জাহাজ মন্ত্রক জানিয়েছে, আমদানিকারি পেঁয়াজ ভর্তি জাহাজ যাতে ঠিকমতো বন্দরে পৌঁছাতে পারে তারজন্য যথাযথ ব্যবস্থা নেওয়া হয়েছে।
ভারতের বৃহত্তম বৈদেশিক বাণিজ্যিক সংস্থা এমএমটিসি তুরস্ক থেকে অতিরিক্ত ৪ হাজার মেট্রিকটন পেঁয়াজ আমদানি করবে। আগামী বছরে জানুয়ারির মাঝামাঝি এই পেঁয়াজ ভারতে এসে পৌছাবে। যদিও এর আগে মিশর থেকে ৬ হাজার ৯০ মেট্রিকটন এবং তুরস্ক থেকে ১১ হাজার মেট্রিকটন পেঁয়াজ আমদানি করেছে এমএমটিসি। কিন্তু দেশে ক্রমবর্ধমান চাহিদা এবং অগ্নিমূল্য বাজারদরের কথা মাথায় রেখে অতিরিক্ত এই ৪ হাজার মেট্রিকটন পেঁয়াজ আমদানি করা হচ্ছে।
সুষ্ঠভাবে পেঁয়াজ আমদানির পাশাপাশি যাতে বন্টন ব্যবস্হাও ঠিক থাকে এবং রাজ্যগুলি ঠিকমতো পেঁয়াজ বিক্রি করতে পারে তারজন্য কেন্দ্রীয় উপভোক্তা সংক্রান্ত দপ্তর একটি কমিটি গঠন করেছে। এমএমটিসি, এনএএফইডি, কনকর এবং সংশ্লিষ্ট মন্ত্রক ও দপ্তরের আধিকারিকদের নিয়ে গঠিত এই কমিটি প্রতিদিন বৈঠক করছে। ইতিমধ্যেই জাহাজ মন্ত্রক জানিয়েছে, আমদানিকারি পেঁয়াজ ভর্তি জাহাজ যাতে ঠিকমতো বন্দরে পৌঁছাতে পারে তারজন্য যথাযথ ব্যবস্থা নেওয়া হয়েছে। এমনকি বন্দরে পেঁয়াজ এসে পোঁছানোর পর যাতে খুব দ্রুত তা বন্টন করা যায় তারজন্য মুম্বাইয়ের জেএনপিটি বন্দরের একজন নোডাল আধিকারিক নিয়োগ করা হয়েছে।
দেশে ক্রমবর্ধমান পেঁয়াজের চাহিদা বৃদ্ধির কথা মাথায় রেখে কেন্দ্রীয় সরকার স্হানীয়ভাবে পেঁয়াজ উৎপাদনের ওপর বিশেষ জোর দিয়েছে। এমনকি পেঁয়াজের মজুতের ওপর নিয়ন্ত্রণ এনেছে সরকার। এখন থেকে খুচরো বিক্রেতারা ৫ মেট্রিকটন এবং পাইকারি বিক্রেতারা ২৫ মেট্রিকটনের বেশি পেঁয়াজ মজুত রাখতে পারবেন না। যতদিন না পর্যন্ত অতিরিক্ত পেঁয়াজ আমদানি করা সম্ভব হচ্ছ ততদিন মজুতের ওপর এই নিয়ন্ত্রণ বলবৎ থাকবে।