ভর্তি দুর্নীতি – দায়িত্ব স্বীকার করে পদত্যাগ করুন জিসি কলেজের অধ্যক্ষ – বিডিওয়াইএফ।

2 - মিনিট |

‘ খেলো ইন্ডিয়া’ বলে যে কুইজ প্রতিযোগিতার অংশগ্রহণের শংসাপত্র এক্ষেত্রে গ্রাহ্য হয়েছে তা সম্পুর্ণ বেআইনি

কেআরসি টাইমস বারাক ভ্যালি ব্যুরো

শিলচর : গুরুচরণ কলেজের উচ্চ মাধ্যমিক স্তরে ভর্তির ক্ষেত্রে দুর্নীতি ও অনিয়মের খবর সম্প্রতি সংবাদ মাধ্যমে প্রকাশিত হওয়ায় তীব্র ক্ষোভ ব্যক্ত করল বরাক ডেমোক্রেটিক যুব ফ্রন্ট। সমগ্র ঘটনার পূর্ণাঙ্গ তদন্ত তথা দায়িত্ব স্বীকার করে অধ্যক্ষের পদত্যাগের দাবিতে এদিন সরব হলেন যুবফ্রন্টের সদস্যরা।

সাংবাদিকদের সামনে বক্তব্য রাখতে গিয়ে এদিন বিডিওয়াইএফ এর আহ্বায়ক মিনাজ লস্কর বলেন যে গুরুচরণ কলেজের মতো একটি ঐতিহ্যবাহী প্রতিষ্ঠানের এইধরনের অবনমন কিছুতেই মানা যায়না। তিনি বলেন এই কলেজের সাথে শিলচর তথা বরাক উপত্যকার সম্মান জড়িয়ে আছে।

বহু বিশিষ্ট ব্যাক্তিরা যেমন এই কলেজের অধ্যক্ষের দায়িত্ব সামলেছেন তেমনি এই কলেজের বহু ছাত্র সারা ভারত তথা বিশ্বের বিভিন্ন প্রান্তে স্বকীয় প্রতিভার উজ্জ্বল নিদর্শন রেখে চলেছেন। তাই এই ধরনের অনিয়ম ও দুর্নীতির খবরে তাঁরা লজ্জা বোধ করছেন এবং অবিলম্বে কোন নিরপেক্ষ কমিটি গঠন করে এর পূর্ণাঙ্গ তদন্ত দাবি করছেন।

Advertisement@KRC TIMES

যুবফ্রন্টের আরেক আহ্বায়ক হারাধন দত্ত এদিন বলেন যে প্রথমত খেলাধুলায় উৎকর্ষতার জন্য অতি অল্প সংখ্যক ছাত্রকে ভর্তি করা যেতে পারে,তাও যদি সেই প্রার্থী জাতীয় বা স্থানীয় স্তরের কোন স্বীকৃতিপ্রাপ্ত সংগঠনের সংশাপত্র পেশ করেন। বলা বাহুল্য যে ‘ খেলো ইন্ডিয়া’ বলে যে কুইজ প্রতিযোগিতার অংশগ্রহণের শংসাপত্র এক্ষেত্রে গ্রাহ্য হয়েছে তা সম্পুর্ণ বেআইনি।

তিনি বলেন যে একটি সূত্রে তাঁরা খবর পেয়েছেন যে ‘ তুষার ‘ বলে যে নামটি এইসব আবেদন পত্রে উল্লিখিত তিনি এই কলেজের বিগত বর্ষের ইউনিয়নের নির্বাচিত সম্পাদক। তাই সমগ্র ব্যাপার অধ্যক্ষের জ্ঞাতসারেই সংগঠিত হয়েছে বলে তারা সন্দেহ করছেন। হারাধন বলেন এই ধরনের অনিয়মের ফলে নিম্ন মধ্যবিত্ত তথা গরীব ঘরের যে সব মেধাবী ছাত্র ছাত্রীরা প্রয়োজনীয় নম্বর পাওয়া স্বত্বেও কলেজে ভর্তি হতে পারলনা তাঁদের দায়িত্ব কে নেবেন ?

তিনি বলেন যে তাই যুবফ্রন্টের পক্ষ থেকে তাঁরা দাবি জানাচ্ছেন যে অবিলম্বে সমগ্র ঘটনার দায়িত্ব স্বীকার করে পদত্যাগ করুন বর্তমান অধ্যক্ষ। তাতে অন্তত এই ঐতিহ্যবাহী কলেজের সুনাম এবং স্বচ্ছ ভাবমূর্তি রক্ষিত হবে।

হারাধন এদিন আরো বলেন যে জিসি কলেজের বর্তমান অধ্যক্ষ শুরু থেকেই বিভিন্ন বিতর্কে জড়িয়েছেন। বিশেষত বিগত বছরে এবিভিপির মতো একটি রাজনৈতিক ছাত্র সংগঠনে তাঁর আনুষ্ঠানিক যোগদান নিয়ে শহরের সচেতন মহলে বিরূপ প্রতিক্রিয়ার সৃষ্টি হয়েছে। একজন অধ্যক্ষ হয়ে কিকরে তিনি এভাবে একটি ছাত্র সংগঠনে যোগদান করতে পারেন তা মোটেই বোধগম্য নয়।

হারাধন এদিন বলেন যে এই ঘটনার পূর্ণাঙ্গ তদন্ত ও দোষীদের যথাযথ শাস্তি না দিয়ে ধামাচাপা দেবার চেষ্টা করা হলে তা কিছুতেই মেনে নেবেনা বিডিওয়াইএফ। প্রয়োজনে প্রতিবাদ আরো জোরদার করা হবে।

বিডিওয়াইএফ এর পক্ষ থেকে আহ্বায়ক দেবায়ন দেব এক প্রেস বার্তায় এই খবর জানিয়েছেন।

Leave a comment

Your email address will not be published. Required fields are marked *