বাংলাদেশের সঙ্গে ভারতের সুসম্পর্ক গড়ার ক্ষেত্রে ত্রিপুরার অবদান রয়েছে, স্বীকার করলেন সে-দেশে অবস্থিত ভারতীয় হাইকমিশনার রীভা গাঙ্গুলি দাস
বাংলাদেশের সঙ্গে ভারতের সুসম্পর্ক গড়ার ক্ষেত্রে ত্রিপুরার অবদান রয়েছে, স্বীকার করলেন সে-দেশে অবস্থিত ভারতীয় হাইকমিশনার রীভা গাঙ্গুলি দাস৷ তাঁর কথায়, প্রতিবেশী রাষ্ট্র বাংলাদেশের সাথে ভারতের মধুর সম্পর্ক রয়েছে৷ তবে, এই মধুর সম্পর্কের জন্য ত্রিপুরারও যথেষ্ট অবদান রয়েছে৷ সোমবার ত্রিপুরার মুখ্যমন্ত্রী বিপ্লবকুমার দেবের সঙ্গে সৌজন্য সাক্ষাত শেষে সাংবাদিকদের মুখোমুখি হয়ে এ-কথা বলেন তিনি৷ সাথে যোগ করেন, বাংলাদেশের উন্নতিতেও ত্রিপুরার অবদান রয়েছে৷
সোমবার ত্রিপুরা সফরে এসেছেন বাংলাদেশস্থিত ভারতীয় হাইকমিশনার রীভা গাঙ্গুলি দাস৷ আখাউড়া সীমান্ত দিয়ে আগরতলায় এসেই তিনি সোজা চলে যান নিশ্চিন্তপুর৷ সেখানে তিনি ভারত-বাংলা রেল সংযোগের কাজের খোঁজখবর নিয়েছেন৷ সেখান থেকে ফিরে এসে তিনি সচিবালয়ে মুখ্যমন্ত্রী বিপ্লবকুমার দেবের সাথে সৌজন্য সাক্ষাতে মিলিত হন৷
মুখ্যমন্ত্রীর সাথে সাক্ষাত শেষে সাংবাদিকদের মুখোমুখি হয়ে রীভা গাঙ্গুলি বলেন, ত্রিপুরায় প্রথম এসেছি৷ আজ মুখ্যমন্ত্রীর সাথে সৌজন্য সাক্ষাত করেছি৷ তিনি জানান, ভারত ও বাংলাদেশের মধ্যে যে মধুর সম্পর্ক রয়েছে তার পেছনে ত্রিপুরার যথেষ্ট অবদান রয়েছে৷ শুধু তাই নয়, বাংলাদেশের উন্নতিতেও ত্রিপুরার অবদান অস্বীকার করা যায় না৷ তাঁর কথায়,ভারত, বাংলাদেশ ও ত্রিপুরার উন্নতি একে অপরের সাথে সম্পর্কযুক্ত৷
আজ তিনি এক প্রশ্নের উত্তরে জানিয়েছেন, বাংলাদেশের সাথে রেল যোগাযোগের ব্যাপারটা কিছু সময় নিচ্ছে ঠিকই৷ কিন্তু, নির্দিষ্ট সময়েই দু-দেশের মধ্যে রেল সংযোগের কাজ সমাপ্ত হবে বলে তিনি আশা প্রকাশ করেছেন৷ এদিন তিনি আরও জানিয়েছেন, ত্রিপুরায় আরও দুটি সীমান্ত হাট চালু করার প্রক্রিয়া শুরু হয়েছে৷ তাতে, দু-দেশের মধ্যে বাণিজ্যিক আদান-প্রদানে উভয় দেশ উপকৃত হবে৷ এক প্রশ্নের জবাবে তিনি জানান, চট্টগ্রাম বন্দর দিয়ে ত্রিপুরায় পণ্য আমদানির প্রক্রিয়া চলছে৷ খুব শীঘ্রই চট্টগ্রাম বন্দর দিয়ে স্থায়ীভাবে পণ্য আমদানি শুরু হবে বলে তিনি জানিয়েছেন৷
জানা গিয়েছে, আজ তিনি ত্রিপুরায় অবস্থান করবেন৷ আগামীকাল বাংলাদেশ ফিরে যাবেন৷