মহিলাদের মাথায় বন্দুক ঠেকিয়ে জিনিসপত্র হাতানোর চেষ্টা করলে পরিবারের পুরুষদের বাধার মুখে পিছু হটতে হয় ডাকাতদের। চলে যাওয়ার সময় বাড়ির উঠনে বোম ব্লাস্ট করে পালিয়ে যায় তারা। সকলের মুখে গামছা দিয়ে বাঁধা থাকায় কাউকে চেনা সম্ভব হয়নি বলে জানান দেবদূত রায়।
দুঃসাহসিক এক ডাকাতির ঘটনায় বুধবার রাত থেকে চাঞ্চল্য ছড়িয়ে পড়ে হিঙ্গলগঞ্জ এলাকায়। আক্রান্ত পরিবারের সদস্যদের বাধার মুখে পিছু হটতে হয় ডাকাতদের। ডাকাতি করতে বাধা দিতে গিয়ে আক্রান্ত হতে হয় একই পরিবারের ৪ সদস্যকে। গুরুতর জখম অবস্থায় আক্রান্ত তিন জনকে ভর্তি করা হয় বসিরহাট জেলা হাসপাতালে।
বুধবার রাতে আনুমানিক ১ টা নাগাদ হিঙ্গলগঞ্জ বাঁকড়া চৌমাথা এলাকার বাসিন্দা নির্মল রায়ের বাড়িতে হানা দেয় সশস্ত্র ডাকাতদল। বাড়ির পিছন দিক থেকে লোহার গেটের তালা ভেঙে ভেতরে ঢোকে ডাকাতরা। তালা ভাঙার আওয়াজে বাইরে বেরিয়ে ডাকাতদের দেখে চিৎকার শুরু করেন পরিবারের ছোট ছেলে দেবদূত রায়। তখনই লোহার রড দিয়ে বেধড়ক মারধর করা হয় তাকে। এরপর একে একে ঘর থেকে বেরিয়ে এসে ডাকাতদের বাধা দিতে গেলে মারধর করা হয় গৃহকর্তা নির্মল রায় তার বড় ছেলে বিদ্যুৎ রায় ও মেঝো ছেলে প্রদ্যুৎ প্রায়কে। ডাকাতদের মারের হাত থেকে বাদ যায়নি বাড়ির মহিলা ও শিশুরা।
মহিলাদের মাথায় বন্দুক ঠেকিয়ে জিনিসপত্র হাতানোর চেষ্টা করলে পরিবারের পুরুষদের বাধার মুখে পিছু হটতে হয় ডাকাতদের। চলে যাওয়ার সময় বাড়ির উঠনে বোম ব্লাস্ট করে পালিয়ে যায় তারা। সকলের মুখে গামছা দিয়ে বাঁধা থাকায় কাউকে চেনা সম্ভব হয়নি বলে জানান দেবদূত রায়। ডাকাতির খবর পেয়ে রাতেই ঘটনাস্থলে যায় হিঙ্গলগঞ্জ থানার পুলিশ। আক্রান্ত পরিবার সদস্যদের রাতে আনা হয় হিঙ্গলগঞ্জ সান্ডেলের বিল প্রাথমিক হাসপাতালে। রাতেই সকলকে গুরুতর জখম অবস্থায় বসিরহাট জেলা হাসপাতালে রেফার করা হলে গৃহকর্তা ও তার বড় ছেলে আর ছোট ছেলেকে আশঙ্কাজনক অবস্থায় ভর্তি করা হয় জেলা হাসপাতালে।