বিক্ষোভকারীরা ভারত ও হিন্দু নাগরিকদের আলাদা করে দেখছে না, ফলে মন্দির ও লোকজনের ওপর হামলার ঘটনা ঘটেছে।
বাংলাদেশ : বাংলাদেশে ২৯টি জেলায় সংখ্যালঘু হিন্দুদের বাড়িঘর, ব্যবসাপ্রতিষ্ঠান ও মন্দিরে হামলা, ভাঙচুর ও লুটপাটের ঘটনা ঘটেছে বলে অভিযোগ করেছে বাংলাদেশ হিন্দু বৌদ্ধ খ্রিস্টান ঐক্য পরিষদ। এর মধ্যে চার জেলায় নয়টি মন্দিরে হামলার ঘটনা ঘটেছে বলে তারা দাবি করেছে।
গত সোমবার (৫ আগষ্ট ) হিন্দু বৌদ্ধ খ্রিস্টান ঐক্য পরিষদের সাধারণ সম্পাদক রানা দাশগুপ্ত স্বাক্ষরিত এক সংবাদ বিজ্ঞপ্তিতে এই তথ্য তুলে ধরা হয়। সংবাদ বিজ্ঞপ্তিতে বলা হয়, শেরপুরের শ্রীবরদী উপজেলা যুব ঐক্য পরিষদের সভাপতির বাসায় হামলা, ভাঙচুর ও লুটপাটের ঘটনা ঘটে। খুলনা জেলা ঐক্য পরিষদের সভাপতি বিমান বিহারী অমিত ও যুব ঐক্য পরিষদের সভাপতি অনিমেষ সরকার রিন্টুর শহরের টুটপাড়ার বাড়িতে ভাঙচুর ও লুটপাটের ঘটনা ঘটে।
সাতক্ষীরায় জেলা ঐক্য পরিষদের সভাপতি বিশ্বজিৎ সাধু এবং ঐক্য পরিষদের কেন্দ্রীয় সহসাংগঠনিক সম্পাদক সুব্রত ঘোষের বাড়িতে হামলা, ভাঙচুর, লুটপাট ও অগ্নিসংযোগ করা হয় বলে বিজ্ঞপ্তিতে অভিযোগ করা হয়।
এতে আরও বলা হয়, ফেনী শহরের দুর্গামন্দিরে হামলা; দিনাজপুরের পার্বতীপুর কালীমন্দিরসহ পাঁচটি মন্দিরে ভাঙচুর; ঠাকুরগাঁওয়ের পীরগঞ্জের ২ নম্বর ইউনিয়নের শ্মশান মন্দিরে হামলা, ভাঙচুর ও অগ্নিসংযোগ এবং নেত্রকোনা সদরে রামকৃষ্ণ মিশন ও ইসকন মন্দিরে হামলা ও ভাঙচুরের ঘটনা ঘটেছে।
সেন্টার ফর পলিসি ডায়ালগের (সিপিডি) সম্মাননীয় ফেলো দেবপ্রিয় ভট্টাচার্য বিবিসিকে বলেছেন, শেখ হাসিনার প্রধানমন্ত্রীর পদ থেকে ইস্তফায় রাজপথে উচ্ছ্বাস ছড়িয়ে পড়ে। একই সঙ্গে সংখ্যালঘু হিন্দু সম্প্রদায়ের ওপর হামলার ঘটনাও বাড়ে, যা নতুন কর্তৃপক্ষের জন্য তাৎক্ষণিক চ্যালেঞ্জ হিসেবে দেখা দিয়েছে।
দেবপ্রিয় ভট্টাচার্য বলেন, ভারত শেখ হাসিনার সরকারকে পুরোপুরি সমর্থন দিয়েছে এমন একটি ধারণা আছে। বিক্ষোভকারীরা ভারত ও হিন্দু নাগরিকদের আলাদা করে দেখছে না। ফলে মন্দির ও লোকজনের ওপর হামলার ঘটনা ঘটেছে। তিনি আরও বলেন, বর্তমানে রাষ্ট্রীয় ক্ষমতায় শূন্যতা বিরাজ করছে। আইনশৃঙ্খলা পরিস্থিতি স্বাভাবিক রাখার মতো কেউ নেই। নতুন সরকারকে ধর্মীয় সংখ্যালঘুদের সুরক্ষার ব্যবস্থা নিতে হবে। ৬ আগষ্ট বাংলাদেশের শীর্ষ স্থানীয় পত্রিকা প্রথম আলো এর সংক্রান্ত একটি প্রতিবেদন প্রকাশ করেছে।