তাপ বিদ্যুৎকেন্দ্রের ছাই বাংলাদেশে দ্রুত ,রফতানির জন্য নয়া রাস্তা রাজ্যকে তৈরি করতে বলল কেন্দ্র। এরজন্য প্রয়োজনীয় খরচ দেবে কেন্দ্রীয় অভ্যন্তরীণ জলপথ সংস্থা
তাপ বিদ্যুৎকেন্দ্রের ছাই বাংলাদেশে দ্রুত, রফতানির জন্য নয়া রাস্তা রাজ্যকে তৈরি করতে বলল কেন্দ্র। এরজন্য প্রয়োজনীয় খরচ দেবে কেন্দ্রীয় অভ্যন্তরীণ জলপথ সংস্থা। সংস্থার তরফে পশ্চিমবঙ্গের সেচ দফতরকে এই ব্যাপারে উদ্যোগী হতে আবেদন করা হয়েছে।
পূর্ব মেদিনীপুরের কোলাঘাট তাপ বিদ্যুৎকেন্দ্রে থেকে প্রতি মাসে প্রায় ৩৫ হাজার টন ছাই বাংলাদেশে জলপথে রফতানি হয়। এক একটি জাহাজে নেওয়া হয় প্রায় ২ হাজার টন ছাই। এই ছাই বিদ্যুৎকেন্দ্র থেকে প্রায় ৫০ কিলোমিটার পথ লরি করে হলদিয়ায় নিয়ে যাওয়া হয় জাহাজে তোলার জন্য। অনেক সময়ে পথে যানজট বা অন্য কারণে বেশ কিছু লরি গন্তব্যে পৌঁছোতে দেরি করে। ৩-৪ দিন সময় লেগে যায়। ইংল্যান্ড ওয়াটারওয়েজ অথরিটি অফ ইন্ডিয়ার চেয়ারম্যান প্রবীর পান্ডে কলকাতায় জানিয়েছেন, “প্রায় চার কিলোমিটার দীর্ঘ রাস্তা তৈরি করা গেলে দ্রুততার সঙ্গে বিদ্যুৎকেন্দ্রের ছাই জাহাজঘাটায় পাঠানো যাবে। রাস্তা তৈরি করা আমাদের কাজ নয়। সেচ দফতরের জন্য সমীক্ষা করে কত খরচ লাগবে জানাক। আমরা প্রয়োজনীয় টাকা দিয়ে দেব। রাস্তা নির্মান ৩-৪ মাসের মধ্যে হওয়া দরকার।”
সূত্রের খবর, এই ছাই দ্রুততার সঙ্গে পরিবহণের জন্য জাহাজ হলদিয়া থেকে কোলাঘাটে নিয়ে আসার ব্যবস্থা হচ্ছে। নতুন রাস্তা তৈরি হলে কোলাঘাটের জেটিতে আধুনিক স্বয়ংক্রিয় ব্যবস্থার মাধ্যমে লরির ছাই সরাসরি জাহাজে তোলা সম্ভব হবে। নয়া জেটি কোলাঘাটে তৈরি হয়েছে। কিন্তু প্রস্তাবিত রাস্তাটি তৈরি না হলে এই জেটিকে কাজে লাগানো যাচ্ছে না। কম্প্রেসর এবং আধুনিক প্রযুক্তির সাহায্যে এই জেটিতে পাঁচ ঘন্টায় দু’হাজার টন ছাই জাহাজে তোলা সম্ভব। এখন এই কাজে অনেক বেশি সময় লাগছে। তাপ বিদ্যুৎকেন্দ্রের ছাই জমে গিয়ে অনেক সময়ে কোলাঘাটের পরিবেশ দূষিত করছে বলে অভিযোগ উঠেছে। গ্রীষ্ম এবং বর্ষায় এ নিয়ে জটিলতা বাড়ছে। এলাকায় জনরোষ নিয়ে থানা-পুলিশ হয়েছে। পরিবেশ দূষণ নিয়ন্ত্রণ পর্ষদ নির্দেশ দিয়েছে কোনও অবস্থায় বিদ্যুৎকেন্দ্রের ছাই জমিয়ে রাখা যাবে না। কেন্দ্রীয় সংস্থা মনে করছে, প্রস্তাবিত রাস্তাটি দ্রুত তৈরি করা গেলে নয়া জেটির আধুনিক ব্যবস্থার মাধ্যমে অল্প সময়ের মধ্যে জমে থাকা ছাই বিদ্যুৎকেন্দ্র থেকে সরিয়ে দেওয়া যাবে।