এই প্রাণীটি সম্পর্কে জীব বিজ্ঞানীরা সমীক্ষা ও গবেষণা চালিয়ে এটির নামকরণ করেছেন ‘বে অফ বেঙ্গল হেড-শিল্ড সী স্ল্যাগ’
সমুদ্রে জীব বৈচিত্র্য সম্পর্কে অনুসন্ধান চালাতে গিয়ে জুলজিক্যাল সার্ভে অফ ইন্ডিয়া (জিএসআই) সম্প্রতি দীঘা, বকখালি, তাজপুর, নিউ দীঘা, উদয়পুর, তালসারি, চাঁদিপুর এবং কণিকা আইল্যান্ডস্ – এ এক বিশেষ প্রজাতির সামুদ্রিক প্রাণীর সন্ধান পেয়েছে। এই প্রাণীটি সম্পর্কে জীব বিজ্ঞানীরা সমীক্ষা ও গবেষণা চালিয়ে এটির নামকরণ করেছেন ‘বে অফ বেঙ্গল হেড-শিল্ড সী স্ল্যাগ’। এ সম্পর্কিত গবেষণাপত্রে প্রকাশিত হয়েছে ইংল্যান্ড ও অস্ট্রেলিয়ার কয়েকটি পত্র-পত্রিকায়।
জুলজিক্যাল সার্ভে অফ ইন্ডিয়ার কলকাতার অধিকর্তা ডঃ ধৃতি বন্দ্যোপাধ্যায় এ প্রসঙ্গে বলেছেন, নতুন এই সামুদ্রিক প্রাণীটি সম্পর্কে গবেষণা চালিয়ে তার ফল প্রকাশ করতে সময় লেগেছে প্রায় এক দশক। এই প্রাণীটি খুবই ক্ষুদ্রাকৃতির, যার দৈর্ঘ্য ১২-১৪ মিলিমিটার। কালো রঙের এই ক্ষুদ্র প্রাণীটির শরীরে মেরুদন্ডের কোনও অস্তিত্ব মেলেনি এবং এটি সমুদ্র উপকূলে মোটামুটিভাবে হামাগুড়ি দিয়ে চলে। তার ছাপও পাওয়া গেছে সমুদ্র তটের বালিতে। এই সামুদ্রিক প্রাণীটির বংশ বৃদ্ধি ঘটে নভেম্বর থেকে জানুয়ারি – এই সময়কালে। পশ্চিমবঙ্গের বকখালি থেকে ওডিশার কণিকা আইল্যান্ড পর্যন্ত ২৯৫ কিলোমিটার জুড়ে এর অস্তিত্বের সন্ধান পাওয়া গেছে। জুলজিক্যাল সার্ভে অফ ইন্ডিয়ার আঞ্চলিক সদর দপ্তর সহ আরও দুটি কেন্দ্রের সংগ্রহশালায় এই প্রাণীটির নমুনা সংরক্ষিত রয়েছে। এর আগে ঠিক এই ধরনেরই একটি সামুদ্রিক প্রাণীর সন্ধান পাওয়া গিয়েছিল থাইল্যান্ডের সমুদ্র উপকূলে।
নতুন এই সামুদ্রিক প্রাণীটির সমীক্ষা ও গবেষণার সঙ্গে যুক্ত ছিলেন ডঃ প্রসাদ চন্দ্র টুডু, ডঃ শেখ সাজন, ডঃ সৌমেন রায়, ডঃ অমিত মুখোপাধ্যায়, ডঃ বাসুদেব ত্রিপাঠী এবং ডঃ অনিল মহাপাত্র।