বিনা অনুমতিতে গাছ কাটার দায়ে বন দফতরের তিন আধিকারিক বরখাস্ত

2 - মিনিট |

বিনা অনুমতিতে রাতের অন্ধকারে গাছ কাটার ঘটনায় বন দফতরের তিন আধিকারিককে সাময়িক বরখাস্ত করা হয়েছে

কে আর সি টাইমস ডেস্ক

বিনা অনুমতিতে রাতের অন্ধকারে গাছ কাটার ঘটনায় বন দফতরের তিন আধিকারিককে সাময়িক বরখাস্ত করা হয়েছে৷ এদিকে, এই গাছ কেটে ফেলার ঘটনায় ত্রিপুরা হাইকোর্ট সুয়োমুটো মামলা নিয়ে জবাব তলব করেছে রাজ্য সরকারের৷ শুধু তা-ই নয়, ওই স্থানে বেআইনি দখলদারদের উচ্ছেদের জন্য কী ব্যবস্থা নিয়েছে রাজ্য সরকার, তা-ও জানাতে রাজস্ব দফতর এবং পশ্চিম জেলা পুলিশ সুপারকে নির্দেশ দিয়েছে ত্রিপুরা হাইকোর্ট৷

আগরতলায় কুঞ্জবন টাউনশিপ কোয়ার্টার কমপ্লেক্স এলাকায় বেশ কয়েক বছর আগে জবরদখল করে উপজাতি সম্প্রদায়ের কয়েকটি পরিবার বসবাস শুরু করেছিল৷ তাদের সাথে গত ১৬ মে বন দফতরের কর্মীদের বাকবিতণ্ডা হয়েছিল৷ জানা গেছে, ওই এলাকার ত্রিপুরা মানবাধিকার কমিশন অফিসের উল্টো দিকে বেশ কয়েকটি ইউকেলিপটাস, সেগুন এবং নিম গাছ কেটে ফেলা হয়েছিল৷ রাতের অন্ধকারে কারা এই গাছগুলি কেটেছে তা কেউ বলতে পারেনি৷ চিন্তার বিষয় হল, মুখ্যসচিব, রাজ্য পুলিশের মহানির্দেশক, পুলিশ সুপার-সহ রাজ্য প্রশাসনের শীর্ষ আধিকারিকদের কোয়ার্টার রয়েছে এই এলাকায়৷ স্বাভাবিকভাবেই উচ্চ নিরাপত্তা জোন হিসেবেই এই এলাকাটিকে গণ্য করা হয়৷ কিন্তু, এই এলাকার বেশ কয়েকটি গাছ সকলের চোখ এড়িয়ে কেটে ফেলার ঘটনায় নিঃসন্দেহে চিন্তার বিষয় বলেই মনে করা হচ্ছে৷

ওই ঘটনায় নিউ ক্যাপিটেল কমপ্লেক্স থানায় একটি মামলা দায়ের করেছে বন দফতর৷ বিভিন্ন সংবাদ মাধ্যমে প্রকাশিত খবরের জেরে গত ২২ মে ত্রিপুরা হাইকোর্ট সুয়োমুটো মামলা গ্রহণ করে৷ তাতে, বেকায়দায় পড়ে ত্রিপুরা সরকার৷ কারণ, গাছ কেটে ফেলার ঘটনায় তদন্তকার্য অত্যন্ত ধীরলয়ে চলছিল৷ হাইকোর্ট মামলা গ্রহণ করায় নড়েচড়ে বসে বন দফতর৷ ওই ঘটনায় বিভাগীয় তদন্তে তিন আধিকারিকের বিরুদ্ধে ব্যবস্থা নেওয়ার প্রস্তাব করা হয়৷ তাই বন দফতর ফরেস্টার অভিজিৎ আচার্যি, রেঞ্জ অফিসার সুজিত চাকমা এবং বিট অফিসার বিমলকুমার শর্মাকে সাময়িক বরখাস্ত করেছে৷ বন দফতর আধিকারিকদের বরখাস্তের বিষয়টি হাইকোর্টে জানিয়েছে৷ এই মামলায় আইনজীবী বিমল দেববর্মা জানিয়েছেন, ত্রিপুরা হাইকোর্টের মুখ্য বিচারপতি সঞ্জয় কারোল এবং বিচারপতি অরিন্দম লোধের ডিভিশন বেঞ্চ কুঞ্জবন টাউনশিপ কোয়ার্টার কমপ্লেক্স এলাকায় সরকারি জমি দখল করে কেউ বসবাস করছেন কিনা, সে-বিষয়ে রিপোর্ট তৈরি করে জমা দিতে রাজস্ব দফতর এবং পশ্চিম জেলা পুলিশ সুপারকে আদেশ দিয়েছেন৷ পাশাপাশি বেআইনি দখলদারদের উচ্ছেদের বিষয়ে কী সিদ্ধান্ত নিয়েছে রাজ্য সরকার তা-ও জানাতে বলেছে ত্রিপুরা হাইকোর্ট৷ তিনি আরও জানান, গ্রীষ্মাবকাশের পর হাইকোর্টে এই মামলার পরবর্তী শুনানির দিন স্থির হবে৷ 

Leave a comment

Your email address will not be published. Required fields are marked *

Related news