জিআই ট্যাগ পাওয়া নিশ্চিত হলে বিশ্ববাসী ত্রিপুরাকে পেড়া-র মাধ্যমেও জানতে পারবেন। যেমনভাবে করকাতার পরিচয় রসগোল্লা
ত্রিপুরার গোমতি জেলার অন্তর্গত উদয়পুরের ‘পেড়া’কে এবার জিওগ্রাফিক্যাল ইন্ডিকেশন-এর (জিআই) জন্য আবেদন জানানো হবে। সেই সঙ্গে অনলাইন বিপণন সংস্থার হাত ধরে এখানকার পেড়াকে দেশ বিদেশে ছড়িয়ে দেওয়ার জন্য কথাবার্তা চলছে। বিষয়গুলি নিয়ে তিনি আলাপ-আলোচনা করছেন বলে জানান পশ্চিম ত্রিপুরার সাংসদ প্রতিমা ভৌমিক।সাংসদ বলেন, উদয়পুরের দুধ দিয়ে তৈরি পেড়া জিওগ্রাফিক্যাল ইন্ডিকেশন-এ ট্যাগ করতে আবেদনের জন্য পরিকল্পনা নিয়েছেন তিনি। এর জন্য বিশেষজ্ঞদের সঙ্গে কথাও বলছেন। তাঁর আশা, খুব দ্রুত এই পেড়া জিআই ট্যাগ পাবে। উদয়পুরের পেড়ার প্রতিযোগী কেউ নেই, তাই এর জিআই ট্যাগ পাওয়া নিশ্চিত বলে তার বিশ্বাস। প্রতিমা বলেন, যদি এটা হয়, তবে বিশ্ববাসী ত্রিপুরাকে পেড়া-র মাধ্যমেও জানতে পারবেন। যেমনভাবে করকাতার পরিচয় রসগোল্লা।
সাংসদের পরিকল্পনা এখানেই শেষ নয়। উদয়পুরের এই পেড়ার স্বাদকে রাজ্যের সীমানা ছাড়িয়ে দেশ, এমন-কি বিশ্বের বিভিন্ন দেশের মানুষের মুখে তুলে দিতে আগ্রহী তিনি। ইতিমধ্যে আন্তর্জাতিক অনলাইন বিপণন সংস্থা অ্যামাজনের সঙ্গে তাদের ওয়েবসাইটের মাধ্যমে বিক্রির বিষয়ে তাঁর কথাও হয়েছে, জানান তিনি। বলেন, শুধু প্যাকেজিংয়ের বিষয়টি নিশ্চিত হয়ে গেলে তাঁরা বিক্রি শুরু করবে। সেই সঙ্গে অন্যান্য অনলাইন সংস্থার সঙ্গেও কথা বলবেন বলে জানান ভৌমিক।
এ-প্রসঙ্গে উল্লেখ্য, ত্রিপুরার গোমতি জেলার উদয়পুরে ত্রিপুরাসুন্দরী মন্দিরের পাশে রয়েছে শত শত পেড়ার দোকান। এই সকল দোকানের পেড়া তৈরি হয়ে আসছে যুগ যুগ ধরে। রাজন্য আমলে উদয়পুর ত্রিপুরার রাজধানী ছিল। তখন ত্রিপুরাসুন্দরী মন্দির প্রতিষ্ঠা হয়। সেই সময় থেকেই মন্দিরের চার পাশে পেড়ার দোকান গড়ে উঠে ছিল। এখনও মন্দিরের পূজার মূল প্রসাদ পেড়া। এই সকল দোকানদারেরা যুগ যুগ ধরে বংশ পরম্পরায় পেড়া তৈরি করে আসছেন।