বিদ্যুৎ সাশ্রয়ে সবাইকে সচেতন হওয়ার আর্জি মুখ্যমন্ত্রীর

2 - মিনিট |

২০১১-তে যেখানে বিদ্যুতের গ্রাহক রাজ্যে ছিল ৮৫ লক্ষ, গত মার্চ মাসে সেখানে সংখ্যাটা দাঁড়িয়েছে প্রায় ১ কোটি ৯১ লক্ষ। অর্থাৎ, ৭ বছর ১০ মাসে গ্রাহক বেড়েছে ১ কোটি ৫ লক্ষ ৩৫ হাজার

কে আর সি টাইমস ডেস্ক

বিদ্যুতের সাশ্রয়ে সবাইকে সচেতন হওয়ার আবেদন করেন মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়। বুধবার তিনি বিধানসভা অধিবেশনে এ ব্যাপারে মন্তব্য করেন। মুখ্যমন্ত্রী বলেন, বিদ্যুৎ বাঁচান, সবুজ বাঁচান, বিশ্বকে বাঁচান। সকাল ১০টা বেজে গেল। রাস্তার বাতি জ্বলছে। এ রকম কেন হবে। আমি বেড়িয়ে যাওয়ার আগে ঘরের আলো-পাখা বন্ধ করব। সরকারের পয়সা মানে জনগনের পয়সা। এই বোধটা থাকা দরকার। সবাই সচেতন হলে দেশটা বাঁচবে। পৃথিবীটাও বাঁচবে। 
প্রসঙ্গের শুরু মেমারির তৃণমূল বিধায়ক নার্গিস বেগমের প্রশ্ন দিয়ে। জবাবে বিদ্যুৎ ও অচিরাচরিত শক্তি উৎস বিভাগের মন্ত্রী শোভনদেব চট্টোপাধ্যায় বলেন, “গত মার্চ থেকে মে পর্যন্ত পশ্চিমবঙ্গে বিদ্যুৎ উৎপাদন হয়েছে প্রায় ১৪,১৫২ মিলিয়ন ইউনিট। রাজ্যের কোথায়, কোথায়, কী ধরণের, কত ক্ষমতার নতুন উৎপাদনকেন্দ্র হচ্ছে— তার হিসেব দেন। নার্গিস বেগমের প্রশ্নের উত্তরে বিদ্যুৎমন্ত্রী বলেন, “২০১১-তে যেখানে বিদ্যুতের গ্রাহক রাজ্যে ছিল ৮৫ লক্ষ, গত মার্চ মাসে সেখানে সংখ্যাটা দাঁড়িয়েছে প্রায় ১ কোটি ৯১ লক্ষ। অর্থাৎ, ৭ বছর ১০ মাসে গ্রাহক বেড়েছে ১ কোটি ৫ লক্ষ ৩৫ হাজার। এর প্রেক্ষিতে সিপিএমের তন্ময় ভট্টাচার্য জানতে চান, তা সত্ত্বেও কেন ২০১৬-১৭ অর্থবর্ষে ৩০০ মেগাওয়াট বিদ্যুৎ কেনার দরপত্র দেওয়া হয়েছিল? কেন বাইরে থেকে বিদ্যুৎ আনতে হচ্ছে? এর জবাবে বিদ্যুৎমন্ত্রী বলেন, পাঁচটি উৎপাদনকেন্দ্রে যা কয়লা দরকার, তা পাচ্ছি না। ওগুলোয় রোজ ১২ রেক কয়লা দরকার। পাচ্ছি ২-৩ রেক। মার খাচ্ছে বিদ্যুৎ উৎপাদন। এই প্রসঙ্গে মুখ্যমন্ত্রী কেন্দ্রের বঞ্ছনার কথা টেনে আনেন। বলেন, বিশ্বের দ্বিতীয় বৃহত্তম কয়লাঞ্চল দেওলাচাপি-র ব্যাপারটা চার বছর ধরে ঝুলে আছে। চুক্তি হয়ে গিয়েছে। নিয়োগপ্রক্রিয়া সারা। শুধু দুটো সরকারের মধ্যে ‘মউ’ হবে। এটা হলে বীরভূম, বর্ধমান, বাঁকুড়া, পুরুলিয়া— এ সব অঞ্চল বদলে যাবে। প্রচুর ছেলেমেয়ে কাজ পাবে। আমি নিজে ৪-৫ বার দিল্লিতে ফোন করেছি। মুখ্যসচিবকে পাঠিয়েছি। কাটোয়া বিদ্যুৎকেন্দ্র নিয়ে আশার কথা শুনেছিলাম। আলোচনা হয়েছিল। বাইরে থেকে কখনও কখনও কয়লা কিনতে হয়। বুকে অনেক দুঃখ থাকে। বলা যায় না। সংবাদমাধ্যমকে আবেদন করছি বিষয়গুলো তুলে ধরার। ৩-৪ বছর হল বরজোড়া প্রকল্প চালু করতে পেরেছি। আগে লোকে বলত, লোডশেডিংয়ের সরকার, আর নেই দরকার। এখন পর্যাপ্ত বিদ্যুৎ দিতে পারছি। চাষিরাও বিদ্যুৎ পাচ্ছে। এর পরেই মুখ্যমন্ত্রী বিদ্যুৎ অপচয় বন্ধে সবাইকে উদ্যোগী হতে আবেদন করেন।

Leave a comment

Your email address will not be published. Required fields are marked *

Related news