প্রজাতন্ত্র দিবস উপলক্ষ্যে পশ্চিমবঙ্গ সরকারের কন্যাশ্রী-সহ আরও যে ৩টি ট্যাবলোর প্রস্তাব দেওয়া হয়েছিল তা বুধবার খারিজ করে দেয় প্রতিরক্ষা মন্ত্রক।
ট্যাবলো বিতর্কে কেন্দ্রীয় সরকার ও রাজ্য সরকারের মধ্যে সংঘাত আবার প্রকাশ্যে এল। কয়েকদিন আগেই প্রজাতন্ত্র দিবস উপলক্ষ্যে পশ্চিমবঙ্গ সরকারের তরফে কন্যাশ্রী সহ আরও যে ৩টি ট্যাবলোর প্রস্তাব দেওয়া হয়েছিল তা বুধবার খারিজ করে দেয় প্রতিরক্ষা মন্ত্রক। এরপর শুরু হয় জোর বিতর্ক। রাজনৈতিক মহলে অনেকে মনে করতে থাকেন, সিএএ এবং এনআরসির কারণে চলা কেন্দ্র ও রাজ্যের সংঘর্ষের ফলে এই সিদ্ধান্ত নিয়েছে প্রতিরক্ষা মন্ত্রক। এই ঘটনার পর কেন্দ্রের সঙ্গে সরাসরি সংঘাতে নামে পশ্চিমবঙ্গ সরকার।
এবার কেন্দ্রের এই পদক্ষেপকে ‘পক্ষপাতমূলক’ বলে কটাক্ষ করে তৃণমূল। এই বিষয় নিয়ে তৃণমূল সাংসদ সৌগত রায় বৃহস্পতিবার অভিযোগ করেন, সিএএ এবং এনআরসির বিরোধিতা করায় পশ্চিমবঙ্গের উপর এমন পক্ষপাতমূলক আচরণ করছে স্বরাষ্ট্রমন্ত্রক। যদিও এই বিষয় নিয়ে স্বরাষ্ট্রমন্ত্রক আগেই জানিয়েছে তাঁদের যুক্তি । তাঁরা জানায়, দু’দফায় পশ্চিমবঙ্গের ট্যাবলো প্রস্তাব খতিয়ে দেখেন সংশ্লিষ্ট কমিটির বিশেষজ্ঞরা। ভাবনা, ডিজাইন, প্যাকেজিং-এর উপর ভিত্তি করেই চূড়ান্ত ট্যাবলো বাছাই করা হয়েছে। নানান রাজ্য ও কেন্দ্রীয় শাসিত অঞ্চল থেকে ৩২টি এবং বিভিন্ন মন্ত্রক থেকে ২৪ টি মোট ৫৬টি ট্যাবলোর প্রস্তাব দেওয়া হয় । যার মধ্যে মাত্র ২২টি ট্যাবলোকে বেছে নেওয়া হয়েছে বলে জানায় স্বরাষ্ট্রমন্ত্রক। এর মধ্যে রয়েছে ১৬টি রাজ্যর এবং বাকি ছ’টি বিভিন্ন মন্ত্রক ও দফতরের । ২০১৯ সালে পশ্চিমবঙ্গের ট্যাবলো যে প্রক্রিয়ায় নির্বাচিত করা হয়েছিল, এবারেও একই প্রক্রিয়ায় নির্বাচন করা হয়েছে বলে জানায় স্বরাষ্ট্র মন্ত্রক। এই সিদ্ধান্তকে পক্ষপাত বলে মনে করছেন বিরোধীরা।