সংখ্যালঘু নির্যাতন নিয়ে ভারতের স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী অমিত শাহ’র সাম্প্রতিক বক্তব্য প্রসঙ্গে ওবায়দুল কাদের বলেন ভারতের স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী যেটা বলেছেন বাংলাদেশের বাস্তবতায় এটা কি অসত্য ? তিনি বলেন, ‘২০০১ সাল থেকে যে মাইনরিটি পারসিউকিউশন এদেশে হয়েছে, এটা কেবলমাত্র একাত্তরের বর্বরতার সাথেই তুলনীয়। কাজেই এখানে শাক দিয়ে মাছ ঢাকার কোনও উপায় নেই’।
বাংলাদেশের শাসক দল আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক তথা সেদেশের
সেতুমন্ত্রী ওবায়দুল কাদেরকে দেশ বিরোধী বলে আক্রমণ করলেন দেশটির বিরোধী দল বিএনপি।
মঙ্গলবার বিএনপির সিনিয়র যুগ্ম মহাসচিব রুহুল কবির রিজভী বলেন, ভারতের এনআরসি নিয়ে ওবায়দুল কাদেরের দেওয়া মন্তব্য
দেশবিরোধী। এদিন নয়াপল্টনের কেন্দ্রীয় কার্যালয়ে আয়োজিত সংবাদ সম্মেলনে তিনি এই
অভিযোগ করেন।
গতকাল ঢাকাস্থিত বাংলাদেশ সচিবালয়ে এক সংবাদ সম্মেলন করেন শাসক দল
আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক তথা সেদেশের সেতুমন্ত্রী ওবায়দুল কাদের। তাঁদের দেশে
সংখ্যালঘু নির্যাতন নিয়ে ভারতের স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী অমিত শাহ্’র সাম্প্রতিক বক্তব্য প্রসঙ্গে ওবায়দুল কাদের বলেন ভারতের
স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী যেটা বলেছেন বাংলাদেশের বাস্তবতায় এটা কি অসত্য ? তিনি বলেন, ‘২০০১ সাল থেকে যে মাইনরিটি পারসিউকিউশন
এদেশে হয়েছে, এটা কেবলমাত্র একাত্তরের বর্বরতার সাথেই
তুলনীয়। কাজেই এখানে শাক দিয়ে মাছ ঢাকার কোনও উপায় নেই’।
মিস্টার কাদের বলেন, বিএনপি যতই সত্যকে চাপা দিতে চাক, আপনারা জানেন, সাংবাদিকরাও জানেন, তখন কিভাবে সংখ্যালঘুদের উপর অত্যাচার হয়েছে, বিশেষ করে হিন্দু সম্প্রদায়। ‘এবং ওই অবস্থায় মাইনরিটিদের দেশ থেকে পলায়ন করাই ছিল স্বাভাবিক। অনেকেই জীবনের জানমালের নিরাপত্তার জন্য সেদিন পালিয়েছিলো। মির্জা ফখরুল যতই সাফাই গান না কেন, যে সত্য দিবালোকের মত সত্য, তা চাপা দিয়ে কারও কোনও লাভ নেই। সত্যের বন্যা অপ্রতিরোধ্য। এটা প্রকাশ হবেই’।
এক প্রশ্নের জবাবে শেখ হাসিনা সরকারের আমলেও হিন্দু নির্যাতন অব্যাহত আছে বলে মেনে নেন তিনি | ওই সাংবাদিক সম্মেলনে এক সাংবাদিক জানতে চান, প্রধানমন্ত্রীর উপদেষ্টা গওহর রিজভী ভারতে গিয়ে বলেছেন যে সংখ্যালঘু কেউ বাংলাদেশ থেকে গেছে প্রমাণ হলে তাদের ফেরত আনা হবে। এ প্রসঙ্গে আপনার মন্তব্য কী?
এর জবাবে সড়ক যোগাযোগ ও সেতুমন্ত্রী বলেন, শেখ হাসিনা সরকারের আমলে মাইনরিটি পারসিউকিশনের মত ঘটনা ঘটেনি। বিচ্ছিন্নভাবে, বিক্ষিপ্তভাবে অঞ্চলভিত্তিক দু’চার জায়গায় কিছু ঘটনা ঘটেছে। সেটা মাইনরিটিদের দেশ থেকে পলায়নের মত, নিরাপদ আশ্রয়ের জন্য ভারতের যাওয়ার কোনও কারণ সৃষ্টি হয়নি। এ ধরণের ঘটনাও হয়নি। তিনি বলেন, ‘রংপুর, গোবিন্দগঞ্জ, রামু, নাসিরবাদের ঘটনায় যারা জড়িত তাদের বিচারের আওতায় আনা হয়েছে। এগুলো তাদের দেশ থেকে চলে যাওয়ার কোনও কারণ সৃষ্টি করেনি বলে আমরা মনে করি’।