প্রায় ৯০ বছর ধরে মানুষ নির্বিঘ্নে যাতায়াত করছিল। সেই রাস্তা কেটে পুকুর করা হয়েছে হাইলাকান্দির আলগাপুর বিধানসভার বাঁশবাড়ী গ্রামে। রাস্তাটি কেটে ফেলায় কমপক্ষে তিন শতাধিক কৃষক তাদের আবাদ করতে বিপাকে পড়েছেন বলে জানান সেখানকার বাসিন্দারা
প্রায় ৯০ বছর ধরে মানুষ নির্বিঘ্নে যাতায়াত করছিল। সেই রাস্তা কেটে পুকুর করা হয়েছে হাইলাকান্দির আলগাপুর বিধানসভার বাঁশবাড়ী গ্রামে। রাস্তাটি কেটে ফেলায় কমপক্ষে তিন শতাধিক কৃষক তাদের আবাদ করতে বিপাকে পড়েছেন বলে জানান সেখানকার বাসিন্দারা। রাস্তার প্রতিবন্ধকতা রোধে জেলা প্রশাসনসহ বিভিন্ন দফতরে আবেদন করেছেন ভুক্তভোগীরা তবে দুর্ভাগ্যজনক ভাবে নীরব দর্শক এর ভুমিকায় জিলা প্রশাসন।
ভাটিরকুপার প্রথম খন্ড গ্রামের সড়কের সঙ্গে যুক্ত অন্তত আড়াইশ মিটার একটি সরকারি রাস্তা। ৭০ বছর আগে তৎকালীন বিধায়ক প্রয়াত মওলানা আব্দুল জলিল চৌধুরী ও প্রয়াত বিধায়ক আব্দুর রহমান চৌধুরী (পঠল উকিল) বৃহত্তর পশ্চিম হাইলাকান্দির চন্ডিপুর টি গ্ৰান্ট বাঁশবাড়ী গ্ৰান্ট বাঁশবাড়ী দ্ধীতীয় খন্ড বড়তোয়ার খাস আফলা ইত্যাদি গ্ৰামের জনগণের সুবিধার জন্য রাস্তাটি নির্মাণ করেছিলেন এর পর প্রয়াত বিধায়ক শহিদুল আলম চৌধুরী বিধায়ক থাকালিন সময়ে সেন্ড গ্ৰেভল তথা মেটালিঙ্গ করেছিলেন পূত্ বিভাগের এএসিপি প্রকল্পের আওতায় এছাড়া রাহুল রায় বিধায়ক থাকালিন সময়ে এই সড়কের কদমাছড়ায় কালভার্ট নির্মাণ করেন এছাড়া মন্দিরা রায় ও গৌতম রায় এই সড়কের বহু প্রতীক্ষিত জীতা নদীর উপর আরসেসি সেতু নির্মাণ করেন। তাই এই রাস্তাটি সরকারী রাস্তা হিসেবে কাগজপত্রে লিপিবদ্ধ ।
রাস্তার দুই পাশের জমির মালিকানা পরিবর্তন হয়ে ফসলি জমিগুলো এখন মৎস্য খামার করা হয়েছে। রাস্তা ধরে বাঁশবাড়ীর অন্তত ৩ হাজার একর জমি চাষ করেন এলাকার তিন শতাধিক কৃষক। ফসলের মৌসুমে মাঠ থেকে ধান, সবজি অন্যান্য ফসল তুলে রাস্তাটি দিয়ে ভাটিরকুপা, মাটিরগ্ৰাম, চন্ডিপুর টি গ্ৰান্ট বাঁশবাড়ী গ্ৰান্ট ইত্যাদি গ্রামের কিছু অংশের মানুষ নিজেদের বাড়িতে নিয়ে যান এবং এই রাস্তা দিয়ে খুব সহজেই হাইলাকান্দি শহর ও আলগাপুর বাজারে যাতায়াত করতে পারেন বৃহত্তর পশ্চিম হাইলাকান্দির পনেরো হাজার জনতা। রাস্তাটি কেটে নিজেদের মৎস্য খামারে মিশিয়ে দিচ্ছেন লিজ নিয়ে মৎস্য খামারি মালিক তথা লালার বাসিন্দা জনৈক ফিসারি আলম নামে পরিচিত ব্যাক্তি ।