ব্রাহ্মণবাড়িয়া জেলার কসবা উপজেলার মন্দবাগ এলাকায় সংঘর্ষ হয় ‘তুর্ণা নিশীথা’ এবং ‘উদয়ন এক্সপ্রেস’ ট্রেনের।
বাংলাদেশের ব্রাহ্মণবাড়িয়া জেলার কসবা উপজেলায় ‘তুর্ণা নিশীথা’ এবং ‘উদয়ন এক্সপ্রেস’ ট্রেনের সংঘর্ষে প্রাণ হারালেন কমপক্ষে ১৬ জন যাত্রী। মঙ্গলবার ভোররাত তিনটে নাগাদ ব্রাহ্মণবাড়িয়া জেলার কসবা উপজেলার মন্দবাগ এলাকায় সংঘর্ষ হয় ‘তুর্ণা নিশীথা’ এবং ‘উদয়ন এক্সপ্রেস’ ট্রেনের। সংঘর্ষে এখনও পর্যন্ত ১৬ জন যাত্রীর মৃত্যু হয়েছে। আহতের সংখ্যা শতাধিক। ব্রাহ্মণবাড়িয়া জেলা প্রশাসক হায়াত-উদ-দৌলা খান জানিয়েছেন, দু’টি ট্রেনের সংঘর্ষের জেরে ঘটনাস্থলেই ৯ জন প্রাণ হারান, সদর হাসপাতালে চিকিত্সাধীন অবস্থায় আরও ৩ জনের মৃত্যু হয়, কসবা উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে ৩ জন এবং কুমিল্লা সদর হাসপাতালে একজনের মৃত্যু হয়।
রেলের পক্ষ থেকে জানানো হয়েছে, মঙ্গলবার ভোররাতে চট্টগ্রাম থেকে ঢাকা অভিমুখে যাচ্ছিল ‘তুণা নিশীথা’ ট্রেন। সেই সময় সিলেট থেকে চট্টগ্রাম অভিমুখে যাচ্ছিল ‘উদয়ন এক্সপ্রেস।’ কসবা উপজেলার মন্দবাগ এলাকায় সংঘর্ষ হয় ‘তুর্ণা নিশীথা’ এবং ‘উদয়ন এক্সপ্রেস’ ট্রেনের। ‘উদয়ন এক্সপ্রেস’ ট্রেনটি ‘তুর্ণা নিশীথা’ ট্রেনটিকে সাইড দিচ্ছিল। তখন ‘উদয়ন এক্সপ্রেস’ ট্রেনের অর্ধেক বগি অন্য রেললাইনে ঢোকার পর বাকি বগিগুলিতে ‘তুর্ণা নিশীথা’ ধাক্কা দেয়। দু’টি কামরা সম্পূর্ণ দুমড়ে মুচড়ে যায়। আখাউড়া রেলওয়ে ওসি শ্যামল কান্তি দাস জানিয়েছেন, সংঘর্ষের জেরে দু’টি ট্রেনের কয়েকটি বগি লাইনচ্যুত হয়ে যায়। পুলিশ, দমকল এবং রেলওয়ে কর্তৃপক্ষের সঙ্গে উদ্ধারকাজে হাত লাগান স্থানীয় বাসিন্দারা। রেল দুর্ঘটনার জেরে ঢাকা-চট্টগ্রাম এবং চট্টগ্রাম-সিলেটের মধ্যে রেল যোগাযোগ সম্পূর্ণ বন্ধ হয়ে গিয়েছে।