৯৫৮ সালের ১৮ মে রাজস্থানের ঝুনঝুনু জেলায় জন্ম নেওয়া সুপ্রিম কোর্টের এই সিনিয়র অ্যাডভোকেট জয়পুর (রাজস্থান বিশ্ববিদ্যালয়) থেকে বিএসসি ও আইন নিয়ে স্নাতক হওয়ার পর ওকালতি পেশায় যোগদানের পাশাপাশি যুক্ত হন রাজনীতিতে
অবশেষে অবসান হল পশ্চিমবঙ্গের রাজ্যপাল নিয়ে সমস্ত জল্পনার। কেশরীনাথ ত্রিপাঠির ছেড়ে যাওয়া আসনে এবার বসতে চলেছেন সুপ্রিম কোর্টের সিনিয়র অ্যাডভোকেট জগদীপ ধানখার। পশ্চিমবঙ্গের রাজ্যপাল হিসাবে মেয়দা শেষ হয়ে গিয়েছিল কেশরীনাথ ত্রিপাঠির। আলোচনা উঠেছিল তাঁকেই স্বপদে বহাল রাখা হবে, নাকি নতুন কাউকে পশিচমবঙ্গের রাজ্যপাল হিসাবে নিয়োগ করা হবে। শেষপর্যন্ত কেন্দ্রের প্রাক্তন মন্ত্রী (১৯৮৯-১৯৯১) জগদীপ ধনকর বাংলার রাজ্যপাল হিসাবে পাঠানোর সিদ্ধান্ত নিল মোদি সরকার।
১৯৫৮ সালের ১৮ মে রাজস্থানের ঝুনঝুনু জেলায় জন্ম নেওয়া সুপ্রিম কোর্টের এই সিনিয়র অ্যাডভোকেট জয়পুর (রাজস্থান বিশ্ববিদ্যালয়) থেকে বিএসসি ও আইন নিয়ে স্নাতক হওয়ার পর ওকালতি পেশায় যোগদানের পাশাপাশি যুক্ত হন রাজনীতিতে। প্রথমে কংগ্রেসের সঙ্গে যুক্ত থাকলেও ২০০৩ সালে দলের সঙ্গে সব সম্পর্ক চুকিয়ে যোগ দেন বিজেপিতে। সদংসদীয় রাজনীতিতেও যথেষ্ট অভিজ্ঞতা রয়েছে জগদীপ ধনকরের। রাজস্থানের কিষাণগড় বিধানসভা থেকে কংগ্রেসের প্রার্থী হিসাবে জয়লাভ করার পর ১৯৮৯ সালের নবম লোকসভা নির্বাচনে নিজের জন্মস্থান ঝুনঝুনু কেন্দ্র থেকে কংগ্রেসের প্রতীকেই জয়লাভ করেন। সেবারই কেন্দ্রীয় মন্ত্রীসভায় স্থান পান তিনি। যদিও কেন্দ্রীয় মন্ত্রী হিসাবে তিনি ১৯৯১ সাল পর্যন্ত দায়িত্ব পালন করেছিলেন। পাশাপাশি রাজস্থান হাইকোর্টের বার অ্যাসোসিয়েশনের প্রাক্তন প্রেসিডন্ট হিসাবেও অতীতে দায়িত্ব পালন করেছেন ধানখার।
বাংলা দখলে আনতে এখন মরিয়া গেরুয়া শিবির। প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদির ঘনিষ্ঠ হওয়াতেই জগদীপ ধনকরের এই নিয়োগ বলে মনে করছে রাজনৈতিক মহল।