাকালীন ভারতের প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদী ও জাপানের প্রধানমন্ত্রী শিনজো আবে-কে নির্বাচনে জয়লাভের জন্য অভিনন্দন ও শুভেচ্ছা জানিয়েছেন মার্কিন প্রেসিডেন্ট। ডোনাল্ড ট্রাম্প বলেছেন, ‘বিরাট জয়ের জন্য অভিনন্দন মিস্টার মোদী। বিরাট জয়ের জন্য অভিনন্দন মিস্টার শিনজো। আপনারা নিজ নিজ দেশে দারুন কাজ করছেন।’ ত্রিপক্ষীয় বৈঠকে নরেন্দ্র মোদী বলেছেন, ”জাপান, আমেরিকা ও ভারত, মানেই “জয়”। ত্রিপক্ষীয় বৈঠকের পর ট্রাম্পের সঙ্গে দ্বিপাক্ষিক বৈঠক করেন মোদী। ট্রাম্পের সঙ্গে বৈঠকে মোদী বলেছেন, ‘এই বৈঠকে আমার চারটি বিষয় নিয়ে আলোচনা করতে চাই-ইরান, ৫জি, আমাদের দ্বিপাক্ষিক সম্পর্ক এবং প্রতিরক্ষা সম্পর্ক।’ এরপর মার্কিন প্রেসিডেন্টবডোনাল্ড ট্রাম্প বলেছেন, ‘আমরা দু’জনেই খুব ভালো বন্ধু…মিলিটারি-সহ বিভিন্ন বিষয়ে আলোচনা হবে।’ জাপান-ভারত-আমেরিকার মধ্যে ত্রিপক্ষীয় বৈঠক প্রসঙ্গে বিদেশ সচিব বিজয় কেশব গোখলে জানিয়েছেন, ‘মূলত আলোচনা হয়েছে ইন্দো-প্যাসিফিক বিষয় নিয়ে। যোগাযোগ, পরিকাঠামো, শান্তি প্রতিষ্ঠা এবং নিরাপত্তা সংক্রান্ত বিষয়েও আলোচনা হয়েছে।…এস-৪০০ ইস্যু নিয়ে কোনও আলোচনা হয়নি। ইরান প্রসঙ্গে প্রাথমিক লক্ষ্য স্থির হয়েছে, কীভাবে সেখানে স্থিতিশীলতা বজায় রাখা সম্ভব হয়।’ জাপান-ভারত-আমেরিকার মধ্যে ত্রিপক্ষীয় বৈঠক ছাড়াও, জি-২০ সম্মেলনের ফাঁকে ব্রিকস (ব্রাজিল, রাশিয়া, ভারত, চিন ও দক্ষিণ আফ্রিকা) গোষ্ঠীভুক্ত রাষ্ট্রনেতারা ইনফর্মাল বৈঠকে বসেন। ব্রিকস গোষ্ঠীভুক্ত রাষ্ট্রনেতাদের বৈঠকে প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদী বলেছেন, ‘সন্ত্রাসবাদই হল সবচেয়ে বড় উদ্বেগের বিষয়। সন্ত্রাসবাদ নিরপরাধ মানুষের জীবন নেওয়ার পাশাপাশি, নেতিবাচকভাবে প্রভাব ফেলে অর্থনৈতিক উন্নয়ন ও সাম্প্রদায়িক ঐক্যে। তাই সন্ত্রাসবাদকে সমর্থনকারী সমস্ত মাধ্যমকে বন্ধ করতে হবে আমাদের।’

Leave a comment

Your email address will not be published. Required fields are marked *

Related news