৮০ বছর আগে নির্মিত রাস্তাটি চার গ্রামের মানুষ নিত্য চলাচল তথা হাইলাকান্দি শহর ও আলগাপুর বাজারে যাতায়াত করা সহ জিতা নদীর পূর্ব তীরে ভাটিরকুপা মাটিরগ্ৰাম চন্ডিপুর ইত্যাদি গ্ৰামের কৃষকরা চাষাবাদের কাজের জন্য ব্যবহার করেন। রাস্তার এক পাশে জনৈক ফিসারি আলম নামের ব্যাক্তি মাছ চাষ এর পুকুর নির্মাণ করায় রাস্তা ভেঙে চলাচল অনুপযোগী হয়েছে। স্থানীয়রা আলমকে রাস্তা মেরামতের জন্য বললে ক্ষিপ্ত হয়ে তর্কে জড়ান বলে জানিয়েছেন স্থানীয়রা। ভারী বৃষ্টিতে জলের স্রোতে ফিসারি থাকা রাস্তার পাশ ধিরে ধিরে ভেঙে তলিয়ে যাচ্ছে সড়ক ।
এতে নাগরিক ভোগান্তি চরমে উঠেছে। বিশেষ করে কর্মজীবী মানুষের ভোগান্তি হয়েছে আরও বেশি।ছোটবেলা থেকেই রাস্তাটি দিয়ে মানুষকে চলাচল করতে দেখেছেন বলে জানিয়েছেন গ্ৰামে বয়স্ক ব্যাক্তি । গ্রামগুলোর মানুষের জন্য রাস্তাটি খুব জরুরি। কিন্তু সেটির এক সাইড কেটে ফেলা হয়ে রাস্তার প্রশস্থ কমিয়ে দেওয়া হয়েছে তবে রাস্তার বিপরীত সাইড খালি আছে যদি সরকারের তরফে রাস্তা পাকাকরণের ব্যবস্থা নেওয়া হয় তবে প্রয়োজনীয় জায়গায় খালি আছে । এই রাস্তাটিতে সরকারি খরচে একটি কালভার্ট , একটি আরসিসি সেতু সহ সেন্ড গ্ৰেভল করা হয়েছিল। তবে এই রাস্তার ফিসারি থাকা আড়াইশো মিটার স্থানে সেন্ড গ্ৰেভল তথা পাথর এর উপর মাটি ফেলে দিয়েছেন জৈনক ফিসারী মালিক ।রাস্তাটির সাইড কেটে পুকুরে মিশিয়ে দেওয়া ও সরকারি হিউমপাইপ কালভার্টের স্থান পরিবর্তন করে দেওয়া সহ ভেঙে ফেলা হয়েছে তাই এতে জল জমে কৃত্রিম বন্যার সৃষ্টি হয়ে ফসলের মৌসুমে কৃষকদের ফসল ফলাতে কষ্ট করতে হয়।স্থানীয় স্কুল পড়ুয়ারা ভাটিরকুপা এমআরসি হাইস্কুলে যাতায়াত করতে অনেক দুর্ভোগ পোহাতে হচ্ছে। বৃহত্তর এলাকাগুলোর জনগনের পক্ষ থেকে এই বিষয়ে তদন্ত করে বিহিত ব্যাবস্থা গ্ৰহন করতে জিলা শাসক সহ জনপ্রতিনিধির কাছে জোরালো দাবি জানিয়েছেন।
5E for Success | Apply For Internship