কলকাতা বিফ ফেস্টিভ্যালের দিনক্ষণ ঘোষণা হতে না হতেই সোশ্যাল মিডিয়া তোলপাড় ‘বিফ রাজনীতি’ -তে
ভোজনরসিক বাঙালিদের মধ্যে বেশ কয়েকদিন আগেও ‘বিফ’ শব্দটা সেইভাবে চক্ষুশূল হয়ে ওঠেনি। কিন্তু কলকাতা বিফ ফেস্টিভ্যালের দিনক্ষণ ঘোষণা হতে না হতেই সোশ্যাল মিডিয়ার দৌলতে তার ঠিক উল্টো প্রতিচ্ছবি। পোস্ট শেয়ার এবং নেট ট্রলিং করার পাশাপাশি গোটা সোশ্যাল মিডিয়া জুড়ে শুরু হয়েছে যুদ্ধের প্রস্তুতি। অন্যদিকে বেশ কয়েক হাজার লোক উৎসুক সেই ভুরিভোজের আসরে নাম লেখাতে। বাধ্য হয়েই স্থান পাল্টে এসপ্লানেড লিট্টন হোটেলে ফেস্টিভ্যালটিকে সরিয়ে নিয়ে যাওয়ার সিদ্ধান্ত নিয়েছেন আয়োজক সংস্থা ‘দি একসিডেন্টাল নোট’
এই ফেস্টিভ্যালের নাম কলকাতা বিফ ফেস্টিভ্যাল রাখায় নানান উড়ো ফোন থেকে হুমকি ও ধমকের স্বীকার হতে হয়েছে আয়োজক দলকে। তা সত্ত্বেও পিছপা হয়নি আয়োজক সংস্থা । কিছুটা কৌশলের সঙ্গেই ফেস্টিভ্যালের নাম বদলে রেখেছেন ‘কলকাতা বিপ ফেস্টিভ্যাল’। সবথেকে মজার ব্যাপার হল, ‘কলকাতা বিফ ফেস্টিভ্যাল’-এর নাম ‘বিপ ফেস্টিভ্যাল’ রাখার পর থেকে ধমক বা হুমকির স্বীকার হতে হচ্ছে না তাঁদের । এই বিষয়ে অনুষ্ঠানের অন্যতম আয়োজক সদস্য অর্জুন কর জানিয়েছেন ,” সমালোচনার ঝড় থেকে রক্ষা পেতেই এই নামের বদল। তবে ‘বিফ’ পরিবর্তন করে ‘বিপ’ করার পর থেকে অবশ্য কোনও হুমকি ফোন আসেনি। তবে ফেস্টিভ্যালের ব্যানারে ‘বিফ ‘ কে ‘বিপ’ করলেও মেনু তালিকাতে বিফের কোনও পরিবর্তন করা হয়নি। ” এছাড়াও তিনি আরও বলেন, ”কলকাতার বিফপ্রেমী মানুষদের জন্য এটা একটা ভুরিভোজের আয়োজন মাত্র। কোনরকম রাজনৈতিক মতাদর্শে আমাদের এই প্রয়াস প্রভাবিত নয়। সত্যি কথা বলতে কলকাতাতে ‘বিফ’ শব্দটা এতবড় বিবাদের কারণ হয়ে উঠবে তা আমার ধারণার বাইরে ছিল।” এছাড়াও অন্য এক সদস্য বলেছেন, ‘আমাদের উদ্দেশ্য ফেস্টিভ্যালটিকে রাজনীতিকরণ করা নয়। এটা নিছকই বিফপ্রেমী মানুষদের জন্য আনন্দের ভুরিভোজ , তাই দয়া করে কোনও রাজনৈতিক মতভেদ নিয়ে এই অনুষ্ঠানে বিঘ্ন ঘটানোর চেষ্টা করবেন না।” অতীতে কলকাতায় সব ধরনের খাদ্যদ্রব্যকে খোলামনে স্বাগত জানানো হলেও বর্তমানে সেই ধারার কিছুটা পরিবর্তন ঘটিয়েই ‘বিফ রাজনীতি’ -তে উত্তাল শহরবাসী।