টালা ব্রিজ ভাঙার দিন চূড়ান্ত করবেন মুখ্যমন্ত্রী

2 - মিনিট |

এই মুহূর্তে ভাঙ্গা হচ্ছে না এই ব্রিজ। এছাড়াও সিদ্ধান্ত হয়েছে পুনরায় আরও একবার অন্য সংস্থাকে দিয়ে পরীক্ষা করিয়ে তারপরই চূড়ান্ত সিদ্ধান্ত নেওয়া হবে ব্রিজ ভাঙ্গার বিষয়ে

কে আর সি টাইমস ডেস্ক

এখনই ভাঙা হচ্ছে না টালা ব্রিজ। বৃহস্পতিবার নবান্নে এক জরুরি বৈঠকের পর এমনই সিদ্ধান্ত গ্রহণ করা হয়েছে। তবে ভারী যান চলাচলের উপর নিষেধাজ্ঞা জারি করা হয়েছে| কিন্তু ছোট, হালকা গাড়ি ও প্রাইভেট কার যেতে পারবে ব্রিজ দিয়ে। অন্য সব বাস, মিনিবাস, পণ্যবাহী ট্রাক চলাচল বন্ধ করা হচ্ছে টালা ব্রিজে। তবে এই বিষয়ে আগামীকাল শুক্রবার নবান্নের বৈঠকে চূড়ান্ত সিদ্ধান্ত নেবেন মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়|

 নবান্নে আজকের বৈঠকে উপস্থিত ছিলেন রাজ্যের মুখ্যসচিব মলয় দে, পুর ও নগর উন্নয়নমন্ত্রী ফিরহাদ হাকিম, অরূপ বিশ্বাস, ডিআরএম শিয়ালদা, পর্যটন সচিব, সিইও কেএমডিএ, কলকাতা পুলিশ কমিশনার, ব্যারাকপুর পুলিশ কমিশনারেটের আধিকারিকরা, পিডব্লিউডি-র মুখ্য ব্রিজ ইঞ্জিনিয়ার এবং রেলের মুখ্য ব্রিজ ইঞ্জিনিয়ার। প্রাথমিকভাবে এদিনের বৈঠকে সিদ্ধান্ত নেওয়া হয়েছে দুর্গাপুজোর আগে টালা ব্রিজে বসানো হচ্ছে হাইট বার।

এই মুহূর্তে ভাঙ্গা হচ্ছে না এই ব্রিজ। এছাড়াও সিদ্ধান্ত হয়েছে পুনরায় আরও একবার অন্য সংস্থাকে দিয়ে পরীক্ষা করিয়ে তারপরই চূড়ান্ত সিদ্ধান্ত নেওয়া হবে ব্রিজ ভাঙ্গার বিষয়ে। অন্যদিকে যানচলাচলে যাতে কোন অসুবিধা না হয় তা নিয়ে নতুন ম্যাপ তৈরি করছে প্রশাসন। তবে দুর্গা পুজোর আগেই এই নতুন পথে গাড়ি চালানো হবে বলেই নবান্ন সূত্রে খবর। 

বুধবার দুপুরে রেল, রাইটস ও গার্ডেনরিচ জাহাজ কারখানার ইঞ্জিনিয়াররা সেতু সরেজমিনে পরীক্ষা করেন। এরপর তাঁরা রিপোর্ট দেন, টালা ব্রিজের ভিতরে বিভিন্ন জায়গায় জল জমে রয়েছে। এর ফলে সেতু সংস্কার করে তাকে পুনরায় ব্যবহার উপযুক্ত করে তোলা সম্ভব নয়। ফলে টালা ব্রিজ ভাঙতেই হবে|

টালা ব্রিজ ভাঙার পসঙ্গে আলোচনার জন্যই বৃহস্পতিবার নবান্নে উচ্চপর্যায়ের বৈঠক ডাকা হয়। এদিন বৈঠকের পরেই সাবধানতার খাতিরে এই ব্রিজে ভারি যান চলাচল তড়িঘড়ি বন্ধ করার সিদ্ধান্ত নিল প্রশাসন।

পাশাপাশি  সিদ্ধান্ত নেওয়া হয় টালা ব্রিজের নীচে যে সব বাসিন্দা রয়েছে  তাঁদের অন্যত্র স্থানান্তরিত করা হবে।সেইমত বিকেল থেকেই তাঁদের সরানোর কাজ শুরু হয়ে যায়। গত শুক্রবার থেকেই টালা ব্রিজে ভারি যান চলাচল নিষিদ্ধ করা হয়েছে। দ্রুত ব্রিজের দু ধারে লাগানো হচ্ছে ৮ফুট উঁচু হাইট বার।

১৯৬২ সালে তৈরী হওয়া এই ব্রিজ আচমকা বন্ধ হয়ে গেলে পুজোর মুখে বিপদে পরবেন উত্তর কলকাতার বহু মানুষ| ট্রাফিক পুলিশ সূত্রে প্রাথমিক ভাবে জানা যাচ্ছে, দক্ষিণমুখী গাড়ির জন্য দমদম রোড, সেভেন ট্যাঙ্কস রোড, নর্দার্ন অ্যাভিনিউ, ইন্দ্র বিশ্বাস রোড হয়ে বেলগাছিয়া বা পাইকপাড়া থেকে টালা হয়ে বেলগাছিয়ার দিকে ঘুরিয়ে দেওয়া হতে পারে|

একইসাথে দক্ষিণমুখী গাড়িগুলিকে চিড়িয়া মোড় থেকে দমদম রোড, নাগেরবাজার, যশোর রোড দিয়ে নিয়ে যাওয়া হতে পারে।পাশাপাশি উত্তরমুখী গাড়িগুলিকে চিত্তরঞ্জন অ্যাভিনিউ থেকে চিৎপুর রোড, কাশীপুর রোড, গোপাললাল ঠাকুর রোড দিয়ে ঘুরিয়ে দেওয়া হতে পারে। এছাড়া চিৎপুর রোড থেকে খগেন চ্যাটার্জি রোড বা চিৎপুর লকগেট ফ্লাইওভার দিয়ে বিটি রোডে ঘুরিয়ে দেওয়ার কথা হয়েছে আপাতত।

Leave a comment

Your email address will not be published. Required fields are marked *

Related news