বর্ণালী ভট্টাচার্য্য বলেন, ছোটবেলা থেকেই শহিদ কমলা ভট্টাচার্যের জীবনীর কথা শুনে আসছিলেন এবং সেই শুনা কথা গুলোর প্রেরণা থেকেই এই বীরঙ্গনা কমলা বইটি লেখা
শিলচর : বুধবার সন্ধ্যায় ১৯৬১ সালের ১৯ মেয়ে বাংলা ভাষার জন্য শহীদ হওয়া অন্যতম বরাকের বীরাঙ্গনা নারী কমলা ভট্টাচার্য্যের ভাতুষ্পুত্রী লেখিকা বর্ণালী ভট্টাচার্য্য মহাশয়াকে “বীরাঙ্গনা কমলা”নামের তথ্যমূলক দ্বিতীয় খণ্ড বইটি লেখার জন্য শিলচর অম্বিকাপট্টি স্থিত এই অঞ্চলের বিশিষ্ট সাহিত্যিক -গবেষক নীহার রঞ্জন পাল মহাশয়ের বাসভবনে বেঙ্গলি ফরোয়ার্ড ক্লাবের পক্ষ থেকে আনুষ্ঠানিকভাবে উত্তরীয় পরিয়ে হাতে সম্মানীয় স্মারক ও ফুলের তোড়া তুলে দেন ক্লাবের সভাপতি সুশীল কুমার কর, সাধারণ সম্পাদক বিশ্বজিৎ দেব, বিদ্যুৎ কুমার দেব, নরেন চন্দ্র দাস, কৃষ্ণা দেব প্রমূখেরা।
সেদিন বক্তব্যে বেঙ্গলি ফরোয়ার্ড ক্লাবের সাধারণ সম্পাদক বিশ্বজিৎ দেব বলেন, আজকের দিনটি এই ক্লাবের প্রত্যেকটি সদস্যদের কাছে খুবই গুরুত্বপূর্ণ দিন, কলিকাতা নিবাসী বাংলা ভাষা শহীদ কমলা ভট্টাচার্যের ভাতুষ্পুত্রী লেখিকা বর্ণালী ভট্টাচার্য্য মহাশয়া যেভাবে “বীরাঙ্গনা কমলা”বইটির দ্বিতীয় পর্ব লেখার উদ্দেশ্যে বিগত চার দিন থেকে ১৯৬১ সালের ১৯শে মে-র বাংলা ভাষা শহীদদের তথ্য সংগ্রহের উদ্দেশ্যে এই অঞ্চলের বিভিন্ন জায়গা থেকে সঠিক তথ্য সংগ্রহ করেছেন, উনার এই উদ্যোগটা সত্যি কারের অর্থে অতুলনীয় এবং বেঙ্গলি ফরওয়ার্ড ক্লাব যে আগামী দিনে নতুন উনিশে মে স্মৃতিসৌধটি নির্মাণের পরিকল্পনা নেওয়া হয়েছে,
সেই স্মৃতিসৌধটি আগামী ২০২৪ সালের ১৯ শে মে-র দিনে উপস্থিত থেকে উনার হাত দিয়ে উদ্ধোধনের জন্য অনুরোধ জানান। সভাপতি সুশীল কুমার কর এই বইটি বাংলা ভাষায় লেখার জন্য মত প্রকাশ করেন। মুখ্য উপদেষ্টা নীহার রঞ্জন পাল বলেন,লেখিকা বর্ণালী ভট্টাচার্য্য”বীরাঙ্গনা কমলা” বইটি প্রত্যেক পাতা পড়লে অনুভব করা যায় যে বরাকের বাংলাভাষার জন্য শহীদদের প্রতি শ্রদ্ধা ও সম্মান জানিয়েছেন এবং সেই চেতনা আগামী দিনে আমাদের জাগরিত থাকে সেই চেষ্টা করেছেন।
শেষে আমন্ত্রিত অতিথি তথা লেখিকা বর্ণালী ভট্টাচার্য্য বলেন, ছোটবেলা থেকেই উনার পিতা প্রয়াত বকুল চন্দ্র ভট্টাচার্য্যের মুখে থেকে পিসি বাংলা ভাষা শহিদ কমলা ভট্টাচার্যের জীবনীর কথা শুনে আসছিলেন এবং সেই শুনা কথা গুলোর প্রেরণা থেকেই এই বীরঙ্গনা কমলা বইটি লেখার মনের মধ্যে উৎসাহের জন্ম নিয়ে এবং বইটি ইংরেজি ভাষায় লেখার মাত্র কারণ হচ্ছে সমগ্র ভারতে বসবাসকারী বিভিন্ন ভাষা ভাষী মানুষেরা বরাকের বাংলাভাষা রক্ষার জন্য ত্যাগের ও ও রক্তঝরা সংগ্রামের ইতিহাসটি তুলে ধরার জন্য ইংরেজি ভাষায় লিখেছেন এবং এই “বীরাঙ্গনা কমলা”বইটি পড়ার জন্য সবাইকে অনুরোধ জানান তিনি।
শিলচর থেকে দ্বীপ দেবের প্রতিবেদন
KRC TIMES | Promotional