ত্রিপুরা আয়তনে ছোট হলেও প্রাকৃতিক সম্পদে পরিপূর্ণ৷ রয়েছে পর্যটকদের আকর্ষিত করার মতো অসংখ্য স্থান৷ এ সমস্ত বিষয় পর্যটকদের সামনে উপস্থাপনের লক্ষ্যে বৃহস্পতিবার পর্যটন দফতরের উদ্যোগে আগরতলায় মহারাজা বীরবিক্রম মাণিক্য বিমানবন্দরে পর্যটন দফতরের নতুন কাউন্টার খোলা হয়েছে৷ বিমান থেকে নেমেই যাতে পর্যটকরা পর্যটনস্থল সম্পর্কে সম্যক ধারণা লাভ করতে পারেন সেজন্যই এই উদ্যোগ৷ পর্যটনমন্ত্রী প্রণজিৎ সিংহরায় বিমানবন্দরে […]
ত্রিপুরা আয়তনে ছোট হলেও প্রাকৃতিক সম্পদে পরিপূর্ণ৷ রয়েছে পর্যটকদের আকর্ষিত করার মতো অসংখ্য স্থান৷ এ সমস্ত বিষয় পর্যটকদের সামনে উপস্থাপনের লক্ষ্যে বৃহস্পতিবার পর্যটন দফতরের উদ্যোগে আগরতলায় মহারাজা বীরবিক্রম মাণিক্য বিমানবন্দরে পর্যটন দফতরের নতুন কাউন্টার খোলা হয়েছে৷ বিমান থেকে নেমেই যাতে পর্যটকরা পর্যটনস্থল সম্পর্কে সম্যক ধারণা লাভ করতে পারেন সেজন্যই এই উদ্যোগ৷ পর্যটনমন্ত্রী প্রণজিৎ সিংহরায় বিমানবন্দরে কাউন্টারটির আনুষ্ঠানিক উদ্বোধন করেছেন আজ৷
এ উপলক্ষ্যে আয়োজিত অনুষ্ঠানে পৰ্যটন ও পরিবহণ মন্ত্রী বলেন, ত্রিপুরা আয়তনের দিক থেকে ছোট হলেও পর্যটন ক্ষেত্রে উন্নয়নের যথেষ্ট সুযোগ রয়েছে৷ তাঁর মতে, পর্যটন ক্ষেত্রে ত্রিপুরাকে উন্নত করা সম্ভব হলে রাজ্যের আর্থিক সমৃদ্ধি ঘটবে, কর্মসংস্থানের সুযোগ বাড়বে৷ সেই লক্ষ্যে বর্তমান রাজ্য সরকার বহুমুখি পরিকল্পনা গ্রহণ করেছে৷ এরই অঙ্গ হিসেবে বৃহস্পতিবার আগরতলা বীরবিক্রম কিশোর মাণিক্য বিমানবন্দরে পর্যটন দফতরের কাউন্টারটি অত্যাধুনিক সাজে সাজিয়ে তোলা হয়েছে৷
তিনি বলেন, বিগত দিনে যেখানে কাউন্টারটি ছিল সেটি সরিয়ে সামনের দিকে নিয়ে আসা হয়েছে যাতে সহজেই পর্যটন দফতরের কাউন্টারটি পর্যটকদের নজরে আসে৷ রাজ্যের বিশেষ বিশেষ পর্যটন ক্ষেত্রের সংক্ষিপ্ত তথ্য সেখানে মজুত রাখা হয়েছে৷ এদিন সাংবাদিকদের মুখোমুখি হয়ে মন্ত্রী প্রণজিৎ সিংহরায় বলেন, ত্রিপুরা প্রাকৃতিক সম্পদে ভরপুর৷ তা সত্ত্বেও বিগত দিনগুলিতে পর্যটন শিল্পের উন্নয়ন ও বিকাশ হয়নি৷ ফলে রাজ্যের অর্থনৈতিক সমৃদ্ধি ঘটেনি৷
তিনি বলেন, কেন্দ্রীয় সরকার বিগত দিনগুলিতেও পর্যটন উন্নয়নে মোটা অঙ্কের অর্থ মঞ্জুর করেছে৷ পূর্বতন সরকারের সঠিক ও সময়োপযোগী কর্ম পরিকল্পনা না থাকায় শুধুমাত্র কিছু নতুন দালানবাড়ি তৈরি করা হয়েছে৷ তিনি আক্ষেপ করে বলেন, পর্যটকদের আকর্ষিত করতে থাকা-খাওয়ার সুবন্দোবস্তে কোনও ধরনের পরিকাঠামো গড়ে তোলা হয়নি৷
পর্যটনমন্ত্রী বলেন, কেন্দ্রীয় সরকার উত্তর-পূর্বাঞ্চলকে ট্যুরিজম সেক্টর হিসেবে চিহ্ণিত করেছে৷ কেন্দ্র থেকে প্রাপ্ত অর্থের সঠিক বাস্তবায়নের মধ্য দিয়ে এই অঞ্চলের পর্যটন উন্নয়নের যথাযথ ব্যবস্থা গ্রহণ করতে হবে৷ তাঁর কথায়, আগের মতো চিন্তাধারা নিয়ে কাজ করলে ত্রিপুরার পর্যটন ক্ষেত্রের সার্বিক বিকাশ সম্ভব নয়৷ পর্যটকদের আকর্ষিত করার জন্য উপযুক্ত পরিকাঠামো, হোটেল ও নিরাপত্তার ব্যবস্থা করতে হবে৷ যোগাযোগ ব্যবস্থার উপরও গুরুত্ব দিতে হবে৷
এদিন ত্রিপুরায় পর্যটন বিকাশের সম্ভাবনার দিকগুলি তুলে ধরে পর্যটন মন্ত্রী বলেন, আর্কিওলজিক্যাল সার্ভে অব ইন্ডিয়ার তথ্য অনুযায়ী উত্তর-পূর্বাঞ্চলের ১০টি মনুমেন্টের মধ্যে ত্রিপুরাতেই রয়েছে ৮টি৷ তার মধ্যে বিশেষ উল্লেখযোগ্য হল ঊনকোটি৷ ঊনকোটিকে ওয়ার্ল্ড হেরিটেজের অন্তর্ভুক্ত করার জন্য ত্রিপুরা সরকারের কাছ থেকে আবেদন জানানো হয়েছে৷ তিনি বলেন, রাজ্যের চা-বাগানগুলিকে পরিকল্পিতভাবে পর্যটকদের আকর্ষিত করার পরিকল্পনা রয়েছে৷ তিনি এক তথ্য দিয়ে জানান, ২০১৯ সালে ৩১ ডিসেম্বর পর্যন্ত রাজ্যে পর্যটক এসেছেন ১ লক্ষ ২২ হাজার৷ এর মধ্যে বিদেশি পর্যটক ৮০ হাজার৷ প্রতিবছর ত্রিপুরায় পর্যটকের সংখ্যা বাড়ছে বলেও দাবি করেন তিনি৷