গভীর সমুদ্রে মৎস্যজীবীদের বিপদের হাত থেকে বাঁচাতে এবার যথেষ্ট উদ্যোগী হয়েছিল প্রশাসন। একাধিক সেমিনার করে মৎস্যজীবীদের প্রশিক্ষণ দেওয়া হয়েছিল। ড্যাট নামক যন্ত্র ও দেওয়া হয়েছিল প্রশাসনের তরফ থেকে
বঙ্গোপসাগরে মাছ ধরতে গিয়ে নিখোঁজ হলেন পঁচিশ মৎস্যজীবী। এখনো পর্যন্ত নিখোঁজ চারটি ট্রলার। এদের মধ্যে তিনটি ট্রলার জলমগ্ন হয়েছে বলেই দাবী মৎস্যজীবীদের। তবে এখনো পর্যন্ত একটি ট্রলারের খোঁজ মেলেনি। আবহাওয়া দফতরের নিষেধাজ্ঞা অমান্য করে মাছ ধরতে যাওয়ার কারণেই বিপদ ঘটেছে বলেই মনে করা হচ্ছে।
গত বছরও আবহাওয়া দফতর ও মৎস্য দফতরের নিষেধাজ্ঞা অমান্য করেই গভীর সমুদ্রে বেশী লাভের আশায় পাড়ি দিয়েছিলেন মৎস্যজীবীরা। আর সেখানে গিয়ে একাধিকবার বিপদের মধ্যে পড়েছিলেন। ঘটনায় এখনো পর্যন্ত ৩৯ জন মৎস্যজীবী নিখোঁজ। গত এক বছর ধরে কোনরকম খোঁজ মেলেনি তাদের।
গভীর সমুদ্রে মৎস্যজীবীদের বিপদের হাত থেকে বাঁচাতে এবার যথেষ্ট উদ্যোগী হয়েছিল প্রশাসন। একাধিক সেমিনার করে মৎস্যজীবীদের প্রশিক্ষণ দেওয়া হয়েছিল। ড্যাট নামক যন্ত্র ও দেওয়া হয়েছিল প্রশাসনের তরফ থেকে। যাতে গভীর সমুদ্রে গিয়ে কোনরকম বিপদের মুখে পড়তে না হয় তাদের। কিন্তু সর্বপরি, আবহাওয়া দফতরের নির্দেশ মেনে চলতে বলা হয়েছিল মৎস্যজীবীদের।
কিন্তু এবারও সেই নিষেধাজ্ঞা অমান্য করে প্রায় দেড়শো ট্রলার দিন চারেক আগে রওনা দেয় বঙ্গোপসাগরে। আর সেখানে গিয়ে গত শনিবার বিপদের মধ্যে পড়ে তারা। বঙ্গোপসাগরে খারাপ আবহাওয়ার কারণে দিকভ্রষ্ট হয়ে বাংলাদেশী জলসীমায় ও ঢুকে পরে শতাধিক ট্রলার। এর পাশাপাশি বহু ট্রলার উপকুলে গিয়ে নোঙর ও করে বিপদ থেকে বাঁচতে। কিন্তু উত্তাল সমুদ্রের জলচ্ছ্বাসে অন্তত তিনটি ট্রলার জলমগ্ন হয়ে পরে বলেই মৎস্যজীবী সূত্রে খবর। এফ বি দশভুজা, এফ বি বাবাজী ও এফ বি জয় যোগীরাজ নামক তিনটি ট্রলার ডুবে গিয়েছে। অন্যদিকে এফ বি নয়ন নামের ট্রলারটির এখনো পর্যন্ত কোন খোঁজ মেলেনি বলে সুত্রের খবর।
অন্যদিকে বাংলাদেশী জলসীমায় ঢুকে পরা শতাধিক ট্রলারকে সোমবার সকালে বাংলাদেশ উপকূলরক্ষী বাহিনীর তরফ থেকে নিরাপদে ভারতীয় জলসীমায় পৌঁছে দেওয়া হয়েছে। অন্যদিকে বাংলাদেশী উপকূল রক্ষী বাহিনী ও ভারতীয় উপকূল রক্ষী বাহিনী যৌথভাবে উদ্ধার কাজ শুরু করেছে। নিখোঁজ ট্রলার ও নিখোঁজ মৎস্যজীবীদের খোঁজেও চলছে তল্লাশি।