আইনের মেয়াদ নিয়ে প্রশ্ন তুলে জরুরি ভিত্তিতে মামলার শুনানির আর্জি জানিয়েছেন তিনি। তবে সেই আর্জি খারিজ করে দেয় শীর্ষ আদালত।
নাগরিকত্ব আইনের বিরুদ্ধে এবার সুপ্রিম কোর্টের দ্বারস্থ হলেন তৃণমূল সাংসদ মহুয়া মৈত্র। আইনের মেয়াদ নিয়ে প্রশ্ন তুলে জরুরি ভিত্তিতে মামলার শুনানির আর্জি জানিয়েছেন তিনি। তবে সেই আর্জি খারিজ করে দেয় শীর্ষ আদালত। সুপ্রিম কোর্টের প্রধান বিচারপতি এসএ বোবদের বেঞ্চে শুক্রবার বিষয়টি তোলেন মহুয়া মৈত্রের আইনজীবী। জরুরি ভিত্তিতে এই মামলার শুনানির দিন ধার্য করার জন্য আবেদন করা হয়। হয় এ দিন, নয়তো ১৬ ডিসেম্বর শুনানি করার জন্য আর্জি জানানো হয়। তবে সেই আবেদন খারিজ করে দিয়ে বোবদে শুনানির তারিখ পাওয়ার জন্য মেনশনিং আইনজীবীর কাছে যেতে বলেন মহুয়ার আইনজীবীকে। এর আগে, নাগরিকত্ব আইনকে শীর্ষ আদলতের পরীক্ষার সামনে দাঁড় করায় ইন্ডিয়ান ইউনিয়ন মুসলিম লিগ। নাগরিকত্ব আইনের বিরুদ্ধে সুপ্রিম কোর্টের দ্বারস্থ হয় এই মুসলিম সংগঠন। পিটিশনে তাদের অভিযোগ, প্রস্তাবিত এই আইন ধর্মের ভিত্তিতে নাগরিকত্বে অনুমোদন দিয়ে সংবিধান সঙ্ঘন করছে। বিরোধীরাও সংসদে একই দাবিতে সোচ্চার হয়েছিলেন। বলেছিলেন, সংবিধানের ১৪ নম্বর ধারায় যেখানে আইনের চোখে সবার সমান অধিকারের কথা বলা হয়েছে, সেই ধারাকে লঙ্ঘন করছে এই বিল। উল্লেখ্য, বুধবার বিতর্কিত নাগরিকত্ব সংশোধনী বিল রাজ্যসভায় পাশ হয়। প্রায় ৯ ঘণ্টার বিতর্কের পরে ভোটাভুটির জন্য বিলটি পাশ হয়ে যায়। এ দিন বিলের পক্ষে ১২৫টি ভোট পড়েছে। অন্যদিকে, বিপক্ষে ভোট দেন ১০৫ জন সাংসদ। সংসদের উভয় কক্ষে বিলটি পাশ হওয়ার পর তা পাঠানো হয়েছিল রাষ্ট্রপতির কাছে। তাতে স্বাক্ষর করে সম্মতি জানিয়ে দিয়েছেন রাষ্ট্রপতি রামনাথ কোবিন্দ। সরকারি বিজ্ঞপ্তিতে বলা হয়েছে, বৃহস্পতিবার সরকারি গেজেটে প্রকাশিত হওয়ার পর থেকেই এই আইন কার্যকরী হয়েছে। এই আইন অনুযায়ী ২০১৪ সালের ৩১ ডিসেম্বর পর্যন্ত পাকিস্তান, বাংলাদেশ ও আফগানিস্তান থেকে আসা হিন্দু, শিখ, বৌদ্ধ, জৈন, পার্সি ও খ্রিস্টান সম্প্রদায়ের মানুষেরা আর বেআইনি শরণার্থী হিসেবে বিবেচিত হবেন না, তাঁরা হবেন ভারতীয় নাগরিক।