শুধু বেলপাতা ফুল সরিয়ে নেওয়াই নয়। ওই ফুল বেলপাতা থেকে জৈব সার তৈরি করছে একটি সেচ্ছাসেবী সংস্থার মেয়েরা
তারামা এর পায়ে দেওয়া ফুল বেলপাতা মন্দির চত্বর থেকে প্রতিদিন সরানোর জন্য উদ্যোগ নিয়েছে প্রশাসন। সেই প্রক্রিয়ায় সুফল মিলতে শুরু করেছে পুরোদমে। এতে যেমন মন্দির চত্বর পরিস্কার থাকছে। তেমন পুণ্যার্থীদের পুজো দেওয়ার ক্ষেত্রে ও সুবিধা হচ্ছে। তবে শুধু বেলপাতা ফুল সরিয়ে নেওয়াই নয়। ওই ফুল বেলপাতা থেকে জৈব সার তৈরি করছে একটি সেচ্ছাসেবী সংস্থার মেয়েরাও।
এতদিন দেশ বিদেশের হাজার
হাজার পুণ্যার্থী মা তারা কে পুজো দিয়ে আসছেন। সেই ফুল মালা মন্দিরে গেটের বাইরে
স্তূপাকার হযে পরে থাকত। কেউ পাযে মারিযে পুজো দিতে যেত যা নিযে সকলেই সোচ্চার
হলেও টনটন ফুল বেলপাতা কোথায় ফেলবে তা নিয়ে দুশ্চিন্তা শেষ ছিল না। মন্দিরের
অদূরে দ্বারকা নদীতে ফেলার ফলে নদী দূষন ও হত। এই সংকট থেকে মুক্তি পেতে এগিয়ে
আসে একটি স্বেচ্ছাসেবী সংস্থা। তারাপীঠ রামপুরহাট উন্নয়ন পর্ষদের উদ্যোগে
স্বেচ্ছাসেবী সংস্থা কে দায়িত্ব ভার তুলে দেওয়া হয় কয়েকমাস আগেই।
তাই ‘মায়ের পায়ে জবা হয়ে উঠনা ফোটে মন’। শুধু মায়ের পায়েই নয়, এবার থেকে মন্দিরর চত্বরেও
বেশি সময় পরে থাকবেনা মাতারাকে অর্পন করা ফুল বেলপাতা। তারাপীঠের মন্দির লাগোয়া
এলাকায় যেখানে ফুল জমা করে রাখা হয় প্রতিদিনই তা তুলে নিয়ে যেতে হবে দায়িত্বপ্রাপ্ত
সংস্থা মল্লারপুর নৈসুভা কে।
অতীতে মাতারাকে দেওয়া ফুল পুজোর পর দীর্ঘদিন ধরে পরে থাকত মন্দির চত্বরে । ফুল বেলপাতা পচে গিয়ে দুর্গন্ধ উঠত, দূষন ছড়ানোর অভিযোগ করতেন পর্যটক থেকে পুণ্যার্থী সকলেই । তারপরই তারাপীঠ মন্দিরের ফুল পুস্প একটি নির্দিষ্ট জায়গায় রাখার নির্দেশিকা জাড়ি হয়।জানা গিয়েছে প্রতি সপ্তাহে গড়ে ১০ টন ফুল বেলপাতা জড হয় মন্দির চত্বরে। সংস্থার কর্মীরা ওই ফুল তুলে নেওয়ার দায়িত্ব। দায়িত্ব পাওয়ার পর সংস্থার পক্ষ থেকে সপ্তাহে দুদিন ওই ফুল বেলপাতা তুলে নিয়ে যাওয়া হত মল্লারপুরে। সেখানেই জবা ফুল বেলপাতা বাছাই করে সংস্থার সদস্যা রা। ঐ সার পচিয়ে সার তৈরি করা হয়। সেই সার শুকিয়ে বস্তাবন্দি করে বাজার জাত করা হয়।
পাশাপাশি মন্দির চত্বরকে আরও
পরিস্কার রাখার জন্য এবার থেকে সপ্তাহের দুদিনের পরিবর্তে প্রতিদিন ব্যবহৃত ফুল
বেলপাতা নিয়ে যাওয়ার জন্য ওই সংস্থাকে বলা হয়েছে। একই সঙ্গে মন্দির কমিটিকে বলা
হয়েছে আরও পরিস্কার পরিচ্ছন্ন রাখার ব্যবস্থা করার। রাজ্যের কৃষিমন্ত্রী তথা
তারাপীঠ রামপুরহাট উন্নয়ন পর্ষদের চেয়ারম্যান আশিষ বন্দ্যোপাধ্যায় বলেন, “আমরা মন্দির চত্বরকে আরও পরিস্কার রাখার জন্য মন্দির কমিটিকে বলেছি।
তাছাড়াও যে সংস্থা ব্যবহৃত ফুল বেলপাতা নিয়ে যাওয়ার দায়িত্বে রয়েছে তাদেরও বলা
হয়েছে প্রত্যেকদিনই তা নিয়ে যেতে হবে। ফুল বেলপাতা যেন ব্যবহারের পর পরে না থাকে”।
মল্লারপুর নৈসুভা সংস্থার সম্পাদক সাধন সিনহা বলেন, “আমাদের বলা হয়েছে মন্দির চত্বর থেকে ফুল বেলপাতা তুলে নিতে হবে।আমরা শুধু
সেই কাজই করছি না। ঐ ফুল বেলপাতা আমাদের সংস্থার কর্মীরা আলাদা করে বেছে তা থেকে
জৈব সার তৈরি করছে। ”
মন্দির কমিটির সভাপতি তারাময়
মুখোপাধ্যায় বলেন, “মন্দির চত্বরকে পরিস্কার রাখার জন্য আমরা একাধিক পদক্ষেপ নিযেছি ।
সেচছাসেবী সংস্থার সঙ্গে আমরা বৈঠক করে তাদের কে প্রসাদী ফুল বেল পাতা তুলে নিয়ে
যাচ্ছে তাতে মন্দির পরিস্কার থাকছে।