সিদ্ধার্থ দেব পুরকায়স্থ মালুগ্রামের যুব সমাজ ক্লাব, উত্তরণ সামাজিক সংস্থা-সহ বিভিন্ন সংগঠনের সঙ্গে যুক্ত ছিলেন।
অকালে চলে গেলেন সাংবাদিক তথা গতি দৈনিক পত্রিকার সাব এডিটর সিদ্ধার্থ দেব পুরকায়স্থ (রাহুল)। শিলচর মালুগ্রামের শ্রীনগর রোডের প্রাণ চঞ্চল যুবক রাহুলের সোমবার ভোরে হঠাৎ করে প্রচণ্ড কাশি ওঠে। অবস্থা বেগতিক দেখে সঙ্গে সঙ্গে তাঁকে শিলচরের একটি বেসরকারি নার্সিংহোমের উদ্দেশে নিয়ে যাওয়ার পথে শেষ নিঃশ্বাস ত্যাগ করেন। নার্সিংহোমে নিয়ে গেলে চিকিৎসকরা তাঁকে মৃত বলে ঘোষণা করেন।
হাসপাতালের ডাক্তাররা বলেছেন, হৃদরোগে আক্রান্ত হয়ে সিদ্ধার্থ ইহলোক থেকে পরলোকে পাড়ি দিয়েছেন। মৃত্যুকালে তাঁর বয়স হয়েছিল ৫০ বছর। রেখে গেছেন বৃদ্ধ মা, স্ত্রী, এক পুত্র ও এক কন্যাসন্তান, ভাই-সহ অসংখ্য গুণমুগ্ধকে। কয়েক দশক থেকে দৈনিক পত্রিকায় সংবাদকর্মী হিসাবে কাজ করছিলেন রাহুল। রবিবার রাতেও যথারীতি কাজ করেন পত্রিকা কার্যালয়ে।
আজ তাঁর মৃতদেহ শিলচর প্রেস ক্লাবে নিয়ে যাওয়া হলে রাহুলকে শেষ শ্রদ্ধা নিবেদন করেন শিলচর প্রেস ক্লাবের কর্মকর্তারা। উপস্থিত ছিলেন উপ-সভাপতি মনোতোষ ধর, বিকাশ চক্রবর্তী, রিতেন ভট্টাচার্য, সম্পাদক শংকর দে, কোষাধ্যক্ষ চিন্ময় নাথ, পাপলু দাস, গৌতম তালুকদার-সহ অন্যান্য সাংবাদিকরা। পুষ্পস্তবক দিয়ে প্রয়াতকে সম্মান জানান শিলচর প্রেস ক্লাবের পক্ষে সাধারণ সম্পাদক শংকর দে, দৈনিক অবিচারের পক্ষে মনোতোষ ধর, বরাকভ্যালি মিডিয়া অ্যাসোসিয়েশন ও যুবদর্পণ প্রিন্ট ও অনলাইন মিডিয়ার পক্ষে দিলু দাস। এছাড়া শোক ব্যক্ত করেন এটিএন নিউজ বরাকের পক্ষে শমীন্দ্র পাল। সিদ্ধার্থ দেব পুরকায়স্থ মালুগ্রামের যুব সমাজ ক্লাব, উত্তরণ সামাজিক সংস্থা-সহ বিভিন্ন সংগঠনের সঙ্গে যুক্ত ছিলেন। তাঁর অকালমৃত্যু পরিচিত মহল মেনে নিতে পারছে না। সংবাদ জগতে শোকের ছায়া নেমে এসেছে তাঁর মৃত্যুতে।